সুন্নত জিন্দার মিশন পর্ব ৩১Md Abdul Kaiyum
সন্ধ্যায় খালিদ আসলে রিমা খালিদ কে সব কিছু বিস্তারিত বলে। তারপর রিমা নিজের হাতে খালিদকে রেডি করিয়ে দেয়।পাঞ্জাবি, পাগড়ি,টুপি পড়িয়ে দেয়।আতর সুরমাও লাগিয়ে দেয়।তারপর রিমা আর খালিদ সামনের রুমে আসে।সেখানে আগ থেকেই খালিদের বাবা উপস্থিত ছিল।মূলত রিমা আর খালিদের বাবা ছেলের(খালিদ) পক্ষে কাজ করবে আর আয়েশা আর খালিদের মা মেয়ের (বড়ভাবি) পক্ষে কাজ করবে।
সামনের রুমে রিমা খালিদ ও তার বাবা বসে অপেক্ষা করে।কিছুক্ষন পর আয়েশা নাস্তা নিয়ে আশে।
আয়েশাঃ নিন। নাস্তা গ্রহণ করুন।
রিমাঃ জী ইনশাআল্লাহ। কিন্তু আপনাদের মেয়ে কই।
(রিমার মুখে এমন কথা শুনে তো খালিদ পুরোই অবাক।খালিদ আড়চোখ করে রিমার দিকে তাকায়।)
আয়েশাঃ জী, আপনারা নাস্তা নিন।কিছুক্ষনের মাঝেই মেয়ে আসবে ইনশাআল্লাহ।
কিছুক্ষন পর খালিদের মা আর আয়েশা মিলে বড়ভাবিকে নিয়ে আসে।আয়েশা অনেক চেষ্টা করছিল বড়ভাবিকে একটু বেশি করে সাজাতে কিন্তু বড়ভাবি আপত্তি জানায়।তাই আর বেশি জড়াজড়ি করে নি।যারা নিয়মিত ধর্মীয় নিয়মনীতি মেনে চলেন তাদের চেহেরায় এমনে নূর ভাসতে থাকে তাদের আর বাড়তি সাজানো লাগেনা।বড়ভাবিকে নরমাল ভাবেই মা-শা- আল্লাহ খুব সুন্দর দেখাচ্ছে।
বড়ভাবী সালাম দিয়ে সামনের রুমে প্রবেশ করে।তারপর বড়ভাবিকে খালিদের সামনা সামনি বসানো হলো।খালিদ আর বড়ভাবি একে অপরকে এক পলক দেখে নেয়।তারপর চোখে চোখ পড়াতেই দুইজনে আবার চোখ নামিয়ে ফেলল।
আয়েশাঃ কি ভাই....? আমাদের মেয়েকে পছন্দ হয়েছে তো.?(মুচকি হাসতে হাসতে)
আয়েশার কথা শুনে খালিদ ও বড়ভাবি কিছুটা লজ্জা পায়।বাকিরা মুচকি হেসে দেয়।
খালিদের বাবাঃ আচ্ছা বাবা..তোর কি মেয়েকে কিছু বলার বা প্রশ্ন করার আছে.?
খালিদঃ জী।
খালিদের বাবা :তাহলে প্রশ্ন করো।আমরা কি থাকবো.?? নাকি অন্যরুমে চলে যাবো।
খালিদঃ না বাবা।আপনারা সবাই থাকুন।
খালিদের বাবাঃ আচ্ছা ঠিক আছে। কি বলবা বলো..?
খালিদঃ কেমন আছেন.?
বড়ভাবীঃ আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো।আপনি.?
খালিদঃ আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো। আপনি.. জীবনসজ্ঞী বলতে কি বুঝেন.?
বড়ভাবীঃ জীবনসজ্ঞী বলতে বুঝি.. যে আমার সুখে দুঃখে সব সময় পাশে থাকবে।
খালিদঃ কেমন জীবনসজ্ঞী পছন্দ করেন।অর্থাৎ কি ধরনের ছেলেকে জীবনসজ্ঞী হিসেবে পাশে পেতে চান.?
বড়ভাবীঃ এক কথায় যদি বলি তাহলে ধার্মিক। যিনি আমাকে হালাল কাজে উৎসাহ দিবে হারাম কাজে বাধা দিবে।
খালিদঃ মা-শা- আল্লাহ। আপনার জীবনসজ্ঞীর ক্যারিয়ার বা উপার্জন হিসেবে কোন জিনিষ টা বেশি পছন্দ করেন।চাকরি, ব্যবসা, প্রবাস ইত্যাদি.?
