সুন্নত জিন্দার মিশন। পর্ব ১৪
Md Abdul Kaiyum
খালিদ নামাজ পড়ে এসে সুরা ইয়াছিন তেলোয়াত করার পর রুম থেকে বাহির হয়ে রাস্তায় আসে। কারন এখন গরুর গোস্ত আর মোরগ চলে আসবে। কিছুক্ষন অপেক্ষা করার পর গরুর গোস্ত আর মোরগ নিয়ে ২ জন লোক ভ্যান গাড়ি নিয়ে হাজির হয়।পরে খালিদ তাদের থেকে গরুর গোস্ত ও মোরগ বুঝে নিয়ে তাদের ভাড়া দিয়ে বিদায় করে দেয়। অবশ্য খালিদ তাদের নাস্তা খেতে অনুরোধ করছিল।কিন্তু তাদের কাজ আছে এই অযুহাতে তারা চলে যায়।তারপর খালিদ আর কাসিম মিলে মোরগ গুলো জবাই করা শুরু করে। এতে তাদের সাহায্য করেন খালিদের আব্বু।দোকানদার দের জবাই খালিদের পছন্দ না. তারা ঠিক মত আল্লাহর নাম নেয় কিনা এই নিয়ে সন্দেহ থাকায় খালিদ দোকানদার দের জবাই করতে নিষেধ করে।এক এক করে মোরগ গুলো জবাই করা শেষ করে তারা। এই দিকে চা খাওয়ার জন্য আয়েশা তাদের ডাক দেয়। তারা হাত মুখ ধুয়ে চা খেতে আসে।
খালিদঃ তোরা কখন খাবি?( আয়েশাকে উদ্দেশ্য করে)
আয়েশাঃ আপনাদের খাওয়া শেষ হলে আমরা মহিলা সবাই একসাথে খাবো।
তারপর আয়েশা তাদের কে সকালের নাস্তা বেড়ে দেয়।তারা নাস্তা করে।নাস্তা করা শেষ করে তারা ঘর থেকে বাহির হতেই দেখে বাবুর্চি কাকার দল চলে এসেছে।যদিও কাকা এখনো আসে নাই।
কাসিমঃ আপনারা আগে আসুন নাস্তা খেয়ে নিন।
বাবুর্চিঃনা.. আমরা খেয়ে আসছি আপনাদের গরু মোরগ চলে আসছে তো?
খালিদঃ জী. আসুন আপনাদের দেখিয়ে দিই।
খালিদ বাবুর্চিদের নির্দিষ্ট জায়গা দেখিয়ে দিয়ে তাদের মোরগ ও গরুর গোস্ত বুঝিয়ে দেয়।যেহেতু এখনো ডেকারেশনের হাড়ি পাতিল আসে নাই, তাই তারা মোরগ গুলোর চামড়া আলাদা করতাছে। কাসিম তাদের মাঝের এক জনকে নিয়া পাক(রান্না) করার জায়গা দেখিয়ে দেয়।এবং লাকড়ির ব্যবস্থা করে দেয়।
খালিদের বাবা তাদের(বাবুর্চিদের) এসব কিছু পর্যাবেক্ষন এর জন্য চেয়ার (কেদারা) এনে পাশে বসেন।খালিদ আস্তে আস্তে অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিষ পত্র এনে দেয়। পরে ডেকারেশনের জিনিষ পত্র এলে বাবুর্চিরা গরুর গোস্ত ও মোরগ ধৌত করে নেয়।এরই মাঝে বাবুর্চি কাকা চলে আসছে। তিনি আসার পর মোটামুটি কাজ দ্রুত এগুতে থাকে।খালিদ সামিয়ানা করার জন্য ডেকারেশনের লোককে জায়গা দেখিয়ে দেয়।তারপর খালিদ রুমে আসে।রুমে রিমা খালিদের টেবিলের উপর রাখা বই গুলো দেখতাছে।
খালিদের বাবা তাদের(বাবুর্চিদের) এসব কিছু পর্যাবেক্ষন এর জন্য চেয়ার (কেদারা) এনে পাশে বসেন।খালিদ আস্তে আস্তে অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিষ পত্র এনে দেয়। পরে ডেকারেশনের জিনিষ পত্র এলে বাবুর্চিরা গরুর গোস্ত ও মোরগ ধৌত করে নেয়।এরই মাঝে বাবুর্চি কাকা চলে আসছে। তিনি আসার পর মোটামুটি কাজ দ্রুত এগুতে থাকে।খালিদ সামিয়ানা করার জন্য ডেকারেশনের লোককে জায়গা দেখিয়ে দেয়।তারপর খালিদ রুমে আসে।রুমে রিমা খালিদের টেবিলের উপর রাখা বই গুলো দেখতাছে।
খালিদঃনাস্তা করেছেন.??
