সুন্নত জিন্দার মিশন পর্ব ২১Md Abdul Kaiyum
খালিদ আর রিমা তাদের বাড়িতে এসে পৌছে।তাদের জন্য খালিদের মা দরজায় অপেক্ষায় দাড়িয়ে আছে।
খালিদঃ আপনি ভিতরে চলে যান।আমি ভাড়া দিয়ে ব্যাগ গুলো নিয়ে আসছি।
রিমা দরজার সামনে আশা মাত্রই খালিদের মা দরজা খুলে দেয়।
রিমাঃ আসসালামু আলাইকুম
খালিদের মাঃ ওয়ালাইকুমুসসালাম।
রিমাঃ কেমন আছেন মা...?
খালিদের মা: আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো। পথে কোন সমস্যা হয় নাই তো...?
রিমাঃ আলহামদুলিল্লাহ্, কোন সমস্যা হয় নি।
খালিদের মাঃ জার্নি করে আসছিস। একটু রুমে গিয়ে রেষ্ট নে।
রিমা বড়ভাবির সাথে দেখা করে রুমে যায়।ততক্ষণে খালিদ ও তার মায়ের সাথে সালাম বিনিময় করে তাদের রুমে যায়।রুমে গিয়ে কিছুক্ষন বিশ্রাম নেয়।আসরের আযান দিলে খালিদ গিয়ে অযু করে আসে।
খালিদঃ আমি মসজিদে যাচ্ছি।নামাজ পড়ে দোকানে চলে যাবো। আপনার কিছু লাগবে?
রিমাঃ আলহামদুলিল্লাহ্, আপাতত কিচ্ছু লাগতে না।
খালিদঃ আমি আজ ফিরতে একটু রাত হতে পারে। আপনার রাত্রে ক্ষুধা লাগলে আপনি আব্বু আম্মুর সাথে খেয়ে নিয়েন।আমি যাই।আসসালামু আলাইকুম। (যদিও মনে মনে খালিদ চাচ্ছে রিমা যেন তার জন্য অপেক্ষা করে)
রিমাঃ ওয়ালাইকুমুসসালাম।
খালিদ মসজিদে চলে গেলে রিমা অযু করে নামাজের রুমে নামাজ পড়তে যায়।নামাজ পড়ার পর বড়ভাবির সাথে সন্ধ্যার নাস্তা ও রাতের খাবার গরম করতে রান্না ঘরে যায়।সেখানে তাদের শাশুড়ি (খালিদের মা) ও যায়।
খালিদের বাড়িতে সরকারী গ্যাস লাইন নাই।তবে বিশেষ প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য সিলিন্ডার গ্যাস আছে। তারা মাটির (সিমেন্ট) চুলায় রান্না করে।তাই তারা দুপুরবেলা একবারেই রাতে জন্যও খাবার তৈরি করে নেয়। বিকালবেলা শুধু সেগুলোকে রাতের খাবারের উপযোগী করার জন্য গরম করে নেয় আর সন্ধ্যার জন্য নাস্তা বানায়।কখনো পিঠা কখনো নুডুস কখনো বা অন্যান্য খাবার তৈরী করে। কখনো বা শুধু চা তৈরী করে আর সাথে বিস্কুট দিয়ে সন্ধ্যার নাস্তা করা হয়।
রাতের খাবার গরম করার পাশাপাশি তারা খালিদ ও রিমার সফরের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথাবার্তা বলে।
খাবার গরম করার পর চা বানিয়ে নিয়ে তা ফ্লাক্সে রেখে দেয়।তারপর তারা ঘরের অন্যান্য কাজ গুলো করে নেয়। মাগরিবের আযান দিলে সবাই অযু করে নামাজের রুমে গিয়ে নামাজ পড়ে। নামাজেরর পর সবাই সুরা ওকিয়াহ তেলোয়াত করে। খালিদের বাবা ও নামাজ পড়ে এসে ঘরে বসে সুরা ওকিয়াহ তেলোয়াত করে।
