সুন্নত জিন্দার মিশন পর্ব ৩২Md Abdul Kaiyum
খালিদ ও বড়ভাবি দুইজনেই বিয়েতে রাজি হয়।তারপর আয়েশা বড়ভাবি কে নিয়ে উনার রুমে চলে যায়।রিমা আর খালিদ তাদের রুমে চলে যায়।
রিমাঃআলহামদুলিল্লাহ আমি অনেক খুশি হয়েছি।
খালিদঃ আলহামদুলিল্লাহ্।
রিমাঃ আচ্ছা আপনারা কি আগে থেকেই এসব প্রশ্ন আর উত্তর রেডি করে রেখেছিলেন.??
খালিদঃ কোন প্রশ্ন আর উত্তর.??
রিমাঃ এই যে আপনি ভাবিকে আর ভাবি আপনাকে.??
খালিদঃ আরে না.?? আমি উপস্থিত থেকেই এই প্রশ্ন করেছি।
রিমাঃ আলহামদুলিল্লাহ্।খুব সুন্দর প্রশ্নোত্তর পর্ব হলো।এমন পাত্র পাত্রীর প্রশ্নোত্তর পর্ব আমি এর আগে কখনো শুনি নাই।
খালিদঃ আলহামদুলিল্লাহ্। আসলে প্রত্যেক পাত্র পাত্রীর এমন প্রশ্নোত্তর করা দরকার ছিল।তাহলে হবু জীবনসজ্ঞীর ইমান ও আমল সম্পর্কে ধারনা লাভ করা যায়।
রিমাঃ আসলেই ঠিক বলছেন।
তারপর তারা আরো কিছুক্ষন আলোচনার পর ঈশার আযান দিলে খালিদ নামাজ পড়তে মসজিদে চলে যায়।রিমা ওযু করে নামাজ পড়তে চলে যায়।
নামাজ পড়া পর রিমা বাদে বাকিসবাই সুরা মুলক তেলোয়াত করে।তারপর
খালিদের মাঃবড় বউমা তোমার মাকে একটা ফোন দাও তো.??? তোমার মায়ের সাথে কথা বলব।আমার মেয়েকে আমি এই বাড়িতে রেখে দিবো।তোমাকে কোথাও যেতে দিবোনা।
বড়ভাবি কিছুটা লজ্জা পায় তারপর নিজের রুম থেকে ফোন এনে তার মাকে ফোন।
বড়ভাবির মাঃ হ্যালো.
বড়ভাবি উনার শাশুড়িরর দিকে ফোন দিতে চাইলে উনি ইশারা দেয় যে,আগে তুমি তাদের খোজ খবর নিয়ে নাও।
বড়ভাবীঃ আসসালামু আইলাইকুম।
বড়ভাবির মাঃ ওয়ালাইকুমুসসালাম। কেমন আছিস মা..
বড়ভাবীঃ আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো। আপনি কেমন আছেন মা.???
বড়ভাবির মাঃ আছি কোন রকম। মাইয়ার এই অবস্থা দেখলে কোন মা ভালো থাকতে হারে নি.?
বড়ভাবীঃ মা......এভাবে কেউ বলে.?? আল্লাহ মাফ করে দিক।এভাবে বললে আল্লাহ নারাজ হয়ে যাবেন।আল্লাহ যা করেন বান্দার ভালোর জন্যই করেন।প্লিজ মা....এভাবে আর কখনো বলবেন না।
বড়ভাবির মাঃ আচ্ছা ঠিক আছে আর কইতাম নো।তো মা....তুই আইবি কবে????
বড়ভাবীঃ মা....এই ব্যপারে আমি কিছু বলতে পারছিনা। আপনি ধরেন আমার শাশুড়ির সাথে কথা বলেন।
খালিদের মাঃ আসসালামু আলাআলাইকুম।
বড়ভাবির মাঃ ওয়ালাইকুমুসসালাম।
খালিদের মাঃকেমন আছেন বেয়াইন?
