সুন্নত জিন্দার মিশন। পর্ব ২৭
Md Abdul Kaiyum
খালিদ নিজের মন কে শক্ত করে উঠে দাড়ায়।তারপর নিজে উপস্থিত থেকে মাইয়াতের গোসল করানো হয়।তারপর কাপনের কাপড় পারানো হয়।তারপর খালিদ নিজে গোসল করে নেয়।যোহরের আযান দিলে সবাই নামাজ পড়তে মসজিদে যায়।প্রায় ২টার দিকে মাইয়াতের জানাযার নামাজ তার বাড়িতে উনুষ্ঠিত হয়।জানাযার নামাজের ইমামতি খালিদ নিজে করে।তারপর মাইয়েত কে কবরে রাখা হয়।তারপর দোয়া করে খালিদ সহ বাড়ির অন্যন্য সদস্যরা বাড়িতে আসে।
জোহরের আযান দিলে রিমা বড়ভাবির রুমে এসে বড়ভাবিকে নিয়ে অযু করে নামাজ আদায় করে নেয়।এসময় বাড়িতে থাকা অন্যন্যা সদস্যারাও নামাজ আদায় করে নেয়।
বাড়িভর্তি এত মানুষ থাকা সত্ত্বেও রিমা বড়ভাবি ও খালিদের মা পর্দার ব্যাপারে যথেষ্ঠ সচেতন ছিলেন।ঘরের মাঝে কোন পুরুষ মানুষ কে প্রবেশ করতে নিষেধ করা হয়।
মাঝে কয়েকজন টিভি সাংবাদিক আসলেও খালিদ তাদের কে ভিডিও ফুটেজ নিতে নিষেধ করে।তাদেরকে আদবের সাথে সব বুঝিয়ে বলে।তারপর তারা কোন ভিডিও ফুটেজ না নিয়েই চলে যায়।
খালিদের এক আত্মীয় বাড়ির থেকে দুপুরের খাবার আসলে আত্মীয় স্বজনরা খালিদের পরিবারের সবাইকে বুঝিয়ে শুনিয়ে দুপুরের ভাত খাওয়ানোর চেষ্টা করুন।রিমা নিজে এসে বড়ভাবিকে লোমকা তুলে খাইয়ে দেয়।
বিকাল হতে হতে আস্তে আস্তে সব আত্মীয় স্বজনরা খালিদের বাড়ি থেকে বিদায় নেয়।সর্বশেষ তাদের বাড়িতে থেকে যায় আয়েশা,বড়ভাবির মা এবং খালিদের খালা।
আছরের নামাজ পড়ে খালিদ ঘরে আসে।রিমা রুমে গিয়ে বড়ভাবির হাত পুড়ু যাওয়ার ঘটনাটি বলে। খালিদ উঠে বাজারে রওনা দেয়।এবং ফার্মাসিস্ট এর পরামর্শ নিয়ে ওষুধ নিয়ে আসেন। মাগরিবের আযান দিলে খালিদ আবু বক্কর আর উমর কে নিয়ে মসজিদে চলে যায়।
নামাজ শেষ করে এসে খালিদ আবু বক্কর ও উমর কে নিয়ে তাদের রুমে সুরা অকিয়াহ তেলোয়াত করে। মুলত আবু বক্কর তেলোয়াত করে খালিদ আর উমর পাশে বসে শ্রবণ করে। এসময় বাড়ির মহিলারাও নামাজ আদায়য় করে কেউ কেউ সুরা অকিয়াহ তেলোয়াত করে আর বাকিরা ভিবিন্না জিকির ওবিভিন্ন দোয়া দুরুদ আদায় করে।