বড়ভাবীঃ জীবনসজ্ঞীর উপার্জনের মাধ্যম যেইটাই হোক আমার কোন আপত্তি নাই।তবে সেটা হালাল হতে হবে।তা অল্প হলেও মাওলার শুকরিয়া।
খালিদঃ ধরুন আমার সাথে আপনার বিবাহের পর আপনি আপনার অধিকার ঠিক মত পাচ্ছেন না। এ ক্ষেত্রে আপনি কি করবেন.?
বড়ভাবীঃ দেখুন আল্লাহ পাক কাহারো উপরে জুলুম করেন না। যদি এমন টা হয় যে আমি আমার অধিকার ঠিক মত পাচ্ছি না।তাহলে আমি দুইটা জিনিষ ভাববো।১)এটা মাওলার পক্ষ থেকে আমার জন্য পরিক্ষা
২)নিশ্চয় আমার কোন না কোন জায়গায় কমতি আছে যার কারনে আমি আমার অধিকার থেকে বঞ্চিত।আমি ঐ জায়গা তালাশ করবো। তারপর তা সমাধানের চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।
তাছাড়া ওষুধ হিসেবে তো শেষ রাত্রের চোখের পানি আছেই।
২)নিশ্চয় আমার কোন না কোন জায়গায় কমতি আছে যার কারনে আমি আমার অধিকার থেকে বঞ্চিত।আমি ঐ জায়গা তালাশ করবো। তারপর তা সমাধানের চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।
তাছাড়া ওষুধ হিসেবে তো শেষ রাত্রের চোখের পানি আছেই।
খালিদঃ ধরেন আমি আরেক টা বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিলাম।আপনাকে জানালাম এ ক্ষেত্রে আপনার মন্তব্য কি.??কিংবা আপনাকে না জানিয়ে আমি আরেকটা বিয়ে করে বউ নিয়ে ঘরে আসলাম।এ ক্ষেত্রে আপনি কি করবেন।
বড়ভাবীঃ দেখুন ইসলাম আপনাকে চার বিবাহ করা পর্যন্ত অধিকার দিয়েছে।তবে শর্ত দিয়েছে সবার মাঝে তাদের প্রাপ্য অধিকার ঠিক মতো দিতে হবে। আপনি যদি সবার অধিকার ইনসাফ ভিত্তিক করতে পারেন আলহামদুলিল্লাহ্ আমার তাতে কোন আপত্তি নাই।
খালিদঃ স্বামীর অধিকার বলতে কি বুঝেন.?
বড়ভাবীঃ দেখুন আমি যতটুকু জানি স্বামীর প্রশান্তির জন্য স্ত্রী কে তৈরী করা হয়েছে।অতএব উনার সব কথা মেনে চলা আমার কর্তব্য। কিন্তু শরিয়াহ বিরুধি কথা বা কাজ মানা যাবে না।
খালিদঃ রাস্তায় আযান দিলে কি করেন.? ধরেন আপনি বাসা থেকে অনেক দুরে আছেন.?
বড়ভাবীঃ আলহামদুলিল্লাহ্ আমি আউয়াল ওয়াক্তে নামাজ পড়ার চেষ্টা করি।কোথাও বের হওয়ার আগে নামাজ পড়েই বের হই।আর নামাজের সময় না হলে যথেষ্ট সময় হাতে নিয়ে বের হই যাতে গন্তব্যে পৌছে নামাজ পড়তে পারি।
খালিদঃ আলহামদুলিল্লাহ্। আমার আর কোন প্রশ্ন নাই।
খাদিল আর বড়ভাবির এতক্ষন প্রশ্নোত্তর পর্ব বাকি সবাই খুব মনোযোগ সহকারে শুনে।রিমা তো মনে মনে মাওলার দরবারে শুকরিয়া আদায় করে।রিমা মনে মনে ভাবে আমার ক্ষেত্রে যদি উনি এমন প্রশ্ন গুলো করতো আমি তো নিশ্চিত ফেল করতাম।আলহামদুলিল্লাহ্ বড়ভাবি কত সুন্দর ও সাবলিল ভাষায় উত্তর দিতে হয়।মনে মনে বড়ভাবির জন্য দোয়াও করে।আবার রিমা ভাবে বড়ভাবি কিভাবে এত সুন্দর ভাবে উপস্থিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দিলো.?? তখন তার মনে পড়ে গেলো বড়দের একটি কথা """#জানা_এলেম_এর_উপর_যে_আমল_করবে_আল্লাহ_তাকে_অজানা_এলেম_দান_করবে""
খালিদের বাবাঃ মা-শা- আল্লাহ। তো মা.... তোমার কোন প্রশ্ন আছে.???