তেলোয়াত করার পর সকলে খাবারের রুমে এসে নাস্তা করে। নাস্তার পর কাপ প্লেট গুলো রিমা আর বড় বউ মিলে গুছিয়ে রেখে সবাই নিজ নিজ রুমে চলে যাই।রুমে গিয়ে রিমা টেবিল থেকে একটা বই নিয়ে পড়া শুরু করে।
তেলোয়াত করার পর সকলে খাবারের রুমে এসে নাস্তা করে। নাস্তার পর কাপ প্লেট গুলো রিমা আর বড় বউ মিলে গুছিয়ে রেখে সবাই নিজ নিজ রুমে চলে যাই।রুমে গিয়ে রিমা টেবিল থেকে একটা বই নিয়ে পড়া শুরু করে।
ইশার আযান দিলে খালিদের বাবা মসজিদে চলে যায়।মহিলারা জরুরত সেরে অযু করে ইশার নামাজ আদায় করে। ইশার ফরজের পর ২ রাকাত সুন্নত নামাজ আদায় করার পর রিমা তার রুমে চলে আসে। খালিদের মা আর বড় ভাবী বিতির নামাজ আদায় করার পর সুরা মুলক তেলোয়াত করে।
খালিদের বাবা ঘরে আসলে কিছুক্ষন পর রাতের খাবারের জন্য প্রস্তুতি নেয়। রিমা এসে পানি আর প্লেট গুলো তৈরি করে নেয়।সবাই খাবারের রুমে আসে। খালিদের মা আর বাবা তাদের নির্দিষ্ট চেয়ারে বসে।রিমা কিছুটা জোড় করে বড়ভাবি কে খালিদের মায়ের পাশের চেয়ারে বসিয়ে দেয়।
রিমাঃ মা... আপনি অনুমতি দিলে আমি না হয় আপনার ছেলে আসলে তখন উনার সাথে একসাথে খাবো।
খালিদের মাঃ পাগল মেয়ে এখানে অনুমতির কি আছে। তুই তোর বরের জন্য অপেক্ষা করবি,তার খেদমত করবি এটাই তো স্বাভাবিক।
রিমা কিছুটা লজ্জা পেয়ে মাথা নিচু করে ফেলে।
খালিদের মাঃ জানিস.. মা। আমি যখন এই বাড়িতে বউ হয়ে এসেছিলাম। তখন আমিও না খেয়ে তোদের শশুরের জন্য অপেক্ষা করতাম।কিন্তু এই মহান ব্যক্তির কি সেদিকে খেয়াল থাকতো। উনার জন্য যে একজন পেটে ক্ষুধা নিয়ে না খেয়ে বসে আছে সে দিকে কি উনার খেয়াল আছে.?? উনি তো উনার ব্যবসা চিনছেন।
খালিদের বাবাঃএই... এই.. এই.. মোটেও আমার নামে মিথ্যা বলবে না।আমি তোমার জন্য... শুধু তোমার জন্য রাতে তারাতারি বাড়ি ফিরে আসতাম।
খালিদের মা:আমি মোটেও মিথ্যা বলছি না।আপনি রাত্রে দেরি করেই আসতেন।
খালিদের বাবা:মোটেও না। মনে নেই.. তোমার মনে নেই।একবার তুমি তারাতরি আসতে বলছিলে।আমি তারাতরি আসতে গিয়ে রাতে দোকানের সাটার ফেলে ভুলে তালা না মেরে চলে আসছি। ভ্যাগিস ভালো আল্লাহ আমাদের ক্ষতির হাত থেকে বাচাইছেন। দোকানের কিচ্ছু হয় নাই। কিন্তু আব্বা আম্মার হাতে কি কম বকা শুনছি।
খালিদের মাঃ এটার জন্য আমি দায়ী নাকি। বকা তো খেয়েছেন আপনার ভুলের জন্য।
বড়ভাবীঃ হয়ছে... হয়ছে...আব্বা আম্মা অনেক হয়েচে..এবার আপনারা থামুন।(মুচকি হাসতে হাসতে) মা... আব্বা আপনাকে খুব ভালোবাসতেন তাই তিনি তারাতারি আসার চেষ্টা করতেন। আর বাবা... আম্মাও আপনাকে খুব ভালোবাসতেন। তাই উনি আপনার জন্য অপেক্ষা করতেন। আর এটার মুল সমাধান আপনারা দুইজন দুইজনকে খুব ভালোবাসতেন।