রিমাঃ জী,আলহামদুলিল্লাহ্ করেছি।
খালিদঃ আমি গোসল করতে যাচ্ছি।সাড়ে ১০ টা তো বেজে গেলো কিছুক্ষনের মাঝে হয়তো আব্বারা (শশুর) চলে আসবে। আপনি ও বরং গোসল করে নিন। পরে আর সুযোগ পাবেন না।
রিমাঃ ঠিক আছে।এই নিন আপনার গামছা আর লুজ্ঞি।
তারপর খালিদ গোসল করতে পুকুরঘাটে চলে যায়।রিমা ঘরে গোসলখানায় গোসল করতে যায়।কিছুক্ষণ পর খালিদ গোসল করে রুমে আসে। ততক্ষণে রিমার গোসল এখনো শেষ হয় নাই।খালিদ রুমে এসে পাঞ্জাবী গায়ে দিয়ে আবার ঘর থেকে বের হয়ে বাবুর্চিদের কাছে যায়।
খালিদঃ আপনারা গোসল করে নিন। আমি এখানে আছি।কি লাগবে না লাগবে আমি দেখতাছি।(বড় ভাই ও পিতার উদ্দেশ্যে)
কাসিমঃ তুই করছিস??
খালিদঃ জী
তারপর কাসিম ও তার পিতা গোসল করতে চলে যায়।খালিদ বাবুর্চিদের সাহায্যে থেকে যায়। ততক্ষণে রান্নার কাজ অনেকটাই হয়ে যায়।
খালিদের আব্বা গোসল করে আসলে খালিদ রুমে যায়। ততক্ষণে রিমা গোসল সেরে খালিদের জন্য আয়রন করা জামা বের করে রাখে।
খালিদঃ এটা কি আপনি বের করে রাখছিলেন।
রিমাঃ জী।
খালিদঃ ঐখানে তো আরো কয়েকটি আয়রন করা ছিল।
রিমাঃ আপনাকে সাদা পাঞ্জাবিতে ভালো দেখাবে।আর এই পাঞ্জাবি টা আমার খুব ভালো লেগেছে। তাই বের করে রাখলাম।যাতে আপনি গায়ে দেন।
খালিদঃ আচ্ছা দিন।
রিমাঃ আপনার কোন কালারের পাঞ্জাবি পছন্দ?? (পাঞ্জাবি হাতে দিতে দিতে)
খালিদঃআমার থেকে ব্রাঊন (brown) কালারের টা গায়ে খুব ভালো লাগে।
রিমাঃও.. তাহলে বরং ঐ টাই নামিয়ে দিই।
এই বলে রিমা যখন উঠতে যাবে।খালিদ তার হাত ধরে ফেলে।
খালিদঃ আমার বউ আমার জন্য যেট পছন্দ করেছে।ঐটাই আমার পছন্দ এবং আমি ঐটায় গায়ে দিবো।
খালিদ পাঞ্জাবি টা গায়ে দিলে রিমা পাঞ্জাবির বোতাম লাগিয়ে দেয়। মাথায় টুপি পড়িয়ে দেয়।গায়ে আতর মেখে দেয়।তারপর খালিদ চোখে সুরমা লাগায়।সুরমা লাগানোর ফলে খালিদ কে খুব সুন্দর দেখায়।যা রিমাকে মুগ্ধ করে।রিমা অনেক্ষন খালিদের দিকে তাকিয়ে থাকে। খালিদ লজ্জা পেয়ে মাথা নিচু করে ফেলে।
আয়েশাঃ আসসালামু আইলাইকুম।
