নজরুল সংগীত, রবীন্দ্র সংগীত, আধুনিক গান, চর্যাগীতি, টপ্পা গান, মাদার গান, লোকগীতি, দোহার গান, মনসার গান, মুর্শিদী গান, ধূয়া গান, বারমাসি গান, জারিগান, নৌকা বাইচের গান, কবি গান, যোগীর গান, হাপু গান, ভাটিয়ালী, ভাওয়াইয়া, বারোসা গান,কীর্তন, গজল, ভজন,লালন গীতি, বাইজী গান, পপ, ব্লুজ, মুর্শিদী গানের উত্পত্তি বিষয়ক আলোচনা।
Saturday, September 29, 2012
রবীন্দ্র সংগীত
গান শোনেন অথচ রবীন্দ্রসংগীত শোনেননি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া প্রায় অসম্ভব। বাংলা গানের জগতে অত্যন্ত জনপ্রিয় গান হলো রবীন্দ্রসংগীত। গানগুলোর কথা, সুর প্রতিটি সংগীতপ্রেমী মানুষের ভীষণ প্রিয়। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত গানগুলোই হলো রবীন্দ্রসংগীত। ঠিক কবে থেকে রবীন্দ্রনাথ গান রচনা শুরু করেন তা নিয়ে মতপার্থক্য আছে। কারো মতে, ১২ বছর বয়স থেকে আবার কারো মতে, ১৪ বছর বয়স থেকে রবীন্দ্রনাথ গান রচনা শুরু করেন। সংগীত চর্চার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত একটি পরিবারে বেড়ে ওঠার কারণে খুব ছোটবেলা থেকেই রবীন্দ্রনাথ গান লিখতে শুরু করেন। তিনি সারা জীবনে দুই হাজারের মতো গান রচনা করেন। রবীন্দ্রনাথের গানগুলো তাঁর গীতবিতান গ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। রবীন্দ্রনাথের গানের কথাতে উপনিষদ, হিন্দু পুরাণ ও সংস্কৃত কাব্যনাটক, বৈষ্ণব ও বাউল দর্শনের প্রভাব সুস্পষ্ট। রবীন্দ্রসংগীতে সুরারোপের ক্ষেত্রে রবীন্দ্রনাথ সংগীতের নানা ধারার সুর দ্বারা প্রভাবিত হয়েছেন। 'আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি' রবীন্দ্রনাথের এই রচনাটি বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত হিসেবে গৃহীত হয়েছে। এ গানটি কুষ্টিয়া অঞ্চলের বাউল গগন হরকরার 'আমি কোথায় পাব তারে, আমার মনের মানুষ যে রে' গানের সুরে রচিত। রবীন্দ্রনাথ তাঁর গানে ভারতের বিভিন্ন প্রদেশের নানা ধরনের গানের সুরের ব্যবহার করেছেন। আধুনিক মনস্ক রবীন্দ্রনাথের গানে পাশ্চাত্য সংগীতের প্রভাবও খেয়াল করা যায়।
0 coment rios:
আপনার একটি গুরুত্বপূন্য কমেন্ট লেখককে অনুপ্রানিত করে । অনুগ্রহ করে আপনার অনুভুতি আমাদেরকে জানান । আশা করি আমরা সহযোগিতা করতে পারবো ।