খালিদের বাবা মা মাঝে মাঝে এমন রসিকতা করেন যা রিমা না জানলেও বড় ভাবী জানেন।
বড়ভাবিঃ জানেন ভাবী.. আব্বা আম্মা মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে এমন রসিকতা করে পরে আমাকে এসে সমাধান দিতে হয়।
বড়ভাবীর মুখে এই কথা শুনে রিমাসহ সকলেই মুচকি হাসি দেয়।
তারপর রিমা সবাইকে খাবার বেড়ে দেয়। খাবারের পরে খালিদের বাবা মা তাদের রুমে চলে গেলে রিমা আর বড়ভাবি প্লেট বাটি গুলো ধৌত করে গুছিয়ে রাখে।তারপর বড় ভাবি তার রুমে চলে যায়।রিমা অযু করে এসে তার রুমে বসে।
কিছুক্ষন পর পর আয়না দেখে। তারপর জামা চেঞ্জ করে একটি সুন্দর ও আকর্ষণীয় জামা গায়ে দেয়। নিজেকে খালিদের কাছে আরো আকর্ষণীয় করার জন্য বিভিন্ন ধরনের কসমেটিক্স ব্যবহার করে। মোটামুটি সাজগোজ শেষ হওয়ার পর খালিদের জন্য অপেক্ষা করে। কিছুক্ষন পর পর একবার ঘড়ির দিকে তাকায়।আবার আয়নায় সামনে দাড়িয়ে নিজেকে খুটিয়ে খুটিয়ে দেখার চেষ্টা করে। মনে মনে কি যেন বলে আর মুচকি মুচকি হাসে। কিছুক্ষন পর পর সামনের দরজা থেকে ঘুরে আসে। অপেক্ষা যেন তার আর সহ্য হচ্ছে না। তার কাছে ১মিনিট যেন ১ঘন্টার সময় মনে হচ্ছে।
কিছুক্ষন পর দরজায় নক এবং সালামের আওয়াজ শুনতে পায়। রিমা দৌড় দিয়ে গিয়ে দরজা খুলে দেয়।
রিমাঃ ওয়ালাইকুমুসসালাম।
খালিদঃ কেমন আছেন।আব্বু আম্মু খাবার খেয়েছেন?
রিমাঃ আলহামদুলিল্লাহ্ আমি ভালো আছি।আর আব্বু আম্মুও খাবার খেয়েছেন।
খালিদঃ কি ব্যপার বলুন তো. আজ কেন জানি আপনাকে অন্যেরকম মনে হচ্ছে। এই... আপনি আমার বউ তো.??? নাকি জান্নাতি কোন হুর।(কিছুটা রশিকতা করে)
রিমাঃ আসুন।রুমে আসুন। ফ্রেশ হয়ে নিন।(লজ্জা পেয়ে)
খালিদ আর রিমা ঘরে প্রবেশ করলে রিমা খালিদের পাঞ্জাবি খুলতে সাহায্য করে। এবং গামছা এনে দেয়।
খালিদ গামছা নিয়ে বাথরুমে যায়।অযু করে মুখ মুছে খাবারের যায়। ততক্ষণে রিমা তাদের জন্য একই প্লেটে খাবার বেড়ে নেয়। তারা একসাথে দাস্তরখানায় বসে খাবার খায়। একে অপরের মুখে লোকমা তুলে দেয়।
খাবার শেষে খালিদ রুমের দিকে চলে যায়। রিমা প্লেট ধৌত করে গুছিয়ে রাখে।অবশিষ্ট খাবার সিলিন্ডার গ্যাসে গরম করে নেয়। এই সময় খালিদ রুমে এসে খাট গুছিয়ে নেয় মশারি টাঙিয়ে নেয় এবং গায়ে সুগন্ধি মেখে নেয়।রিমা রুমে আসলে তারা সুরা মুলক তেলোয়াত করে। তারপর তারা বিচানায় যায়।
খালিদ গামছা নিয়ে বাথরুমে যায়।অযু করে মুখ মুছে খাবারের যায়। ততক্ষণে রিমা তাদের জন্য একই প্লেটে খাবার বেড়ে নেয়। তারা একসাথে দাস্তরখানায় বসে খাবার খায়। একে অপরের মুখে লোকমা তুলে দেয়।