আয়েশার সালামের আওয়াজে রিমা সজাগ হয়।
রিমাঃ ওয়ালাইকুমুসসালাম, আফা আসুন,আসুন।
রুমে ডুকে আয়েশা খালিদের দিকে তাকাতেই হতভম্ভ হয়ে যায়।
আয়েশাঃ ভাই....আপনাকে এত সুন্দর লাগতাছে যা বলার বাহিরে। নিশ্চয় ভাবি সাজিয়ে দিছে তাইনা।ভাবি আপনার হাতে কিন্তু যাদু (এই যাদু ঐ হারাম যাদু টোনা নয়) আছে বলতে হবে।
রিমাঃ আফা.. এবার কিন্তু (পাম্প)বেশি হয়ে যাচ্ছে। আমি কিন্তু ফুলে যাবো।
আয়েশা:ভাবি.. আমি কিন্তু মোটেও পাম্প দিচ্ছি না। ভাইয়াকে সত্যি ধারুন লাগছে।
খালিদঃ এই অনেক হয়েছে। এবার বল কেন আছসিস।
আয়েশাঃ ও.. আপনাদের হযরত(আয়েশার বর) আসছে। তা জানা তে আসছিলাম।
খালিদঃ আচ্ছা যা। তুই হযরতের জন্য নাস্তা নে।আমি আসছি।
আয়েশা নাস্তা নেওয়ার জন্য চলে যায়।খালিদ আয়নার দিকে তাকিয়ে দোয়া পরার পর.(আল্লাহুম্মা হাসসান্তা খুলকি ফাহাসসিন খুলকি=আয়না দেখার দোয়া)
খালিদঃ আমাকে কি সত্যি সুন্দর দেখাচ্ছে.??
রিমাঃ জী।
খালিদঃ হুম.. বুঝতে হবে তো. আমার বউ আমায় সাজিয়ে দিয়েছে।
এই বলে খালিদ রিমা কপালে চুমু দিয়ে রুম থেকে বের হয়ে যায়। রিমার ও ইচ্ছে ছিলো খালিদকে চুমু দেওয়ার কিন্তু সে সুযোগ তৈরি হওয়ার আগেই খালিদ রুম থেকে বের হয়ে যায়।
এই বলে খালিদ রিমা কপালে চুমু দিয়ে রুম থেকে বের হয়ে যায়। রিমার ও ইচ্ছে ছিলো খালিদকে চুমু দেওয়ার কিন্তু সে সুযোগ তৈরি হওয়ার আগেই খালিদ রুম থেকে বের হয়ে যায়।
খালিদঃ আসসালামু আইলাইকুম।
হযরত :ওয়ালাইকুমুসসালাম।
তারপর তারা মুসাফাহ ও মোয়ানারকরে।
খালিদঃ বসুন. কেমন আছেন।
হযরত :আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো।আপনি
খালিদঃ আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো। মামা(আয়েশার শশুর) আসে নাই যে..
হযরত :উনি একটু অসুস্থ।
তারপর তারা বিভিন্ন আলোচনা করে আয়েশা তাদের জন্য নাস্তা নিয়া আসে।তারা নাস্তা করতে শুরু করবে কিন্তু কে যেন দরজা নক করে।খালিদ দরজা খুলেই দেখে রিমার বাবা ও রিমার ভাই।
খালিদঃ আসসালামু আলাইকুম.
