বর্তমান হাল সময়ে আমরা অনেক অনেকেই ফ্রি এবং পেইড সাইটে/ব্লগিং করছি। ব্লগিং একটি আধুনিক জনপ্রিয় সোস্যাল মাধ্যম। এর মাধ্যমে নিজেকে বিশ্বের কাছে জানান দিতে পারছি।
অপরদিকে ইনকামের পন্থা হিসাবে কাজে লাগাচ্ছি। যাইহোক বর্তমান সময়ে তরুনদের মধ্যে এখন অনেকেই ব্লগিং করার জন্য মনোনিবেশ করছেন। তাছাড়া বাংলাদেশে এমন অনেক ব্লগার/ফ্রিল্যান্সার আছেন যারা ব্লগ থেকে ভাল ইনকাম করছেন। অপরদিকে বলা যায় ফ্রিল্যান্স ইনকাম হতে ব্লগের ইনকাম তুলনামূলক সোজা।
ব্লগ/ওয়েব সাইট তৈরির কিছু নিয়মাবলী:
হ্যা ব্লগ সাইট তৈরির কিছু নিয়ম কানুন ও নিয়মাবলী আছে। এই জন্য তড়িঘড়ি কাজ না করে বুদ্ধিমত্তার সাথে এগোতে হবে। আসলে এই পোস্টটি করছি যারা ব্লগিং শুরু করবেন কিংবা নিজের নামে সাইট তৈরি করতে যাচ্ছেন। অপরদিকে যারা তৈরি করে ফেলেছেন তাদের হলেও কাজে আসতে পারে। তাহলে কিছু টিপস্ জেনে নিই-
১। ফ্রি সাইট/ পেইড সাইট:
প্রথমেই আপনাকে ঠিক করতে হবে। আপনি কি উদ্দেশ্য সাইটটি বানাবেন। এটি কি ফ্রি সাইট তৈরি করবেন নাকি পেইড হিসাবে? হ্যা ফ্রিভাবে অনেক সাইট বানানো যায় যেমন- wordoress.com, weebly.com, blogger.com, hoxx.com ইত্যাদি। তবে নিজেকে একজন ব্লগার হিসাবে নিয়োজিত ও ইনকামের ধান্দা থাকলে তাহলে পেইড ডোমেইন ও হোস্টিং ক্রয় করে কাজ করাটাই ভাল হবে। তবে হ্যা এই ক্ষেত্রে আপনি প্রথমত গুগল ব্লগারে একটি ফ্রি সাইট ওপেন করে সেখানে ডোমেইন যুক্ত করে কিছুদিন কাজ চালাতে পারেন। যখন পপুলারিটি হবে তখন হোস্টিং সুবিধা যোগ করলেই হবে।
(আমার কাছে Blogger সব থেকে ভাল)
2। একটি ভাল ও ইউনিক নামের বাহার:
আপনি ফ্রি ও পেইড যে ভাবেই সাইট/ব্লগ চালু করুন না কেন! আপনাকে অবশ্যই একটি ভাল নাম খুজতে হবে। অর্থাত সাইটটি ভাল ও ইউনিক নামের হতে হবে। নামটি অর্থবোধক, সহজ ও ইউনিক হতে হবে। আবোল-তাবোল নাম ভিজিটরদের মনে জগা খিচুড়ী দিবে। যেমন- আপনি প্রযুক্তি বিষয়ক একটি ব্লগ সাইট দাড় করাবেন সেখানে নাম দিলেন Hotcow কিংবা ডাউনলোডের সাইটের নাম দিলেন mofiz mama । এই সব নাম কিন্তু ভাল ফল করবে না। কেননা, ভিজিটরদের তো মনে রাখতে হবে। এবং হ্যা ভাল নাম কিন্তু আপনার সাইটের ভাল SEO তৈরির সুযোগ দিবে। তাই যে উদ্দেশ্য নিয়ে সাইট তৈরি করবেন, সেই নামে দেওয়ার চেষ্টা করবেন, বিশেষত ইংরাজী সাইট তৈরির ক্ষেত্রে।
3। ভাল ডোমেইন প্রভাইডার হতে ডোমেইন নিন:
পরিশেষে মনে করি অআপনি পপুলারিটি পেয়েছেন। এখন একটি ডোমেইন নিবেন। হ্যা ডোমেইনটি ভাল প্রতিষ্ঠান হতে নিবেন। যাতে পরবর্তীতে অন্য কোথাও ট্রান্সপার, রিনিউ কিংবা নিজে মডিফাইড করতে পারেন। যদি প্রভাইডার ট্রাষ্টেড না হয় তাহলে হয়ত অআপনার সাধের ডোমেইনটি অন্য কোথাও বিক্রি কিংবা প্রভাইডার নিজের নামে করে নিতে পারেন। So, be carefully! অবশ্য বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি ডোমেইন প্রভাইডার রয়েছে যারা বিশ্বস্ত ও সুনামের সাথে ব্যবসা করছে। আপনি সেখান হতে রিভিউ নিতে পারেন।
(ফ্রি ডোমেইন পেতে এই পোষ্টটি দেখতে পারেন কাজে লাগবে)
এই লিংক :
ব্লগে ফ্রি ডোমেইন Com (.com) নিয়ে নিন
4। SEO করুন!
আপনার সাইট তৈরি করার পর SEO এর দিকে বেশী মনোযোগ দিন। ধীরে ধীরে সাইটটি SEO করুন! এক সময় খুব ভাল ফলাফল পাবেন। মূলত SEO করার কারনে ভাল ভিজিটর ও অ্যালেক্সা রেটিং ভাল পাওয়া যায়। SEO করতে গেলে অআপনাকে Google, Bing, Yahoo সার্চ মেশিনের কথা মাথা রেখে এগোতে হবে। তাহলে উভয় অপটিমাইজেশন হতে ভাল ভিজিটর পাওয়া ফলপ্রসূ হবে।
অবশেষে বলি ভিজিটর কিন্তু প্রথমদিকে আপনার প্রচারণার দ্বারা করতে হবে। প্রয়োজনে ফেজবুকে পোষ্ট,কমেন্ট,শেয়ার করতে পারেন।
পোষ্টটি কেমন কাজে দিল জানাবেন।
ধন্যবাদ।
পোষ্টটি অনেক ভাল লেগেছ। আমি আমাদের সংগঠনের তরফ থেকে েএকটি ব্লগ খুলতে চাচ্ছি। টেকনিক্যাল হেল্প খুজছি। কিছু কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার বন্দুদের সাথে যোগাযোগ করেছি। কিন্তু েএখানে ভাল জানতে পাররাম। আমার ভাল একজিন ডিজাইনার দরকার....
ReplyDeleteকি রকম ডিজাইন এবং কি ধরনের ওয়েবসাইট তৈরি করতে চান??? আমাদের জানান। তাছাড়া আমাদের ব্লগে লেখার সুজোগ দিচ্ছি।। চায়লে লেখতে পারেন।।
Delete(h)
ReplyDelete