খাবার শেষে খালিদ রুমের দিকে চলে যায়। রিমা প্লেট ধৌত করে গুছিয়ে রাখে।অবশিষ্ট খাবার সিলিন্ডার গ্যাসে গরম করে নেয়। এই সময় খালিদ রুমে এসে খাট গুছিয়ে নেয় মশারি টাঙিয়ে নেয় এবং গায়ে সুগন্ধি মেখে নেয়।রিমা রুমে আসলে তারা সুরা মুলক তেলোয়াত করে। তারপর তারা বিচানায় যায়।
❤️❤️❤️
গোসল করে এসে তারা ৮ রাকাত তাহাজ্জুদ নামাজ ও বিতরের ৩ রাকাত নামাজ আদায় করে।তারপর তারা মোনাজাত ধরে।অন্যান্য দোয়ার সাথে আজ তাদের দোয়ার মুল কথা ছিল। "রব্বি হাবলি মিনাস ছোলিহিন" তারা নেক সন্তান কামনায় বার বার এই দোয়া পড়ে।এসময় আবেগে আপ্লুত হয়ে চোখের পানি ছেড়ে দেয়।
মোনাজাত শেষ করে তারা কিছুক্ষন ঘুমাই।মুয়াজ্জিনের ডাকে (আযান) খালিদের ঘুম ভাঙে। খালিদ ঘুম থেকে উঠে অযু করে আসে। সুন্নত নামাজ আদায় করে।রিমা এখনো ঘুম থেকে উঠে নাই। খালিদ রিমার পাশে গিয়ে বসে। মাথার উপর আস্তে আস্তে হাত বুলাতে বুলাতে
খালিদঃ এই যে.. অনেক আগেই আযান দিয়া দিছে উঠুন না। নামাজের সময়শেষ হয়ে যাচ্ছে তো উঠুন না।
এভাবে কিছুক্ষন বলার পর রিমার ঘুম ভাঙে। তার চোখে প্রচুর ঘুম।
খালিদঃ কষ্ট করে উঠে নামাজ টা পড়ে নিন। তারপর না হয় আবার ঘুমিয়েন। খালিদ রিমার কপালে একটা চুমু দিয়ে মসজিদে রওনা দেয়। রিমা উঠে অযু করে নামাজের রুমে নামাজ পড়তে যায়।
চলবে ইনশাআল্লাহ
শিক্ষা
★ আপনার স্ত্রীর যাতায়াত বা সফরের সময় যানবাহনে নিরাপত্তার কথা মাথা রাখবেন। অনেকে টাকা বাচাইতে গিয়ে স্ত্রীকে নিয়ে লোকাল বাসে যাতায়াত করেন।এতে আপনার স্ত্রী অনিচ্ছা সত্বেও অনেকের ভোগের (চোখ)বস্তু হয়ে যায়। তাই যাতায়াত দুরত্ব তুলনামূলক কম হয়ে রিজার্ভ গাড়ি/সি এন জি নেওয়া ভালো।এতে আপনার স্ত্রী শান্তি ও নিরাপদে যাতায়াত করতে পারবে। আর্থিক অসচ্ছলতা হলে ভিন্না কথা। তবে খেয়াল রাখা চাই একবেলা খাওয়া পরিমানে কম খেয়েও স্ত্রীর নিরাপত্তারর ব্যপারে গুরুত্ব দিতে হবে।
★ আপনার স্ত্রীর যাতায়াত বা সফরের সময় যানবাহনে নিরাপত্তার কথা মাথা রাখবেন। অনেকে টাকা বাচাইতে গিয়ে স্ত্রীকে নিয়ে লোকাল বাসে যাতায়াত করেন।এতে আপনার স্ত্রী অনিচ্ছা সত্বেও অনেকের ভোগের (চোখ)বস্তু হয়ে যায়। তাই যাতায়াত দুরত্ব তুলনামূলক কম হয়ে রিজার্ভ গাড়ি/সি এন জি নেওয়া ভালো।এতে আপনার স্ত্রী শান্তি ও নিরাপদে যাতায়াত করতে পারবে। আর্থিক অসচ্ছলতা হলে ভিন্না কথা। তবে খেয়াল রাখা চাই একবেলা খাওয়া পরিমানে কম খেয়েও স্ত্রীর নিরাপত্তারর ব্যপারে গুরুত্ব দিতে হবে।
★পরিবারে একে অপরের সাথে হাসি তামাশা,রশিকতা করা সুন্নত। তবে তা যেন শরিয়াহ পরিপন্থী না হয়।