বড়ভাবি :জী (মাথা নেড়ে)
খালিদের বাবাঃ ঠিক আছে তাহলে তুমি প্রশ্ন করো.?
বড়ভাবীঃ বিয়ে বলতে কি বুঝেন.??
খালিদঃ বিয়ে বলতে কি বুঝি...এর উত্তর যদি আমি দিতে চাই তাহলে প্রথমত বলতে হয় বিয়ে আল্লাহ পাকের হুকুম।তারপর যদি বলি বিয়ে মানে দুইটি মনের মিল হওয়া।একে অপরের সুখ দুঃখের সাথী হওয়া।একে অপরের হালাল চাহিদাগুলো পূরণ করার চেষ্টা করা।
বড়ভাবীঃ কেমন জীবনসজ্ঞী আশা করেন?
খালিদঃ ঠিক আপনি যেমন টি বলছেন।এককথায় ধার্মিক। আমাকে হালাল কাজে উৎসাহ দিবে আর হারাম করতে বাধা দিবে।আমি আরো আশা করি যে আমার অল্প উপার্জনেও সন্তুষ্ট থাকবে।
বড়ভাবীঃ ধরুন আপনার সাথে আমার বিবাহ হলো তারপর আমি আপনাকে বলছি আমি আপনার পিতামাতার খেদমত করতে পারবো না।তখন আপনি কি করবেন।
খালিদঃ দেখুন শরিয়াহ মতাবেক আমার পিতামাতার খেদমত করা আপনার জন্য বাধ্যতামূলক নয়।তাই আমার পিতামাতার খেদমত করার জন্য আপনাকে চাপ প্রয়োগ করার প্রশ্নেই উঠেনা।উনাদের জিম্মাদারি আমার।তাই আপনি নিজ থেকে না করলে আমি অন্যভাবে হলেও উনাদের খেদমতের ব্যবস্থা করবো ইনশাআল্লাহ। তবে আপনাকেও খেয়াল রাখতে হবে আজ আপনি কারো বউ হয়ে থাকলেও একদিন আপনাকেও শাশুড়ি হতে হবে।
বড়ভাবী:স্বামীর আনুগত্য বলতে কি বুঝেন.?
খালিদঃ স্বামীর সকল ধরনের হালাল চাহিদা আশা প্রত্যাশা ইত্যাদি পূরনের চেষ্টা করা।
বড়ভাবীঃ আলহামদুলিল্লাহ্। আমার আর কোন প্রশ্ন নাই।
খালিদের বাবাঃ আলহামদুলিল্লাহ্। এখন দুইজনের সিদ্ধান্ত কি.? দুইজন কে বিয়েতে রাজি.?
খালিদঃজী আলহামদুলিল্লাহ্ আমি রাজি।
খালিদের বাবাঃ তুমি....?(বড়ভাবি কে ইশারা করে)
বড়ভাবী নিরব।কিছু বলছে না।
খালিদের মাঃ আলহামদুলিল্লাহ্ নিরবতা সম্মতির লক্ষণ।
খালিদের বাবাঃ না... সেটা কুমারী মেয়েদের জন্য। এখানে মেয়ে রাজি আছে সেটা স্পষ্ট করে বলতে হবে।
খালিদের মাঃ কি মা...তুমি কি বিয়েতে রাজী.?