বড়ভাবির মাঃ আছি বোইন কোন রকম।মাইয়াগার লাই একখানা টেনশনে আছি।
খালিদের মাঃ বেয়াইন...আপনাকে খাদিজাকে(বড়ভাবি) নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। ওর ব্যবস্থা আমরা করবো ইনশাআল্লাহ।
খাদিজার(বড়ভাবি) মা: কিভাবে বেয়াইন। আমরা আমাদের খালিদের সাথে খাদিজার বিয়ের ব্যপারে উৎসুখ। আলহামদুলিল্লাহ্ খালিদ আর খাদিজা দুইজনেই বিয়েতে রাজি।এখন আপনাদের পরামর্শ নিয়ে বিয়ের দিন তারিখ ঠিক করতে চাই।
খাদিজার মাঃ সত্যি....?আপনি সত্যি কইতাছেন বেয়াইন?
খালিদের মাঃ জী সত্যি বলতেছি। খালিদের সাথেই আমরা খাদিজার বিয়ে ঠিক করছি।এখন আপনাদের সাথে পরামর্শ করে তারিখ ঠিক করতে চাই।
তারপর তারা পরামর্শ করে আগামি শুক্রবার(বৃহঃস্পতিবার) দিবাগত রাত বিয়ের তারিখ ঠিক করে।
তারপর তারা ভাত খেয়ে ঘুমাতে চলে যায়।
রিমা খালিদের জন্য অপেক্ষা করে।খালিদ আসলে তারা ভাত খেয়ে নেয়।তারপর সুরা মুলক তেলোয়াত করার পর রিমা খালিদ কে বিয়ের তারিখ টা জানিয়ে দেয়। খালিদ শুকরিয়া আদায় করে।
কিছুক্ষন পর
খালিদঃ আচ্ছা আপনি যে খুব আগ্রহের সাথে বড়ভাবির সাথে আমার বিয়ে দিচ্ছেন।আমি যদি বড়ভাবিকে পেয়ে আপনাকে ভুলে যাই।
রিমাঃ মোটেও না।আপনার প্রতি আমার ঐ আত্মবিশ্বাস আছে।যে মানুষ টা চাইলে কুমারী মেয়েকে বিয়ে করতে পারতো।কিন্তু দেশের অপসাংস্কৃতিকে দূরে ঠেলে নবীর সুন্নত জিন্দার করার আশায় আমার মত এক বিধবাকে বিবাহ করেছে।সে মানুষ টা আরেকটা কেন যদি শরীয়তের হাজার টা বিয়ে করার হুকুম থাকতো আর ঐ মানুষ টা যদি হাজার টা বিয়ে ও করে আমি আশাবাদী ঐ মানুষ টা হাজারটা বউয়ের মাঝেই ইনসাফ বজায় রাখতে পারবে। আমি আশাবাদী আপনি আমার আর বড়ভাবির মাঝে ইনসাফ বজায় রাখবেন ইনশাআল্লাহ।
খালিদঃ দোয়া করুন।আল্লাহ যেন আমায় ইনসাফ ভিত্তিক সব কিছু করার তৌফিক দান করুক।
রিমাঃ আমিন।
তারপর খালিদ উঠে মশারী টাঙিয়ে নেয়।
খালিদঃ নিন ঘুমিয়ে পড়ুন।আবার তো রাতে উঠে পড়বেন।
রিমাঃ একটা কথা বলি??
খালিদঃ জী বলুন।
রিমাঃ বাহিরে মনে হয় অনেক চাঁদের আলো।চলুন না কিছু সময় বাহিরে বসি.??
খালিদঃ এখন.? আপনার তো এই সময় বেশি রাত জেগে থাকা উচিত না।
রিমাঃ অল্প সময় বসবো।চলুন না.??
