রাজনীতিতে আসছেন শহীদ সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর স্ত্রী ও ছেলে!
মিথ্যা মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার পর বিমর্ষ ছিল তার পরিবারের সদস্যরা। বিশেষ করে তার স্ত্রী ফারহাত কাদের চৌধুরী মানসিকভাবে বেশি ভেঙে পড়েন। কিন্তু গত শনিবার সাকার দাফনের পর তারা রাউজান ছেড়ে চলে আসেন স্বাধীনতা যুদ্ধে চট্টগ্রামের সাকার সেই রাজকীয় বাড়ি 'গুডস হিলে'। গত তিন দিন ধরেই সাকার স্ত্রী-সন্তানরা সেখানেই অবস্থান করছেন।
চট্টগ্রামে সাকা অনুসারীরা মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আগে ও পরে নীরব থেকে জানাজায় অংশগ্রহণ না করলেও তারা এখন প্রতিদিন 'গুডস হিলে' ভিড় জমাচ্ছেন। তারা সাকার পরিবারকে সান্ত¡না দিতে আসছেন। এদের মধ্যে অনেকে সাকার মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে স্ত্রী-সন্তানকে রাজনীতিতে আসতে উদ্বুদ্ধ করছেন। এ ব্যাপারে গুডস হিলে আসা যাওয়া করছে সাকা চৌধুরীর পরিবারের ঘনিষ্ঠ কয়েক জনের সূত্রে জানা গেছে, সাকার ছোট ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরীর মধ্যে তার বাবার মতো রাজনীতি করার মানসিকতা রয়েছে।
এছাড়াও তার স্ত্রীও রাজনীতিতে আসতে পারেন। কারণ সাকা চৌধুরী মৃত্যুর আগে তাদের দু’জনের কী করণীয় তা বলে গিয়েছেন। এসব ঘনিষ্ঠজনেরা আরো জানান তারা রাজনীতি পরিবারের সদস্য হিসেবে সাকার উত্তরসূরি হয়ে উত্তর চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি, রাউজান ও রাঙ্গুনিয়ায় তাদের প্রভাব ধরে রাখার চেষ্টা করবেন। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই তারা রাজনীতিতে সক্রিয় হতে যাচ্ছেন! এছাড়াও সাকার পরিবারের সদস্যরা শিগগির খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে তাদের ভবিষ্যৎ করণীয় কী হবে তা নির্ধারণ করবে বলে এই ঘনিষ্ঠরা জানান।
জানা গেছে, সাকা চৌধুরীর ছোট ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী, বড় ছেলে ফাইয়াজ কাদের চৌধুরী, তাদের মা ফারহাত কাদের চৌধুরী। বড় ছেলে ফাইয়াজ কাদের চৌধুরী শান্তশিষ্ট হলেও ছোট ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী হয়েছেন বাবার মতো। সাকা চৌধুরীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সময় টিভি চ্যানেলের পর্দায় হুম্মাম কাদের চৌধুরীর হুঙ্কার শুনে অনেকে তা বুঝতে পেরেছিল। অন্যদিকে সাকার স্ত্রী ফারহাত কাদের চৌধুরী স্বামীর মৃত্যুতে হতবিহ্বল হলেও তেমন একটা ভেঙে পড়েননি। শোনা যায়, সাকার মৃত্যুর পর তার পরিবারের কী করণীয় হতে পারে সাকা তা বলে গিয়েছেন স্ত্রী ও তার ছোট ছেলে হুম্মাম কাদেরকে। এছাড়াও সন্তানদের বলে দেয়া হয়েছে তার মায়ের কথার বাইরে না যাওয়ার জন্য। সাকা মৃত্যুর আগে তার স্ত্রীকে ও তার ছোট ছেলেকে তার যোগ্য উত্তরসূরি মনে করতেন। আগামীতে উত্তর চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি ও রাউজানে পরিবারের প্রভাব ধরে রাখতে এ দু'জনকেই দায়িত্ব দিয়ে যান সাকা।
ভবিষ্যতে তারা বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হয়ে তার প্রভাব-প্রতিপত্তি ধরে রাখার নির্দেশনাও দিয়ে যান স্ত্রী-সন্তানকে। সাকার এসব আদেশ পালন করার মানসিকতা রয়েছে তাদের। এমনটিই জানালেন সাকার ঘনিষ্ঠরা।
0 coment rios:
আপনার একটি গুরুত্বপূন্য কমেন্ট লেখককে অনুপ্রানিত করে । অনুগ্রহ করে আপনার অনুভুতি আমাদেরকে জানান । আশা করি আমরা সহযোগিতা করতে পারবো ।