বড়ভাবীঃ জী।ইনশাআল্লাহ।
খালিদের বাবাঃ আলহামদুলিল্লাহ্।
তারপর সবাই একে একে মাওলার শুকরিয়া আদায় করে।
চলবে ইনশাআল্লাহ
শিক্ষা
★ পাত্রী রান্না পারে কিনা, এইটা পারে কিনা, ঐটা পারে কিনা এসব বিষয় নিয়ে চিন্তা না করে পাত্রী ধার্মিক কিনা সেটা চিন্তা করুন। মনে রাখবেন পাত্রী আজ রান্না না পারলেও সে যদি ধার্মিক হয় সময়ের প্রয়োজনে সব কাজ শিখে নিতে পারবে ইনশাআল্লাহ।
★ পাত্রী রান্না পারে কিনা, এইটা পারে কিনা, ঐটা পারে কিনা এসব বিষয় নিয়ে চিন্তা না করে পাত্রী ধার্মিক কিনা সেটা চিন্তা করুন। মনে রাখবেন পাত্রী আজ রান্না না পারলেও সে যদি ধার্মিক হয় সময়ের প্রয়োজনে সব কাজ শিখে নিতে পারবে ইনশাআল্লাহ।
পাত্রীর কেমন গুনাবলী থাকা প্রয়োজন এই ব্যপারে কয়েকটি তথ্য
★পাত্রী নির্বাচনেরর ক্ষেত্রে কুফূ(সমতুল্যতা) বিশেষভাবে বিবেচ্য।
১)বংশগত
২)মুসলনান
৩)ধার্মিকতা
৪)ধন-সম্পদ
৫)পারিবারিক পেশা
১)বংশগত
২)মুসলনান
৩)ধার্মিকতা
৪)ধন-সম্পদ
৫)পারিবারিক পেশা
★পাত্রীর মাঝে দ্বীনদারী থাকা।-বুখারী ৪৭২৩
★সৌন্দর্য, বংশ উত্তম হওয়া এবং সম্পদ থাকা।দ্বীনদারীর সাথে এগুলো থাকা ভালো তবে দ্বীনদারীর বিষয় টি বেশির থেকে বেশি প্রাধান্য।
★পাত্রী মায়াবতী ও সহানুভূতি সম্পন্ন হওয়া।
★আনুগত্য ও আমানতদারির গুন থাকা।
★অধিক সন্তান প্রদানের গুন থাকা।
পাত্রের কেমন গুনাবলী থাকা প্রয়োজন এই ব্যপারে কয়েকটি তথ্য
★ দ্বীনদার হওয়া।
★বৈবাহিক জীবন পরিচালনা করার মত শারীরিক ভাবে সক্ষম হওয়া।
★পরিবারের ব্যয় বহন করার মত সক্ষম হওয়া।
পাত্রী দেখারর আবদ সংক্রান্ত কয়েকটি তথ্য
★বিয়ের পূর্বে পাত্রী দেখে নেওয়া সুন্নত। নিজে না দেখলে বা সম্ভব না হলে কোন মহিলা পাঠিয়ে হলেও পাত্রী দেখে নেওয়া।
★যে পুরুষ বিবাহ করবে শুধুমাত্র যে নিজেই পাত্রী দেখতে পারবে।সে ব্যতিত অন্য কোন পুরুষ দেখতে পারবে না। এ ক্ষেত্রে পাত্রের বন্ধু বান্ধব, দুলাভাই ইত্যাদি পাত্রী দেখতে পারবে না। এমন কি বিবাহের পূর্বে পাত্রের বাবাও দেখতে পারবে না।
★পাত্রীর শুধু চেহারা ও হাতের কব্জি পর্যন্ত দেখার অনুমতি আছে।এছাড়া পেট-পিঠ, ইত্যাদি অংশ দেখার অনুমতি নেই।
★প্রয়োজনীয় কিছু জানার থাকলে প্রশ্ন করে জেনে নেওয়ার অনুমতি আছে।
বর্তমানে একজন পাত্র কর্তৃক পাত্রীকে এই ধরনের কিছু প্রশ্ন করে তার এলেম ও আমল সম্পর্কে ধারনা লাভ করতে পারে
১. কেমন জীবনসঙ্গী পছন্দ করেন?
২. আপনি আপনার স্বামীর ক্যারিয়ার নিয়ে কেমন আকাঙ্ক্ষা করেন? চাকরি নাকি ব্যবসা?
৩. ধরুন, আপনার মনে হচ্ছে, আপনার প্রাপ্য অধিকার আপনি পাচ্ছেন না। সেক্ষেত্রে কী করেন? মানে আপনার প্রতিক্রিয়া কেমন হয়?
৪. অবসর সময়ে কী করেন?
৫. স্বামীর অধিকার বলতে কী বুঝেন?