রিমার বাবাঃ ওয়ালাইকুমুসসালাম
খালিদঃ কেমন আছেন, পথে কোন সমস্যা হয় নাই তো।
রিমার বাবাঃআলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি বাবা.আর পথে কোন সমস্যাও হয় নি।
খালিদঃউনি আমাদের আয়েশার বর. মসজিদ আর মাদ্রসার খেদমতে আছেন।(হযরতের দিকে দেখিয়ে)
তারপর তারা সালাম বিনিময় করে মুসাফাহ করে।
খালিদঃ আব্বা বসেন আমি নাস্তা নিয়ে আসি।
রিমার বাবাঃ না.. বাবা আগে রিমার সাথে একটু দেখা করে আসি।
খালিদঃ আচ্ছা ঠিক আছে বাবা। হযরত আপনি একটু বসুন।
হযরতঃ আচ্ছা ঠিক আছে।
খালিদ তার শশুর কে নিয়ে তাদের রুমে যায়।
খালিদঃ দেখুন সে এসেছে..
রিমাঃ আব্বু... আসসালামু আলাইকুম।(বাবাকে জড়িয়ে ধরে)
রিমার বাবাঃআলহামদুলিল্লাহ্ ভালো।তুই কেমন আসিস।
রিমাঃ আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো বাবা.মা কেমন আছে।
রিমার বাবাঃ আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো।এই নে মা. তোর জামা কাপড়.।
খালিদঃআপনি আবার এত কষ্ট করে এগুলো আনতে গেলেন কেন। আমি তো উনার জন্য কিনতাম ই।
রিমার মা:কিচ্ছু হবে না বাবা। মা তুই বরং দেখ জামা ঠিক আছে কিনা। আমাদের জন্য মনে হয় হযরত অপেক্ষা করতাছে।
খালিদঃ জী.. চলুন।
তারপর উনারা সামনের রুমে গিয়ে বসেন।খালিদ তার ভাই আর বাবাকেও আসতে বলে।তারপর সবাই আসলেন। খালিদ সবাইর জন্য নাস্তা নিলেন।সবাই একসাথে নাস্তা করলেন। বিভিন্ন আলোচনা করলেন।তারপর আযান দিলে সবাই নামায পড়েতে যায়।নামাজ পড়ে সবাই বাড়িতে আসে।এইদিকে আস্তে আস্তে মেহমানরা আসা শুরু করে। খালিদ সবাইর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে।সালাম আদান প্রদান করে সাথে মুসাফাহ মোয়ানাকা ও করে। কেহ হাদিয়া দিলে তা আদবের সাথে গ্রহণ করে। কাসিম বাবুর্চিদের সাথে মেহমানদের মেহমানদারী করানোর জন্য প্রস্তুতি নেয়। মাদ্রাসার ছাত্ররাও এরই মাঝে চলে আসে। মোটামুটি সবাইকে বসিয়ে খালিদ ও মাদ্রাসার ছাত্রদের সাথে বসে। সবাইকে কাসিম ও বাবুর্চিরা মিলে সর্বোচ্চ মেহমানদারী করানোর চেষ্টা করে।
দুপুরের খাওয়ার পর সবাই আস্তে আস্তে বিদায় নিয়ে চলে যায়।
দুপুরের খাওয়ার পর সবাই আস্তে আস্তে বিদায় নিয়ে চলে যায়।
চলবে ইনশাআল্লাহ
শিক্ষা
★ বাজারে অনেক সময় দোকারদাররা আল্লাহর নাম নেওয়া ব্যতিত তারাতরি করে মোরগ জবাই করে।তাই সম্ভব হলে মোরগ বাসায় এনে জবাই করুন।না হলে অন্তত জবাই এর মুহুর্তে আপনি উপস্থিত থেকে জবাই করুন।
★ বাজারে অনেক সময় দোকারদাররা আল্লাহর নাম নেওয়া ব্যতিত তারাতরি করে মোরগ জবাই করে।তাই সম্ভব হলে মোরগ বাসায় এনে জবাই করুন।না হলে অন্তত জবাই এর মুহুর্তে আপনি উপস্থিত থেকে জবাই করুন।
★অনেকে বাজারে মোরগ ড্রেসিং(মোরগের পালক তুলে ফেলা) করে। এটা না করাই উত্তম। দোকানদার ভাইরা একই পানিতে একটি একটি করে অনেকগুলো মোরগ ড্রেসিং। মনে রাখবেন কোন পানিতে যখন একটি মোরগ ফেলে ড্রেসিং করানো হয়।তখন ঐ পানি নাপাক হয়ে যায়। ঐ পানি দিয়ে আর কোন মোরগ ড্রেসিং করা উচিত নয়।কিন্তু দোকারদার ভাইরা ঐ পানি দিয়া একটা একটা করে অনেক গুলো মোরগ ড্রেচিং করে।
★আপনার স্ত্রীর পছন্দকে গুরুত্ব দিন।এতে আপনার প্রতি উনার ভালোবাসা বৃদ্ধি পাবে।
★ আয়না দেখতে এই দোয়া পড়ুন...
