Thursday, 13 September 2018

সুন্নত জিন্দার মিশন পর্ব ২০ Md Abdul Kaiyum

সুন্নত জিন্দার মিশন পর্ব ২০Md Abdul Kaiyum

(প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। অসুস্থতার কারনে পোষ্ট করতে দেরী হয়ে গেছে)
হঠাৎ মাঝরাতে খালিদের ঘুম ভেঙে যায়। সে উঠে বসে। আওয়াজে রিমারও ঘুম ভেঙে যায়।
রিমাঃ কি হয়েছে আপনার.??
খালিদঃ আমাকে গোসল করতে হবে। একটু সমস্যা হয়েছে।
রিমা বুঝতে পারে খালিদের সপ্ন দোষ হয়েছে। রিমা তারাতরি উঠে গিয়ে লাইট অন করে ব্যাগ থেকে লুঙি আর গামছে বের করে দেয়।

খালিদ লুঙি আর গামছা নিয়ে বার্থরুমে চলে যায়।
রিমা গিয়ে খাটের উপর এসে বসে। কিছুটা অনুতপ্ত সে। আজ চার(৪) রাত হয়ে গেল। খালিদের পাশে তার বিবাহিত স্ত্রী শুয়ে আছে অথচ তার কাছ থেকে এখনো সে জৈবিক চাহিদা মিটাতে পারিনি। তার তো সমস্যা হওয়ারি কথা। আবার রিমা এটাও চিন্তা করে যে, এখানে আমার ও বা কি দোষ. সব তো মাওলার হুকুমেই হয়। তবে খালিদের ত্যাগ আর সবর এর মাত্রা দেখে রিমা খুব খুশি। মাওলার দরবারে শুকরিয়া আদায় করে এমন একটা ছেলেকে তার জীবনসাথী হিসেবে করে দেওয়ারর জন্য। রিমা মনে মনে নিজেকে খুব ভাগ্যবতী মনে করে।
কিছুক্ষন পর খালিদ গোসল করে বার্থরুম থেকে বের হয়।
খালিদঃ আপনি কষ্ট করে বসে আছেন কেন। ঘুমিয়ে পড়তেন।আমি না হয় লাইট গুলো অফ করে দিতাম।
রিমাঃ ও. কিছু না। দিন লুঙি আর গামছাটি আমায় দিন,আমি টাঙিয়ে দিচ্ছি।
খালিদ রিমার হাতে গামছা আর ভেজা লুঙি দেয়।রিমা এইগুলো বারান্দায় টাঙিয়ে দেয়।
খালিদঃ আপনি আমায় কষ্ট করে মোসলা(জায়নামাজ) টা দিন। আর আপনি ঘুমিয়ে পড়ুন।
রিমাঃ আমিও অযু করে আসছি।আপনি নামাজ পড়বেন।আমি পাশে বসে জিকির করবো ইনশাআল্লাহ। (জায়নামাজ বের করতে করতে)
রিমঃএই নিন।আপনি নামাজে দাড়িয়ে যান।আমি ওযু করে আসতেছি।
খালিদঃ আচ্ছি ঠিক আছে।(মুখে মলিন হাসি)
খালিদ নামাজে দাড়িয়ে যায়।রিমা বার্থরুম থেকে ওযু করে এসে খালিদের একটু পিছনে বসে বসে জিকির করে। রিমা লক্ষ করে খালিদ খুব ধীরস্থীর ভাবে নামাজ পড়ে। কেরাত বেশ লম্বা না করলেও রুকু সিজদায় বেশ লম্বা সময় ব্যায় করে।
খালিদ ৪ রাকাত নামাজ পড়ার পর কিছুক্ষন বসে।
রিমঃ কয় রাকাত নামাজ পড়বেন..?