পাশের বাড়ি থেকে খালিদের চাচারা তাদের জন্য নাস্তার ব্যবস্থা করে। তারা অনেকেই খেতে না চাইলেও বিভিন্ন রকম কথা বলে/সান্ত্বনা দিয়ে তাদের কে নাস্তা করায়।খালিদের চাচা ও চাচাতো ভাই তাদের সাথে এবং খালিদের চাচী মহিলাদের সাথে নাস্তা করে।
ইশার আযান দিলে খালিদ ভাতিজা দের নিয়ে নামাজ পড়তে চলে যায়।নামাজ পরার পর বাড়িতে এসে তারা সুরা মুলক তেলোয়াত করে।
কিছুক্ষন পর খালিদের খালাতো ভাই তাদের জন্য রাতের খাবার নিয়ে আসে। সবাই কোন রকম রাতের খাবার খাওয়ার পর খালিদের খালাতো ভাই আর খালিদের খালা চলে যায়।
খালিদ সামনের রুমে দুই ভাইকে ঘুম পাড়িয়ে দিয়ে আসে।মাদ্রাসায় তারাতরি ঘুমাতে হয়। তাই তারাতারি ঘুম পাড়াতে খালিদের তেমন বেগ পেতে হয়নি।খালিদ তাদের ঘুম পাড়িয়ে দিয়ে তার রুমে চলে যায়।
রিমা আর আয়েশা বাড়ির অন্যান্য কাজ গুলো গুছিয়ে রাখে। তারপর রিমা তাদের রুমে যায়।তখন খালিদ অন্য মনস্ক হয়ে খাটের উপর বসে থাকে।
সকাল থেকে খালিদের সাথে রিমার তেমন একটা দেখাও হয় নি।
রিমা ঘরে প্রবেশ করাতে খালিদের ধ্যান খেয়াল ফিরে আসে। রিমা দেখেই খালিদ দাড়িয়ে যায়।রিমা কাছে আসলেই রিমাকে জড়িয়ে ধরে খালিদ কান্না শুরু করে। সারাদিনের জমানো চোখের পানি গুলো যেন চোখ থেকে অনবরত পড়তেই আছে।রিমা ও চোখের পানি ছেড়ে দেয়।
অনেক্ষন এভাবে কান্নার পর
রিমাঃ এভাবে ভেঙে পড়লে হবে..? আপনাকে শক্ত হতে হবে।আপনি ভেঙে পড়লে তো পুরো পরিবার টাই ভেঙে পড়বে।মেহেরবানী করে আপনি একটু শক্ত হোন।ধরে নিন এটা আমাদের জন্য মাওলার পক্ষ থেকে সবরের পরিক্ষা। মেহেরবানী করে এভাবে ভেঙে পড়বেন না।আপনি যদি ভেঙে পড়েন আব্বা আম্মার কি হবে..?
খালিদ রিমা কে ছেড়ে দেয়।কিন্তু কিছু বলতে পারছে না।
রিমাঃ আমি মশারি টাঙিয়ে নিচ্ছি।একটু ঘুমান।সারাদিন অনেক পরিশ্রম করছেন।একটু বিশ্রাম নিন।না হয় তো আপনি দুর্বল হয়ে পড়বে।
রিমা মশারি টাঙিয়ে নেয়।খালিদ উঠে এক পাশে শুয়ে পড়ে।রিমা গিয়ে খালিদের মাথার পাশে বসে খালিদের মাথা টিপে দেয়।এবং ঘুমাতে বলে।কিন্তু কিছুতেই খালিদের ঘুম আসছে না।কিছুক্ষন পর পর খালিদের চোখের কোণায় পানি আসে।
অনেক্ষন পর খালিদ উঠে বসে।খালিদ লক্ষ করে রিমার চোখে প্রচুর ঘুম।
খালিদঃ আপনি ঘুমান।আমি আসতেছি।
রিমাঃ কোথায় যাবেন.???