৬. নামাজ পড়েন কিনা? নিয়মিত?
৭. রাস্তায় আজান হয়ে গেলে কী করেন? ধরুন, বাসা বেশ দূরে।
৮. আপনি যেভাবে আমার সামনে এসেছেন, রাস্তায়ও কি এভাবে যান?
২. আপনি আপনার স্বামীর ক্যারিয়ার নিয়ে কেমন আকাঙ্ক্ষা করেন? চাকরি নাকি ব্যবসা?
৩. ধরুন, আপনার মনে হচ্ছে, আপনার প্রাপ্য অধিকার আপনি পাচ্ছেন না। সেক্ষেত্রে কী করেন? মানে আপনার প্রতিক্রিয়া কেমন হয়?
৪. অবসর সময়ে কী করেন?
৫. স্বামীর অধিকার বলতে কী বুঝেন?
৬. নামাজ পড়েন কিনা? নিয়মিত?
৭. রাস্তায় আজান হয়ে গেলে কী করেন? ধরুন, বাসা বেশ দূরে।
৮. আপনি যেভাবে আমার সামনে এসেছেন, রাস্তায়ও কি এভাবে যান?
বর্তমানে একজন পাত্রী কর্তৃক পাত্রকে এই ধরনের কিছু প্রশ্ন করে তার এলেম ও আমল সম্পর্কে ধারনা লাভ করতে পারে।
১. কেমন জীবনসঙ্গী পছন্দ করেন?
২. অবসর সময়ে কী করেন?
৩. স্ত্রীর অধিকার বলতে কী বুঝেন?
৪. স্বামীর আনুগত্য করা বলতে কী বুঝেন?
৫. বিয়ে বলতে কী বুঝেন?
৬. নামাজ পড়েন কিনা? নিয়মিত?
৭. ধরুন, আপনার বৃদ্ধ বাবা-মা আছেন। আপনার স্ত্রীর বক্তব্য হলো, 'আপনার মা-বাবাকে দেখা আমার দায়িত্ব নয়'। তখন আপনার মতামত কী হবে?
৮. রেগে গেলে ধ্বংসাত্মক কিছু করে বসেন না তো?
২. অবসর সময়ে কী করেন?
৩. স্ত্রীর অধিকার বলতে কী বুঝেন?
৪. স্বামীর আনুগত্য করা বলতে কী বুঝেন?
৫. বিয়ে বলতে কী বুঝেন?
৬. নামাজ পড়েন কিনা? নিয়মিত?
৭. ধরুন, আপনার বৃদ্ধ বাবা-মা আছেন। আপনার স্ত্রীর বক্তব্য হলো, 'আপনার মা-বাবাকে দেখা আমার দায়িত্ব নয়'। তখন আপনার মতামত কী হবে?
৮. রেগে গেলে ধ্বংসাত্মক কিছু করে বসেন না তো?
হুবাহু এই প্রশ্ন গুলো কবরে এমন টা নয়।এর আলোকে সৃজনশীল প্রশ্ন করলে ভালো হয়।
কুসংস্কার ও শরিয়াহ পরিপন্থী কাজ
★আমাদের দেশে পাত্রের পক্ষ থেকে একগাধা লোক লোক পাত্রী দেখতে যায়।ছেলের পিতা,ভাই, বন্ধু, দুলাভাই ইত্যাদি।যা পুরোপুরি শরিয়াহ পরিপন্থী কাজ।পাত্রীকে শুধু মাত্র ছেলে(পাত্র) দেখতে পারবে।আর কোন পুরুষ দেখতে পারবে না।
★পাত্রীর চুল দেখা শরিয়াহ পরিপন্থী কাজ। শুধু হাত আর পা দেখা জায়িজ।
★আমাদের দেশে ছেলে আর মেয়েকে আলাদা রুমে কথা বলতে দেওয়া হয়।এটা সম্পুর্ণ ভাবে নিষেধ। যদি একান্তই কিছু বলতে হয় তাহলে মেয়ের সাথে মাহরাম পুরুষ পাশে থাকতে হবে।যেমন দাদা,নানা।
tag
0 coment rios:
আপনার একটি গুরুত্বপূন্য কমেন্ট লেখককে অনুপ্রানিত করে । অনুগ্রহ করে আপনার অনুভুতি আমাদেরকে জানান । আশা করি আমরা সহযোগিতা করতে পারবো ।