আল্লাহুম্মা হাসসান্তা খুলকি ফাহাসসিন খুলকি।
আল্লাহুম্মা হাসসান্তা খুলকি ফাহাসসিন খুলকি।
★কারো সাথে সাক্ষাৎ হলে মুসাফাহ মোয়ানাকা করা সুন্নত।
★ কারো বাড়িতে গেলে হাদিয়া নিয়ে যাওয়া সুন্নত কেউ হাদিয়া দিলে তা আদবের সাথে নেওয়া সুন্নত।
★মেহমান আসলে তাকে ৩দিন পর্যন্ত মেহমানদারী করা সুন্নত।
মেহমানের জন্য কয়েকটি সুন্নত/ করনীয় আমল
★কেহ দাওয়াত দিলে তার দাওয়াত কবুল করা সুন্নত। কেহ কেহ ওয়াজিব ও বলেছেন।
★একই সময় একাধিক লোক দাওয়াত দিলে যার ঘর নিকটে তার ঘরে যাওয়া সুন্নত।
★দাওয়াত দেওয়া হয়নি এমন কাউকে সাথে না নিয়ে যাওয়া উত্তম।
★মেজবান কর্তৃক নির্ধারিত স্থানে বসবে এবং থাকবে।
★ খাওয়ার মজলিসে এমন কিছুর আবধার না করা যা পূরণ করতে মেজবানের কষ্ট হবে।
★দাওয়াত দেওয়া হয়নি এমন কাউকে সাথে না নিয়ে যাওয়া উত্তম।
★মেজবান কর্তৃক নির্ধারিত স্থানে বসবে এবং থাকবে।
★ খাওয়ার মজলিসে এমন কিছুর আবধার না করা যা পূরণ করতে মেজবানের কষ্ট হবে।
★ মেহমান এত দীর্ঘ সময়/দিন না থাকা যাতে মেজবানের কষ্ট হয়।
★ মেজবানের অনুমতি নিয়ে বিদায় নেওয়া।
মেজবানের জন্য কয়েকটি সুন্নত/ করণীয় আমল
★মেহমানকে সম্মানের সাথেও সন্তুষ্ট চিত্তে গ্রহন করিবে।
★মেহমানের মর্যাদা অনুযায়ী তার কদর করিবে।সবাইকে এক পাল্লায় মাপা উচিত নয়।
★খাওয়ার সময় হলে অতিশীঘ্রই খাবারের ব্যবস্থা করা আদব।
★মেহমানের মর্যাদা অনুযায়ী তার কদর করিবে।সবাইকে এক পাল্লায় মাপা উচিত নয়।
★খাওয়ার সময় হলে অতিশীঘ্রই খাবারের ব্যবস্থা করা আদব।
★সম্ভবহলে মেহমানের রুচির প্রতি লক্ষ রেখে খাবারের ব্যবস্থা করবে।এবং অতিরিক্ত খাওয়ার জন্য পীড়াপীড়ি করবে না।
★বিদায়ের সময় মেহমানকে ঘর থেকে দরজা পর্যন্ত পৌছে দেওয়া সুন্নত।
★বিদায়ের সময় মেহমানকে ঘর থেকে দরজা পর্যন্ত পৌছে দেওয়া সুন্নত।
হাদিয়া প্রদান করার আদব
★হাদিয়া প্রদানে দুনিয়াবি কোন উদ্যেশ্যে না রেখে আল্লাহর রাজি খুশির উদ্দেশ্যে প্রদান করতে হবে।