খালিদঃআসলে ঘুম আসতেছেনা।অযু করে নামাজ পড়বো।
রিমাঃ ও
খালিদঃ আপনি রেষ্ট নিন।সারাদিন তো আপনিও অনেক পরিশ্রম করেছেন।
তারপর খালিদ গিয়ে অযু করে এসে জায়নামাজে দাড়িয়ে যায়।নামাজ শেষ করে দীর্ঘক্ষন মোনাজাতে চোখের পানি ফেলে।
দোয়া করার পর কিছুক্ষন চেয়ারে বসে থাকে।তারপর আযান দিলে রিমাকে ডেকে দেয়। তারপর তার ভাইয়ের ছেলেদের ডেকে দেয়।তারা উঠে অযু করতে করতে খালিদ সুন্নত আদায় করে নেয়।তারপর ভাতিজাদের নিয়ে মসজিদে চলে যায়।
ফজরের নামাজ শেষ করে তারা কবর যিয়ারত করে।এবং খালিদের ভাইয়ের মাগফেরাতের জন্য দোয়া করে।
তারপর খালিদ বাজার থেকে সকালের নাস্তার জন্য পরোটা আর আলু ভাজি কিনে নেয়।তারা ঘরে আসলে আয়েশা খালিদ আর তার ভাতিজাদের কে নাস্তা এনে দেয়।মহিলারা একসাথে সবাই নাস্তা করে। আর খালিদের আব্বা আর আম্মা তাদের রুমে নাস্তা করে।
নাস্তা করার পর খালিদ তার ভাতিজাদের নিয়ে একটু বাহিরে ঘুরতে যায়।রিমা আর আশেয়া দুপুরের রান্নার জন্য প্রস্তুতি নেয়।
কিছুক্ষন পর খালিদ তার ভাতিজাদের নিয়ে বাড়ি আসে।বাড়ির টুকিটাকি কাজ করে নেয়।তারপর তারা গোসল করে আযানের অনেক আগেই মসজিদে চলে যায়।
রিমা আর আয়েশা দুপুরের আর রাত্রের খাবারের জন্য ভাত আর তরকারি রান্না করে নেয়।তারপর একে একে সবাই গোসল করে নেয়।আযান দিলে সবাই নামাজ পড়ে নেয়।
নামাজের পর পুরুষরা বাড়িতে আসলে আয়েশা তাদের ভাত বেড়ে দেয়।পুরুষরা খাবার খাওয়ার পর মহিলারা খাবার খেয়ে নেয়।
বিকালবেলা বড়ভাবির ভাই আসলো উনার মাকে নেওয়ার জন্য।তখন বড়ভাবি তাদের সাথে যাবে কিনা প্রশ্ন করলে বড়ভাবি #ইদ্দত পালন করবে বলে জানায়।তারপর বড়ভাবি তার মাকে বিদায় দেয়।
দেখতে দেখতে ৩দিন পার হয়ে গেলো। আয়েশা আর রিমা মিলে বাড়ির সব কাজ করে।খালিদ তার ভাতিজাদের নিয়েই সময় কাটায়।খালিদের মাও এখন আগের থেকে কিছুটা সুস্থ।বড়ভাবি ও এখন রুম থেকে বের হয়ে মাঝে মাঝে অন্যান্য রুমে বা উঠানে হাটাচলা করে।
বিকাল বেলা আয়েশার বর এসে আয়েশাকে নিয়ে চলে যায়।পরদিন সকাল বেলা খালিদ আবু বক্কর আর উমর কে বুঝিয়ে শুনিয়ে মাদ্রসায় দিয়ে যায়।মাদ্রসা থেকে এসে আজ চার (৪) দিন পর খালিদ আবার দোকান খুলে।
এভাবেই তাদের সংসার চলছে।রিমা বাড়ির প্রায় সকল কাজ করে।মাঝে মাঝে বড়ভাবি সাহায্য করতে গেলে রিমা আদবের সাথে করতে নিষেধ করে।তারপরেও নিষেধ উপেক্ষা করে বড়ভাবি অনেক কাজ করে দেয়।মাঝে মাঝে খালিদ তার ভাতিজাদের মাদ্রাসা থেকে ২/১ দিনের জন্য নিয়ে আসে।
এভাবেই তাদের সংসার চলছে।রিমা বাড়ির প্রায় সকল কাজ করে।মাঝে মাঝে বড়ভাবি সাহায্য করতে গেলে রিমা আদবের সাথে করতে নিষেধ করে।তারপরেও নিষেধ উপেক্ষা করে বড়ভাবি অনেক কাজ করে দেয়।মাঝে মাঝে খালিদ তার ভাতিজাদের মাদ্রাসা থেকে ২/১ দিনের জন্য নিয়ে আসে।