রিমা এমন ভাবে আবদার করলো খালিদ না রেখে পারলো না।
খালিদঃ চলুন।
তারপর তার দরজা খুলে কিছু সময় চাঁদের আলো উপভোগ করলো।নানা ধরনের কথা বর্তা বলল।প্রায় ২০ মিনিট পর তারা রুমে এসে ঘুমিয়ে পড়ল।
কয়েক দিন পর।
আজ বৃহঃস্পতিবার। খালিদ দোকান খুলতে যায় নাই।সারাদিন সকাল থেকে ঘরে টুকিটাকি কাজ সেরে নেয়।ওলীমার জন্য বাজার করে নেয়।যাদের যাদের দাওয়াত দেওয়ার বাকি ছিল তাদের দাওয়াত দিয়ে দেয়।প্রায় ১১টার দিকে আবু বক্কর আর উমর কে আনতে মাদ্রসায় চলে যায়।তাদের এখনো শুনানো হয় নাই যে, আজ তাদের আম্মু আর খালিদের বিয়ে হবে।
তারা বাড়িতে এসে প্রথমে মায়ের সাথে দেখা করে।সেখনে খাদিজা(বড়ভাবি) তাদের কিছু বলে নাই।শুধু কান্না করতে করতে আদর করে।আবু বক্কর আর উমর ভাবলো প্রতিবার ইতো মায়ের সাথে দেখা হলে মা কান্না করে।কিন্তু আজ কান্না সে অন্য কারনে তারা তা বুঝেনাই।
তারপর তারা দাদাদাদির রুমে তাদের সাথে দেখা করতে যায়।সেখানে দেখা করতে গেলে দাদি(খালিদের মা) তাদের সব বিস্তারিত বলে।এতে তারা খুব খুশি হয়।উমর তো সে রুম থকে বের হয়েই খালিদ কে আব্বু বলে ডাকা শুরু করে।
খালিদ খুব আবেগে আপ্লুত হয়ে উমরকে আদর করে দেয়।বিকাল বেলা খাদিজার ভাই বাবা আর মা খালিদদের বাড়ি আসে।তারপর খালিদের সাথে সালাম বিনিময় করে মোসাফাহ ও মোয়ানাকা করে।
মাগরিবের পর খালিদ ঘরে আসলে নাস্তা করার পর রিমা নিজের হাতে খালিদ কে রেডি করিয়ে দেয়।নিজে পাঞ্জাবি পড়িয়ে দেয়।মাথায় টুপি পড়িয়ে পাগড়ি বেধে দেয়।তারপর আতর মেখে দেয়।খালিদ চোখে সুরমা লাগিয়ে নেয়।
ইশার আযান দিলে রিমা খালিদের কপালে চুমু দিয়ে খালিদকে বিদায় দেয়।
খাদিজার বাবা আর ভাই (অলী হয়ে) খাদিজা থেকে অনুমতি নিয়ে মসজিদে রওনা দেয়।খালিদ তার পিতামাতা থেকে দোয়া নিয়ে অবু বক্কর আর উমরকে নিয়ে মসজিদে চলে যায়।
ইশার নামাজের পর আকদ সম্পন্ন হয়।দোয়ার পর সবাইকে খেজুর খাওয়ানো হয়।বাকি কাজ গুলো সম্পুর্ণ করা করে তারা বাড়িতে আসে।
বাড়িতে এসে আবু বক্কর আর উমর প্রথমে খাদিজার সাথে দেখা করে দোয়া নেয়।
তারপর বাড়ির সকল পুরুষকে খাবার দেওয়া হয় সামনের রুমে।আর বাড়ির মহিলারা খাবারের রুমে খাবার খায়।খাবার খাওয়ার পর খাদিজার মা, বাবা,আর ভাই তাদের থেকে বিদায় নেয়।
খালিদ আবু বক্কর আর উমর কে সামনের রুমে ঘুমের ব্যবস্থা করে দেয়।
খালিদ নিজের রুমে বসে আসে।কিছুক্ষন পর রিমা আসলে রিমা খালিদকে বাসরঘরে পাঠানোর জন্য রেডি করে দেয়।
আয়েশা বড়ভাবিকে হালকা সাজিয়ে দেয়।
রিমা পুরিপূর্ণ ভাবে খালিদ কে সাজিয়ে দিয়ে কপালে চুমু দিয়ে
রিমাঃ যান।আজ নতুন ঘরে প্রবেশ করুন।
খালিদ রিমার কপালে চুমু দিয়ে খাদিজার জন্য আনা হাদিয়ার প্যাকেট আর মোহরানার টাকা নিয়ে খাদিজার রুমের সামনে এসে সালাম দেয়।খালিদের সালামের আওয়াজ পেয়ে আয়েশা সালামের জওয়াব দিতে দিতে রুমে থেকে বের হয়ে যায়।
খালিদ রুমে প্রবেশ করে সালাম দেয়।
খালিদ রুমে প্রবেশ করে সালাম দেয়।
খাদিজাঃ ওয়ালাইকুমুসসালাম। ভালো আছেন।
খালিদঃ আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো।আপনি?