★হাদিয়া গোপনে প্রদান করা আদব।
★নগদ অর্থ হাদিয়া দিলে তা মুসাফাহার সময় দেওয়া ঠিক নয়।
★নগদ অর্থ ব্যতীত অন্য কোন বস্তু হাদিয়া দিলে যাকে হাদিয়া দেওয়া হবে তার কিসের প্রতি আগ্রহ তা জেনে হাদিয়া দেওয়া উত্তম।
★বুজুর্গদের কাছে যেতে হলে হাদিয়া নিতেই হবে এমন ধারনা করা উচিত নয়।
★হাদিয়া প্রদানে দুনিয়াবি কোন উদ্যেশ্যে না রেখে আল্লাহর রাজি খুশির উদ্দেশ্যে প্রদান করতে হবে।
★হাদিয়া গোপনে প্রদান করা আদব।
★নগদ অর্থ হাদিয়া দিলে তা মুসাফাহার সময় দেওয়া ঠিক নয়।
★নগদ অর্থ ব্যতীত অন্য কোন বস্তু হাদিয়া দিলে যাকে হাদিয়া দেওয়া হবে তার কিসের প্রতি আগ্রহ তা জেনে হাদিয়া দেওয়া উত্তম।
★বুজুর্গদের কাছে যেতে হলে হাদিয়া নিতেই হবে এমন ধারনা করা উচিত নয়।
হাদিয়া গ্রহন করার আদব
★হাদিয়া নেওয়াও সুন্নত। এই নিয়তে কারো কাছ থেকে আদবের সাথে হাদিয়া নেওয়া।
★যার সম্পুর্ণ বা অধিকাংশ উপার্জন হারাম, তার হাদিয়া গ্রহণ করা জায়েয নয়।
★হাদিয়া গ্রহন করার সাথে সাথে প্রদানকারীর সামনে অন্যকে সেটা প্রদান করা উচিত নয়।এতে হাদিয়া প্রদান কারীর মনে আঘাত লাগতে পারে।
★যে বস্তু হাদিয়া প্রদান করা হল তার দাম জিজ্ঞেস করা উচিত নয়। হাদিয়া কম দামের হলেও তাকে তুচ্ছ মনে করা উচিত নয়।
★যার সম্পুর্ণ বা অধিকাংশ উপার্জন হারাম, তার হাদিয়া গ্রহণ করা জায়েয নয়।
★হাদিয়া গ্রহন করার সাথে সাথে প্রদানকারীর সামনে অন্যকে সেটা প্রদান করা উচিত নয়।এতে হাদিয়া প্রদান কারীর মনে আঘাত লাগতে পারে।
★যে বস্তু হাদিয়া প্রদান করা হল তার দাম জিজ্ঞেস করা উচিত নয়। হাদিয়া কম দামের হলেও তাকে তুচ্ছ মনে করা উচিত নয়।
★হাদিয়া গ্রহনের পর তার জন্য দোয়া করা
জাজাকাল্লহ বা বারাকাল্লাহ ফি কুম বল।
জাজাকাল্লহ বা বারাকাল্লাহ ফি কুম বল।
tag
0 coment rios:
আপনার একটি গুরুত্বপূন্য কমেন্ট লেখককে অনুপ্রানিত করে । অনুগ্রহ করে আপনার অনুভুতি আমাদেরকে জানান । আশা করি আমরা সহযোগিতা করতে পারবো ।