তাদের বাড়িটা আগের মত এতো আনন্দদায়ক মুহুর্ত না থাকলে একেবারে বেদানায় ও যাচ্ছে না।মাঝে একদিন খালিদ রিমাকে নিয়ে তার মায়ের অনুমতি নিয়ে শশুর বাড়ি থেকে ঘুরে আসে।
হঠাৎ একদিন রিমা অসুস্থ হয়ে যায়।খালিদ আয়েশাকে খাবর পাঠায় তাদের বাড়িতে আশার জন্য।আয়েশার বর এসে আয়েশাকে দিয়ে যায়।
বিকাল বেলা খালিদ আয়েশা আর রিমাকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে যায়।রিমা আর আয়েশা ডাক্তারের চেম্বারে প্রবেশ করে।
ডাক্তারের সাথে কথা বলা পর ডাক্তার কিছু টেষ্ট দেয়।
তারপর টেষ্ট করানোর পর রিপোর্ট নিয়ে তারা আবার চেম্বারে প্রবেশ করে।
তারপর টেষ্ট করানোর পর রিপোর্ট নিয়ে তারা আবার চেম্বারে প্রবেশ করে।
চেম্বার থেকে বের হওয়ার পর কি হয়েছে জানতে চাইলে আয়েশা খুশির সংবাদ টি প্রকাশ করে।খালিদ যেন মহাখুশিতে আত্মহারা। হস্পিতাল না হলে হয়তো রিমাকে কোলে নিয়ে আনন্দের উল্লাস করতো।
খালিদ আল্লাহর শোকর আদায় করে। রিমা তখন লজ্জায় মাথা নিচু করে রাখে।
খালিদ তাদের নিয়ে ফিরে আসার সময় ওষুধ কিনে নেয়।তাদের বাড়ি নামিয়ে সে দোকানে খুলতে চলে যায়।
রিমার জন্য বড়ভাবি আর রিমার শশুর শাশুড়ি অপেক্ষায় ছিল।খুশির সংবাদ শুনার পর সবাই তো আনন্দে আত্মহারা। দীর্ঘ দিন পর আজ বড়ভাবির মুখেও হাসি ফুটেছে।#এই_যেন_আল্লাহ_তাদের__সবরের_পরিক্ষায়_পাসের_পর_একটা #খুশির_বার্তা_দিলেন।
রাতে খালিদ তারাতারি বাড়ি ফিরে আসে।রাতে খাবার পর খালিদ রিমা কে খাটের উপর বসিয়ে
খালিদঃ আজ আমার জীনবে সত্যি অন্যতম খুশির দিন আলহামদুলিল্লাহ্। জানিনা আজকের মত এত খুশি আমি আগে কখনো হয়েছি কিনা। বলুন আপনি আমার কাছে কি চান।আপনি যা চাইবেন ইনশাআল্লাহ আমি আপনাকে তাই দিবো।
রিমাঃ এই খুশির সংবাদের তো ব্যবস্থা করে দিয়েছন আল্লাহ তা'য়ালা। উনাকে কি দিয়েছেন....?
খালিদঃ জী...উনাকে কি দিবো তা উনাকে অনেক আগেই জানিয়ে দিছি।এখন আপনি বলেন আপনি আমার কাছে কি চান.??
রিমাঃ সত্যি.. আমি যা চাই তা দিবেন তো ইনশাআল্লাহ।
খালিদঃ জী ইনশাআল্লাহ। আপনি যা চাইবেন আমার সামর্থ থাকলে ইনশাআল্লাহ আমি তা আপনাকে দিবো।
রিমাঃ আমি চাই..........
চলবে ইনশাআল্লাহ
শিক্ষা
★স্বামির মৃত্যুতে স্ত্রী চার(৪) মাস দশ(১০) দিন শোক পালন করবে(ইদ্দত)।-বুখারী ১২০৭
★শোক পালন করতে গিয়ে নামাজ, পর্দা সহ শরীয়তের হুকুম যেন বাদ না পড়ে সে দিকে খেয়াল রাখা চাই।
★মাইয়েত কে বড়ই পাতা দিয়ে গোসল করানো সুন্নত। -বুখারী১১৮০
★দ্রুত দাফন কাফন সম্পুর্ণ করা উত্তম।জানাযার নামাজে অধিক লোক হবে এই আশায় দেরি করা অনুচিত (মাকরুহ)।
★কাপনের কাপড় সাদা হতে হবে।-তিরমিযী ৬৭