খালিদঃ ৮ রাকাত। কেন ঘুম পাচ্ছে.?? তাহলে আপনি ঘুমিয়ে পড়ুন।
রিমা:ঠিক তা না। নিয়মিত কয় রাকাত পড়েন তা জানার জন্য আর কি।
খালিদঃ ও। আমি নিয়মিত ৮ রাকাত তাহাজ্জুদ আর ৩ রাকাত বিতির মোট ১১ রাকাত পড়ি। নবীজী (সঃ) নাকি এভাবেই বেশি নামাজ পড়তেন।তবে ওলামায়ে হযরতদের মুখে আর বই পড়ে জানলাম কম বেশি পড়া যায়।
রিমাঃ তাহলে আজ যে ৮ রাকাত পড়বেন বলছেন।
খালিদঃ আজ তাহাজ্জুদ পড়তে পারবো কিনা সন্দেহ ছিলাম।তাই আজ ইশার সাথেই বিতরের নামাজ পড়ে ফেলছিলাম। আলহামদুলিল্লাহ্‌ আল্লাহ আমাকে তাহাজ্জুদ থেকে বঞ্চিত করেন নি।
রিমা :আমরা তো এশার সময় ই বিতর একসাথে পড়ে ফেলি।
খালিদঃ সমস্যা নাই, তাহাজ্জুদ পড়তে পারবে কি পারবে না এমন সন্দেহে থাকলে ঘুমানোর আগেই পড়তে পারে। তবে বিতরের নামাজ ছিল নবীজীর রাত্রের একেবারে সবশেষ নামাজ। তবে অনেকেই বিতর নামাজকে ইশার নামাজ এর অন্তর্ভুক্ত মনে করে। তা কিন্তু সঠিক না।
রিমাঃ একটা কথা বলি যদি কিছু মনে না করেন।
খালিদঃ আমি আপনার স্বামি.আমাকে বলবেন না তো কাকে বলবেন। জী বলুন।
রিমাঃ আপনি নামাজের ভিতর কেরাত তেমন লম্বা না করলেও দেখি রুকু সিজদা অনেক লম্বা করেন।
খালিদঃ আসলে আপনি তো জানেন আমি জেনারেল শিক্ষিত।আমার তেমন বড় কোন সুরা মুখস্থ নাই।তাই ছোট সুরা গুলো দিয়ে নামাজ পড়ি।আর আমি চেষ্টা করি খুব ধীরস্থীর ভাবে কেরাত, রুকু সিজদার তাজবিহ গুলো আদায় করতাম।তাই রুকু সিজদাতে সময় লাগে।
তাছাড়া সেজদায় গেলে আমার খুব ভালো লাগে।একধরনের শান্তি অনুভব হয়। যা বলে কাউকে বুঝানো যায় না। শুধু অনুভব করা যায়।
রিমাঃ ঠিক বলেছেন।আচ্ছা বাকি ৪ রাকাত পড়েনিন।আমি বরং ঐ সময় জিকির করি।
খালিদঃ কি কি পড়েনন জিকিরে.?
রিমাঃ এইতো সুবহানআল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ্‌, আল্লাহু আকবর, লাইলাহা ইল্লাল্লাহ ইত্যাদি
খালিদঃ আলহামদুলিল্লাহ্‌ ভালো। কেমন লাগে জিকির করতে?
রিমাঃ আলহামদুলিল্লাহ্‌ খুব ভালো। আসলে আগে তো বিশেষ রাত্র ছাড়া রাত্রে ইবাদত হতো না। কিন্তু এখন দেখছি দিনের বেলার থেকে রাত্রের বেলা ইবাদত করতে অনেক ভালো লাগে।
খালিদঃ আপনাকে একটা পদ্ধতি শিখিয়ে দিবো কি.? যাতে জিকির করতে আরো মজা ও তৃপ্তি লাগবে ইনশাআল্লাহ।
রিমাঃ জী বলুন। (কিছুটা উৎসুক হয়ে)
খালিদঃ নিন এভাবে হাটু গেঁথে বসুন।এবার ডান দিক থেকে মুখে বলুন লাইলাহা ইল্লাল্লাহ। আর দীলে দীলে বলুন আল্লাহ বাদে কোন মাবুদ নাই।
রিমাঃ শুধু মুখে বললে হবে না। আবার দীলে দীলে আল্লাহ বাদে কোন মাবুদ নাই বলতে হবে?