খাদিজাঃ আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো।
তারপর খালিদ খাদিজার হাতে উপহার আর মোহরানা তুলে দেয়।
খালিদঃ নিন।এটা আপনার হক আমাদের বিয়েতে ধার্য করা মোহরানা আর এটা আমার পক্ষ থেকে আপনার জন্য উপহার।
খাদিজাঃ জাযাকাল্লাহ।
তারপর খাদিজা টাকা গুলো ড্রয়ারে রেখে।
খাদিজাঃ আমি কি এখন প্যাকেট টি খুলতে পারি.?
খালিদঃ জী।ইনশাআল্লাহ।
খাদিজা প্যাকেট টি খুলে।ভিতরে ১টি জায়নামাজ ১টি তসবিহ আর ১টি মেসওয়াক ছিল।
খাদিজাঃ জাযাকাল্লাহ। খুব সুন্দর উপহার।আমার খুব পছন্দ হয়েছে।
খালিদঃ আলহামদুলিল্লাহ্। আসুন আমরা শুকরিয়া দুই রাকাত নামাজ আদায় করি।
খাদিজাঃ জী চলুন।
তারপর তারা দুই রাকাত শুকরিয়া নামাজ আদায় করে।তারপর তারা বিভিন্ন কথাবার্তা বলে।
💘💘💘💘💘💘
ফজরের নামাজ পড়ার পর খালিদ, আবু বক্কর আর উমর বাসায় আসে।বাবুর্চি এসে হাজির।খালিদ বাবুর্চিকে মোটামুটি সব কিছু এগিয়ে দেয়।বাজার থেকে মোরগ আর গরুর গোস্ত চলে আসলে খালিদ আর আবু বক্কর ধরে সেগুলো জবাই করে।
ফজরের নামাজ পড়ার পর খালিদ, আবু বক্কর আর উমর বাসায় আসে।বাবুর্চি এসে হাজির।খালিদ বাবুর্চিকে মোটামুটি সব কিছু এগিয়ে দেয়।বাজার থেকে মোরগ আর গরুর গোস্ত চলে আসলে খালিদ আর আবু বক্কর ধরে সেগুলো জবাই করে।
তারপর বাবুর্চিরা নিজেদের মত করে সব কাজ এগিয়ে নেয়।খালিদের বাবা ও দুই নাতিন আবু বক্কর আর উমর বাবুর্চিদের সাহায্য করে।
জুমার আযান দিলে খালিদ সুরা কাহফ তেলোয়াত করে।এসম আবু বক্কর আর উমর ও একসাথে তেলোয়াত করে।তারপর খাবার সব গুলোর একটা ব্যবস্থা করে সবাই নামাজ পড়তে চলে যায়।
নামাজ পড়ার পর আস্তে আস্তে মেহমানরা আসতে থাকে।অবশ্য এতিমখানার ছাত্ররানামাজের আগেই এসে খালিদদের মসজিদে নামাজ পড়ে।তারপর সবার মেহমানদারী করানো হয়।
সবাই খালিদের সাথে দেখা করে বিদায় নেয়।খালিদ বাবুর্চি ও ডেকারেশন কর্তৃপক্ষকে তাদের পারিশ্রমিক ও বাড়তি হাদিয়া দিয়ে বিদায় করে দেয়।
চলবে ইনশাআল্লাহ
শিক্ষা
বিয়ের দিন,সময়,ও স্থান সম্পর্কে কিছু তথ্য
★বিয়ে শাওয়াল মাসে এবং জুমার দিনে এবং মসজিদে সম্পন্ন করা উত্তম। তবে যে কোন সময় যে কোন দিন বিয়ে হওয়াতে কোন অসুবিধা নাই।
★ বাসর রাতের সুন্নাহ ও করনীয় ০৪নং পর্বে পাবেন।
★সহবাসের সুন্নাহ ও করনীয় ২১ নং পর্বে পাবেন।