★জানাযার নামাজ নিকট আত্মীয়(ছেলে,বাবা,ভাই ইত্যাদে)পড়ানো উত্তম।যদি আত্মীদের মাঝে কারো যোগ্যতা না থাকে তাহলে স্থানীয় মসজিদের ইমাম বা নেককার কাউকে দিয়ে পড়ানো যায়।
জানাযা সংক্রান্ত কয়েক টি তথ্য
★জানাযা নামাজে মাইয়েত সামনে থাকা জরুরী।
★জানাযা নামাজের বাহিরে ৬ ফরজ
১)শরীর পাক ২)কাপড় পাক ৩) নামাজের স্থান পাক ৪)সতর ঢাকা ৫)কিবলামূখী হওয়া ৬) নামাজের নিয়ত করা।
১)শরীর পাক ২)কাপড় পাক ৩) নামাজের স্থান পাক ৪)সতর ঢাকা ৫)কিবলামূখী হওয়া ৬) নামাজের নিয়ত করা।
****নামাজের নিয়ত বাংলায় করলেও হবে। ""আল্লাহর ওয়াস্তে এই মাইয়েতের জন্য দোয়া করার উদ্দেশ্যে নামাজের নিয়ত করছি"" (আহকামে জিন্দেগী)
★জানাযায় নামাজের ফরজ ২টি
১)৪ তাকবীরের সহিত নামাজ পড়া।বুখারী ১১৭৩
২)দাড়িয়ে নামাজ আদায় করা।
১)৪ তাকবীরের সহিত নামাজ পড়া।বুখারী ১১৭৩
২)দাড়িয়ে নামাজ আদায় করা।
জানাযার নামাজে সুন্নত ৪টি
১)ইমামের জন্য মাইয়াতের সীনা বরাবর দাড়ানো।
২)১ম তাকবীরে পর সানা পড়া।(নামাজে যে সানা পড়ি তা পড়লেও চলবে)
৩)২য় তাকবীরের পর দুরুদ শরীফ পড়া।
৪)৩য় তাকবীরের পর দোয়া পড়া।
১)ইমামের জন্য মাইয়াতের সীনা বরাবর দাড়ানো।
২)১ম তাকবীরে পর সানা পড়া।(নামাজে যে সানা পড়ি তা পড়লেও চলবে)
৩)২য় তাকবীরের পর দুরুদ শরীফ পড়া।
৪)৩য় তাকবীরের পর দোয়া পড়া।
***
মনে রাখা জরুরী প্রথম তাকবীর বলার সময় হাত উঠিয়ে বেধে রাখবে।বাকী অন্যান্য তাকবীর বলার সময় হাত উঠাতে হবে না।মুখে তাকবীর বললেই হবে।
মনে রাখা জরুরী প্রথম তাকবীর বলার সময় হাত উঠিয়ে বেধে রাখবে।বাকী অন্যান্য তাকবীর বলার সময় হাত উঠাতে হবে না।মুখে তাকবীর বললেই হবে।
***উভয় সালামের পর হাত ছেড়ে দেওয়া কিংবা ডান দিকে সালাম ফিরানোর পর ডান হাত বাম দিকে সালাম ফিরানোর পর বাম হাত ছেড়ে দেওয়া।উভয় ভাবে করা যায়।
★জুতা খুলে মাটিতে দাড়িয়ে নামাজ পড়া উত্তম। তবে জুতা পাক থাকলে জুতা পড়ে বা জুতার উপর দাড়িয়ে নামাজ পড়া যায়।
জানাযা বহন সংক্রান্ত কয়েকটি তথ্য
★মাইয়েত শিশু হলে বা হাতে হাতে বহনযোগ্য হলে ছোট হলে পর্যায়ক্রমে হাতে হাতে বহন করে নিয়ে যাবে।আর বড় হলে খাটিয়াতে শুইয়ে নিয়ে যাবে।খেয়াল রাখা চাই মাথা যেন সামনে থাকে।
★খাটিয়ার পায়াকে হাত দ্বারা উঠিয়ে কাধেঁর উপর রাখবে।
★কবরস্থান দূর বা কোন ওজর না থাকলে গাড়ি বা সওয়ারী ব্যবহার করা মাকরুহ।।
★খাটিয়ার পায়াকে হাত দ্বারা উঠিয়ে কাধেঁর উপর রাখবে।
★কবরস্থান দূর বা কোন ওজর না থাকলে গাড়ি বা সওয়ারী ব্যবহার করা মাকরুহ।।
★দ্রুত কদমে চলা সুন্নত। তবে দৌড়ে নয় কিংবা খুব বেশি দ্রুত নয়।
★সাথীরা মাইয়াতের ডান বামে নয়।বরং পিছনে থাকবে।
★সাথীদের পায়ে হেটে চলা মোস্তাহাব। তবে জানবাহন থাকলেও মাইয়াতের পিছনে থাকবে।
ইদ্দত সংক্রান্ত কয়েকটি তথ্য