খালিদঃ হুম। বলে দেখুন না খুব ভালো লাগবে।
রিমাঃ আচ্ছা চেষ্টা করতেছি।
রিমা কয়েকবার চেষ্টা করে। কিন্তু মিলছে না। মুখে বললে মনে মনে আল্লাহ বাদে কোন মাবুদ নাই বলতে পারছে না। আবার মনে মনে আল্লাহ বাদে কোন মাবুদ নাই বললে লাইলাহা ইল্লালাহ বলতে পারছেনা।
রিমাঃ কই হচ্ছে না তো। একটা বললে অন্যটা বলতে পারছিনা।
খালিদঃ (একটু মুচকি হাসি দিয়ে।) জানতাম পারবেন না।এত সহজে এটা আয়ত্বে আনা সম্ভব না। তবে কেউ যদি একবার আয়েত্বে আনতে পারে সে জিকিরের ভিতর যে কি মজা পায়। সেটা সে ছাড়া কেউ বলতে পারবে না।
রিমা:আপনি আয়ত্বে আনতে পেরেছেন.??
খালিদঃ পুরাপুরি এখনো পারিনাই। মাঝে মাঝে মিস্টেক হয়। প্রথম প্রথম তো মিলাতেই পারতাম না, এখন অনেকটাই পারি আলহামদুলিল্লাহ্‌। সত্যি এক অন্য রকম অনুভুতি হয় তখন।
রিমাঃ আচ্ছা আমি তাহলে চেষ্টা করি।
খালিদঃ আপনি চেষ্টা করতেই থাকুন। আমি বাকি ৪ রাকাত নামাজ পড়ে নিই।
তারপর খালিদ বাকি ৪ রাকাত নামাজ পড়া শেষ করে।
খালিদঃ কি অবস্থা।
রিমাঃ হচ্ছে না তো। তবে কয়েকবার অন্তর অন্তর একদুই বার মিলে
খালিদঃ ইনশাআল্লাহ আস্তে আস্তে হয়ে যাবে।
রিমাঃএই পদ্ধতি আপনি কোথ থেকে শিখেছেন?
খালিদঃ কলেজে থাকতে একবার কলেজের পাশে এক জায়গায় হাটহাজারীর হযরত (ম জি য়া)তাশরিফ এনেছিলেন।তখন উনার হাতে বায়াত গ্রহন করি।উনি এভাবে জিকির করতে বলেছেন। পরে চরমোনাই ময়দানে গিয়েছিলাম সেখানেও হযরত পীর সাহেব হুজুর(দাঃবাঃ) এইভাবেই জিকির করতে বলেছেন। প্রথম প্রথম না মিললেও এখন অনেকটাই মিলে আলহামদুলিল্লাহ। এই ভাবে জিকির করলে এক অন্য রকম অনুভুতি হয়, যা মুখে বলে বুঝানো যায় না।
তারপর খালিদ আর রিমা আরো কিছুক্ষন জিকির করে ইস্তেগফার ও দুরুদ পড়ে মোনাজাত করে। মোনাজাতে তারা নিজ,পরিবার, দেশ ও মানবতার কল্যানের জন্য দোয়া করে। বিষেশ করে দেশে যেন ইসলামী হুকুমত বাস্তবায়ন হয় এই জন্য খুব আবেগ আপ্লুত হয়ে কান্নাকাটি করে খালিদ দোয়া করে।মোনাজাতের পর তারা অনেক্ষন জায়নামাজের উপর বসে থাকে।
কিছুক্ষন পর মুয়াজ্জিনের কন্ঠে ভেসে এলো আল্লাহু আকবর আল্লাহু আকবর।
আযানের উত্তর দেওয়ার পর খালিদ সুন্নত এর জন্য দাড়িয়ে যায়।রিমা উঠে গিয়ে রিফাত কে ডেকে দেয়।
খালিদ সুন্নত নামাজ আদায় করে কিছুক্ষন বসে বিশ্রাম নেয়। রিফাত আসলে খালিদ আর রিফাত মসজিদে চলে যায়। নামাজ শেষে তারা কিছুক্ষন মুক্ত বাতাসে ঘুরাফেরা করে। ঘুরাফেরার পর তারা বাড়িতে আসে। ততক্ষনে রিমা ও তার মা নাস্তা তৈরী করে ফেলে।
রিমা নাস্তা নিয়ে রুমে যায়।রিমা খালিদ আর রিফাত একসাথে নাস্তা করে। নাস্তা করা শেষ হলে
খালিদঃ আপনাকে একটা কথা বলার ছিল?