★ওলিমা সংক্রান্ত তথ্যা ০৭ নং পর্বে পাবেন।
★মেহবান ও মেজবানের করনীয় এবং হাদিয়া আদান প্রদানের তথ্য ১৪ নং পর্বে পাবেন।
, বিবাহ অনুষ্ঠানে শরিয়াহ পরিপন্থী কাজ ও কুসংস্কার সমূহ।
★অমুক অমুক দিন বিয়ে করা ঠিক নয়- এই জাতীয় কথা পূরাই কুসংস্কার এবং হিন্দুয়ানী ধ্যান ধারনা থেকে বিস্তার লাভ করছে।এগুলো পরিত্যাগ করতে হবে।
★বিবাহের অনুষ্ঠানে গান-বাজনার আয়োজন করা হয়।এটি শরিয়াহ পরিপন্থী কাজ
★প্রচলিত গায়ে হলুদ অনুষ্ঠান করা হয়।এটি মারাত্মক গুনাহের কাজ।
★নাম খ্যাতির উদ্দেশ্যে জাঁকজমকভাবে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।এটি হারাম।
★নারী- পুরুষের জন্য পর্দাহীন ভাবে খাবারের আয়োজন করা হয়।এতে পর্দার মত ফরয হুকুম লংঘন হয়।
★বর্তমানে বিবাহ উপলক্ষে যে শরিয়াহ পরিপন্থী যে কাজ গুলো বেশি তার মধ্যে অন্যতম হলো ছেলের পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ বরযাত্রী খাওয়ানোর শর্ত দেওয়া হয়।এটি ছেলের পক্ষ থেকে মারাত্মক জুলুম।
★ বিয়ের গেটে টাকা ধরা হয়।এটি নাজায়েজ। পর্দার বরখেলাপ হয়।
★বিয়ে পড়ানোর পর পাত্রকে বলা হয় সবাইকে দাড়িয়ে সালাম দিতে।এটি কুসংস্কার।
★বিয়ের পর অনেকেজ গুরুজনদের সাথে যে মোসাফাহ করে।এটি ভিত্তিহীন বিদায়াত।
★বিয়ের পর শুশুর,শাশুড়ি, দাদী,নানী ইত্যাদিকে পায়ে ধরে সালাম দেওয়া হয়। এটা শরীয়াহ পরিপন্থী কাজ।
★নববধূ কে সাজিয়ে স্টেজে সবার সামনে বসিয়ে রাখা হয়। মারাত্মক গুনাহের কাজ।পর্দার বরখেলাপ হয়।
★আমাদের দেশে বিয়ের পর বর আর কনে কে সবার সামনে স্টেজে বসানো হয়।তারপর একে একে মেয়ের মা/বাবা তারপর চাচী খালা মামী ইত্যাদি স্টেজে উঠে আর ছেলে তাদের পা ধরে সালাম দেয়। তারপর ছেলেকে আংটি/চেইন পড়ানো হয়।এটা মারাত্মক গুনাহের কাজ।প্রথমত পর্দার বরখেলাফ। দ্বিতীয়ত ছেলেদের জন্য স্বর্ণ পড়া হারাম।
★অনেক জায়গায় দেখা যায় শালি(কনের বোন)দুলাভাই কে মালা পড়িয়ে তারপর দুলাভাই এর কোলে বসে পড়ে তারপর টাকা কিংবা আংটি দাবি করে। এই জিনিষ টা মারাত্মক গুনাহের কাজ।
tag
0 coment rios:
আপনার একটি গুরুত্বপূন্য কমেন্ট লেখককে অনুপ্রানিত করে । অনুগ্রহ করে আপনার অনুভুতি আমাদেরকে জানান । আশা করি আমরা সহযোগিতা করতে পারবো ।