****স্ত্রী তালাকপ্রাপ্তা হলে বা তার স্বামীর মৃত্যু হলে যে সময়ের জন্য উক্ত স্ত্রীকে এক বাড়ীতে থাকতে হয়,অন্যত্র যেতে পারে না বা অন্য কোথাও বিয়ে বসতে পারে না,তাকে ""ইদ্দত"" বলে।
★সে স্ত্রীর স্বামি মারা যায় তার ইদ্দত হলো চার মাস দশ দিন আর গর্ববতী হলে তার ইদ্দত সন্তান প্রসব হওয়া পর্যন্ত
★স্বামির মৃত্যু হলে মৃত্যু কালে স্ত্রী যে বাড়িতে ছিল ইদ্দত পালন করার সময় ঐ বাড়িতেই দিন রাত থাকবে।গরীব হলে কাজের জন্য দিনের বেলা বাহিরে যেতে পারবে কিন্তু রাতের বেলা ঐ বাড়িতেই থাকতে হবে। তবে নিরাপত্তার অভাব হলে নিকটতম স্থানে স্থানান্তরিত হয়ে ইদ্দত পালন করবে। একটা নির্দিষ্ট স্থানে আবদ্ধ থাকা জরুরী নয়।বাড়ির বারান্দা বা উঠানে বের হতে পারবে।
★স্বামীর মৃত্যুতে ইদ্দত পালন করার সময় সাজ সজ্জা এবং রুপচর্চা থেকে বিরত থেকে শোক পালন করবে।
কারুকার্যিত কাপড়,অনলংকার, খিযাব,সুরমা ইত্যাদি ব্যবহার থেকে বিরত থাকবে-আবু দাউদ ২২৯৮
কারুকার্যিত কাপড়,অনলংকার, খিযাব,সুরমা ইত্যাদি ব্যবহার থেকে বিরত থাকবে-আবু দাউদ ২২৯৮
★স্বামীর মৃত্যুতে ইদ্দল পালনের সময় সুগন্ধি, মেহেদি, লাগানো থেকে বিতর থাকতে হবে-(আল জামে, নিআহকামিল কুরআন,কুরতবী)
★স্ত্রী তালাকপ্রাপ্তা হলে তালাকের তারিখের পূর্ণ তিন হায়েয অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত উক্ত স্ত্রীর পক্ষে অন্য কোথাও বিয়ে বসা হারাম।
★ইদ্দতের সময়ে তাকে স্বামীর বাড়িতেই নির্জন বসস্থানে থাকতে হবে।
★উক্ত স্ত্রী বয়স বেশী হলে বা বৃদ্ধা হওয়ার কারনে হায়েজ না হলে তিন হায়েজ পরিবর্তে পূর্ণ তিন মাস ইদ্দত পালন করতে হবে।
★গর্ববস্থায় তালাক হলে সন্তাম প্রসব হলে সাথে সাথে ইদ্দত শেষ হয়ে যায়।
★হায়েজের অবস্থায় তালাক হলে ঐ হায়েজকে ইদ্দতের মধ্যে ধরা যাবে না।ঐ হায়েজ বাদ দিয়ে পূর্ণ তিন হায়েজ ইদ্দত পালন করতে হবে।
★সহবাস বা নির্জনবাস হওয়ার আগেই তালাক হলে ইদ্দত পালন করতে হয় না।
★তালাকপ্রাপ্তা ইদ্দত পালনের সময় স্বামি থেকে সতর্কতার সাথে পর্দা করতে হবে। স্বামি থেকে অবৈধ আক্রমনের আশংকা থাকলে সেখান থেকে সরে অনত্র গিয়ে ইদ্দত পালন করবে।
শরীয়ত পরিপন্থী কাজ
★জানাযার নামাজের পর হাত তুলে দোয়া করা বিদাআত।
★জানাযার নামাজের পর হাত তুলে দোয়া করা বিদাআত।
★লাশকে সামনে রেখে লোকটা কেমন ছিল.প্রশ্ন করা করা হয়.আর উপস্থিত লোকেরা বলে ভালো ছিল। শরীয়তের এরুপ বলার কোন ভিত্তি নাই।
★মহিলাদের কবর যিয়ারত করা সম্পুর্ণ নিষেধ।
★কবরের উপর চেরাগ,মোমবাতি, ইত্যাদি দেওয়া নিষেধ।
0 coment rios:
আপনার একটি গুরুত্বপূন্য কমেন্ট লেখককে অনুপ্রানিত করে । অনুগ্রহ করে আপনার অনুভুতি আমাদেরকে জানান । আশা করি আমরা সহযোগিতা করতে পারবো ।