রিমাঃ ভাই তুই এগুলো নিয়া যাও আমি আসতেছি।(রিফাত কে উদ্দেশ্য করে)
রিফাত প্লেট আর চায়ের কাপ গুলো নিয়ে চলে যায়।
রিমাঃ জী বলুন।
খালিদঃ আজ অনেক দিন তো দোকান খুলি না। আমি চাচ্ছিলাম যে, আমি বিকালে চলে যাবো। দোকান খুলতে হবে। এখন আপনি কি বলেন।আপনি কি আমার সাথে যাবেন.?.নাকি আরো ২/১ দিন থাকবেন। থাকলে থেকে যেতে পারেন। আমি কিন্তু যেতে হবে।(যদিও খালিদ চাচ্ছে রিমা কে নিয়েই যেতে)
রিমাঃ আচ্ছা আমি আম্মুর সাথে কথা বলে আপনাকে জানাচ্ছি। আপনি এখন একটু বিশ্রাম নিন। আমি বরং আম্মুর সাথে কথা বলে দেখি।
খালিদ বিশ্রামের উদ্দেশ্যে খাটে গিয়ে শুয়ে আর রিমা মাকে সাহায্য করার উদ্দেশ্যে রুম থেকে বের হয়ে যায়।
প্রায় দুপুর ১২ টার দিকে খালিদের ঘুম ভাঙে। ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে অযু করে এসে রিমার পাঠ্যবই দেখে ঐ বই পড়া শুরু করে। কিছুক্ষন পর বাড়ি কাজেকর্ম শেষ করে গোসল করা উদ্দেশ্যে ঘরে প্রবেশ করে।
রিমাঃ আসসালামু আলাইকুম
খালিদ :ওয়ালাইকুমুসসালাম
রিমাঃ কখন ঘুম থেকে উঠলেন।
খালিদঃ এই তো কিছুক্ষন হলো। তো আম্মুর সাথে যাওয়ার ব্যাপারে কি কথা হলো।
রিমাঃ জী আমি আপনার সাথে যাচ্ছি।(কিছু টা খুশি হয়ে)
খালিদ :আম্মু আবার কি ভাববে। আপনি না হয় আরো ২/১ দিন থেকে যেতেন।
রিমাঃ কিছু ভাববে না। উনার সাথে পরামর্শ করে এই সিদ্ধান্ত। আমরা বিকালে যাবো ইনশাআল্লাহ।
খালিদঃ ঠিক আছে ইনশাআল্লাহ।
রিমাঃ আপনি বই পড়ুন। আমি বরং ফরজ গোসল টা করে নি।
খালিদঃ ঠিক আছে।
রিমা গোসল করতে চলে যায়।খালিদের হঠাৎ রিমার কথাটি আবার মনে পড়ে যে, """"আমি ফরজ গোসল টি সেরে আসি"""।খালিদ বুঝতে আর বাকি নাই রিমা আজ হায়েজ অবস্থা থেকে মুক্ত হয়েছেন। তাই রিমা ফরজ গোসলের কথা উল্লেখ করেছে।
তারপর খালিদ আবার বই পড়াতে মনোযোগ দেয়। কিছুক্ষন পর যোহরের আযান দেয়। রিফাত এসে হাজির।
রিফাতঃ চলুন ভাইয়া, মসজিদে যাবেন না।
খালিদঃ হুম চলো।
তারপর তারা নামাজ পড়তে চলে যায়।নামাজ পড়ে তারা রুমে বসে।ততক্ষণে রিমা নামাজ পড়ে দুপুরের খাবার বেড়ে নেয়। তারপর খালিদ রিমা আর রিফাত একসাথে দুপুরের খাবার খায়। খাবার শেষে রিমা প্লেট ও অবশিষ্ট খাবার গুলো নিয়ে চলে যায়। খালিদ আর রিফাত বসে বসে বিভিন্ন আলোচনা করে।রিমা প্লেট গুলো ধৌত করে তাদের সাথে যোগ দেয়।
প্রায় সাড়ে ৩ টা পর্যন্ত তারা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
খালিদ : সাড়ে ৩টা তো বেজে গেলো আপনি বরং আস্তে আস্তে ব্যাগ গুছিয়ে তৈরী হয়ে নিন।
রিমাঃ আচ্ছা ঠিক আছে।
রিমা উঠে গিয়ে ব্যাগ গুছিয়ে নেয় এবং হাত মুখ ধুয়ে এসে বোরগা, হাত মুজা পা মুজা পড়ে নেয়।
রিমাঃ আমি রেডি।
খালিদঃআপনি মায়ের থেকে বিদায় আসুন।
রিমাঃ আপনি বিদায় নিবেন না।
খালিদঃ আমি পার্দার আড়াল থেকে বিদায় নিয়া নিবো।
রিমাঃ ও....সৎ শাশুড়ির ব্যপারে ফতুয়া জেনে এসেছেন.??