★নবীজী (সঃ) মাগরিবের পর এশার আগে ঘুমানোকে অপছন্দ করতেন।
★কোন কাজ করার আগে অবশ্যই বড়দের অনুমতি নেওয়া উত্তম।
★মাগরিবের পর সুরা ওকিয়াহ তেলোয়াত করলে আর্থিক অসচ্ছলতা, অভাব অনটন দূর হয়। ইশার পর বা ঘুমানোর আগে সুরা মুলক তেলোয়াত করলে কবরের আযাব মাফ হয় এবং কেয়ামতের ময়দানে আল্লাহ চাইলে সুপারিশকারী হবে।
★ ফজরের সুন্নত নামাজ আদায় পর সময় থাকলে কিচ্ছুক্ষণ বিশ্রাম বা স্ত্রী/ পরিবারের সদস্যদের সাথ কথা বলা সুন্নত।(মিসকাত)
★স্বামির জন্য সৌন্দর্যপূর্ণ কাপড় পরিধান করা এবং বিভিন্ন প্রসাধনী ব্যবহার করা স্ত্রীরর কর্তব্য। তবে টিপ ব্যবহার করা যাবে না।
★সুগন্ধি ব্যবহার করা উত্তম
★ সহবাসের পর ছোট ইন্তেঞ্জার করা জরুরী।
★সপ্নদোষের পর সহবাস করতে ইচ্ছে হলে ছোট ইন্তেঞ্জার করে নিতে হবে ও যৌনাঙ্গ ধুয়ে নিতে হবে।
★একাধিক বার সহবাস করতে চাইলে প্রতিবারের পূর্বে (২য় বার থেকে) যৌনাঙ্গ ও হাত ধুয়ে নিতে হবে।
★ জুমাআর দিন সহবাস করা মুস্তাহাব।
★একই রাতে একাধিক স্ত্রীর সাথে মিলামেশা জায়েজ। এতে শুধু লজ্জাস্থান ধুয়ে অযু করে নিলেই চলবে প্রত্যেক বার গোসল করার প্রয়োজন নেই।(মুসলিম ৬০১)
★সহবাসের পর সাথে সাথে গোসল করে নেওয়া উত্তর। অন্তত অযু করে নেওয়া জরুরী।
★স্ত্রীর অনুমতি ব্যতিত আযল করা নিষেধ।
★সহবাসের কথা কারো নিকট প্রকাশ না করা।
এতে স্বামি/স্ত্রীর হক নষ্ট হয়ে যায়।
এতে স্বামি/স্ত্রীর হক নষ্ট হয়ে যায়।
★স্ত্রীর সাথে হাসি তামাশা বা রোমান্টিক সময়ে মযি বের হলে গোসল ফরজ হয় না।তবে অযু ভেঙে যায়।
★কাউকে ঘুম থেকে উঠাতে জোড়ে জোড়ে না ডেকে তার মাথার পাশে বসে মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে ডাকুন।
শরীয়ত পরিপন্থী কাজ
★ আমাদের দেশে মা বোনেরা কপালে টিপ ব্যবহার করে। এটা সম্পুর্ণ নিষেধ। স্বামি ব্যবহার করতে বললেও টিপ ব্যবহার করা যাবে না। ইতিহাস থেকে প্রমাণিত এটা পতিতার নিদর্শন ।টিপ ব্যবহার করা থেকে আমাদের মা বোন স্ত্রীদেরকে বিরত রাখতে হবে।
★পুরুষরা সপ্নদোষ বা সহবাসের পর গোসল না করে অপবিত্র অবস্থায় শুয়ে থাকে। এটা পরিপুর্ণ শরীয়ত পরিপন্থী কাজ।এই সময় ফেরেস্তারা বদ দোয়া করিতে থাকে। একবার চিন্তা করুন এই অপবিত্র অবস্থায় যদি আমাদের মৃত্যু হয়। তখন আমাদের কি অবস্থা হবে।তাই অন্তত অযু করে নেওয়া জরুরী।
★ বায়ু পথে সহবাস নিষিদ্ধ।
tag
0 coment rios:
আপনার একটি গুরুত্বপূন্য কমেন্ট লেখককে অনুপ্রানিত করে । অনুগ্রহ করে আপনার অনুভুতি আমাদেরকে জানান । আশা করি আমরা সহযোগিতা করতে পারবো ।