Friday, 4 March 2016

অপরাধের জন্য সর্বনিম্ন শাস্তিই পেয়েছেন সাকিব

অপরাধের জন্য সর্বনিম্ন শাস্তিই পেয়েছেন সাকিব!

প্রকাশের সময়: Thu, Mar 3rd, 2016 | খেলা / স্পট লাইট / স্পোর্টস স্পেশাল
  62.3K  46

স্পোর্টস আপডেট ডেস্ক – মাঝে-মধ্যেই মেজাজ হারিয়ে ফেলেন তিনি। মেজাজ হারালে কখন যে কী করে বসেন তার কোনো ইয়ত্তা নেই। এ নিয়ে কম ভোগান্তিতেও পরতে হয়নি তাকে । এইতো সেদিন বিপিএলেও আম্পায়ারের সঙ্গে অসাধাচরণ করেছিলেন। যে কারণে এক ম্যাচ নিষিদ্ধ হয়েছিলেন তিনি।


তার আগেও কখনও ড্রেসিংরূমে বসে টিভির সামনে অশালীন আচরণ করে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন। কখনো গ্যালারিতে গিয়ে দর্শকের সঙ্গে মারামারি করেছেন। এবার সাকিব যা করলেন, সেটাও বেশ দৃষ্টিকটুই। খেলার মাঠেতো ‘শাস্তিযোগ্য।

এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচটা ছিল তুমুল উত্তেজনার। শেষ পর্যন্ত ৫ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটে জিতে ফাইনালে গেছে বাংলাদেশ। বাদ পড়েছে পাকিস্তান।

পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়ের জন্য ১৩০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করছিল বাংলাদেশ। সৌম্য সরকার আউট হয়ে যাওয়ার পর মাঠে নামেন সাকিব। ইনিংসের ১৮তম ওভারের দ্বিতীয় বলের খেলা চলছিল তখন। মোহাম্মদ আমির আসলেন বল করতে। পুরো ইয়র্কার লেন্থের বল সাকিব চেয়েছিলেন স্কুপ করতে। কিন্তু বল বুঝতেই পারলেন না তিনি। বল সোজা গিয়ে হিট করলো স্ট্যাম্পে। বোল্ড হয়ে গেলেন সাকিব।

বোল্ড হওয়ার পরই সমস্ত রাগ, ক্ষোভ তিনি যেন ঝেড়ে ফেলতে চাইলেন স্ট্যাম্পের ওপর। নিজের ওপর রাগে ক্ষোভে ব্যাট দিয়ে রাগ-ক্ষোভে পেটাতে চাইলেন স্ট্যাম্পে। তবে সঙ্গে সঙ্গেই সম্ভবত ভুল বুঝতে পারলেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গেই আম্পায়ারের দিকে ক্ষমা চাওয়ার ভঙিতে হাত তুললেন তিনি। দর্শকরাও স্তব্ধ হয়ে গেছে সাকিবের এই আচরণ দেখে।

ম্যাচ রেফারি জেফ ক্রো এই আচরণের জন্য সাকিবকে সেই সময় কোনো শাস্তি দেন নি। কিন্তু ততক্ষণে যা করার তাতো করেই ফেলেছেন! আইসিসির আচরণবিধি ভঙ্গ করেছেন।

তবে এই অপরাধের জন্য শাস্তি পাননি সাকিব। তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।

আইসিসির কোড অব কন্ডাক্টের ২.১.৮ ধারায় দোষী হয়েছেন সাকিব। এই ধারায় খেলার সময় ক্রিকেট সরঞ্জামের অপব্যবহারের কথা বলা আছে। বৃহস্পতিবার সকালে সাকিব আইসিসি ম্যাচ রেফারি জেফ ক্রোর কাছে নিজের দোষ স্বীকার করে নিয়েছেন। তাই আর আনুষ্ঠানিক শুনানির দরকার পড়েনি। এই ধরনের অপরাধের জন্য সর্বনিম্ন শাস্তিই পেয়েছেন সাকিব। লেভেল ওয়ান এই অপরাধের সর্বনিম্ন শাস্তি সতর্ক করে দেওয়া। সর্বোচ্চ শাস্তি ম্যাচ ফির ৫০ শতাংশ জরিমানা। জরিমানা হয়নি সাকিবের। সতর্ক করেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে তাকে।


শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios:

আপনার একটি গুরুত্বপূন্য কমেন্ট লেখককে অনুপ্রানিত করে । অনুগ্রহ করে আপনার অনুভুতি আমাদেরকে জানান । আশা করি আমরা সহযোগিতা করতে পারবো ।