খালিদঃ জী. কারিমীয়া মাদ্রাসার মুফতি ইসমাইল সাহেব ও মাওলানা জয়নাল আবেদীন(দাঃবাঃ)বলছেন সৎ শাশুড়ির সাথে দেখা দেওয়া জায়েজ হবে না।
রিমাঃ ও, আচ্ছা আমি তাহলে বিদায় নিয়ে আসি।
রিমা তার মায়ের থেকে বিদায় নিয়ে আসে।খালিদ ও পর্দার আড়াল থেকে সালাম দিয়ে বিদায় নেয়। তারপর রিমার বাবা আর রিফাত খালিদ ও রিমাকে গাড়িতে তুলে দেয়।
চলবে ইনশাআল্লাহ
শিক্ষা
★সৎ শাশুড়ির সাথে দেখা দেওয়া জায়েয নাই।
-মুফতি ইসমাইল
-মাওলানা জয়নাল আবেদীন
গ্রন্থ
-আলবাহারুর রায়েক ৩/৯৮
-ফাতুয়ায়ে হিন্দিয়া ১/২৭৭
-আদ্দুররুল মুখতাব ৩/৩৯
(বিঃদ্রঃ এটি এখতালাফি মাসয়ালা। আর এই মাসয়ালার সম্মুখিন খুব কম মানুষ ই পড়ে। যারা এই মাসয়ালার সম্মুখিন হয়েছেন বা হতে পারেন।তারা আরো বিজ্ঞ আলেম থেকে জেনে নিতে পারেন।কমেন্টে মেহেরবানী করে কেউ হট্টগোল করবেন না)
★ হায়েজ ভালো হওয়া মাত্রই গোসল ফরজ হয়ে যায়। এই ব্যপারে আমাদের মা/বোনরা অবহেলা করেন।বিশেষ দুপরের পর বা বিকাল বেলা হায়েজ ভালো হলে মা/বোনেরা অবহেলা করে তখন গোসল না করে পরের দিনের জন্য অপেক্ষা করে। এটা মোটেও উচিৎ না। এতে কয়েক ওয়াক্ত নামাজ ইচ্ছে করে বাদ দেওয়ার শামিল।
‪#‎যে‬ সব কারণে গোসল ফরজ হয়ঃ
======================
১. স্বপ্নদোষ বা উত্তেজনাবশত বীর্যপাত হলে।

২. নারী-পুরুষ মিলনে/স্বামির লিংগের অগ্রভাগ স্ত্রীর গুপ্তাংগে প্রবেশ করলে। (সহবাসে বীর্যপাত হোক আর নাই হোক)।
৩. মেয়েদের হায়েয-নিফাস শেষ হলে।

=====================
‪#‎ফরজ‬ গোসলের নিয়ম সহিহ হাদিস অনুসারে সংক্ষেপে দেওয়া হল।
১,,মনে মনে গোসলের নিয়ত করা (নিয়ত পড়া নয়)।
২।‘বিসমিল্লাহ’ বলে গোসল শুরু করা
 ৩। দুই হাত কবজি পর্যন্ত ধোওয়া (বুখারী ২৪৮)
৪। পানি ঢেলে বাম হাত দিয়ে লজ্জাস্থান পরিষ্কার করা (বুখারী ২৫৭)
৫। বাম হাতটি ভালভাবে ঘষে ধুয়ে নেওয়া (বুখারী ২৬৬)
৬।নামাজের ওজুর মতো ভালভাবে পূর্ণরূপে ওজু করা। (দুই হাত তিনবার ধোওয়া, কুলি করা, নাকে পানি দেওয়া, মুখ ও কনুই পর্যন্ত হাত ধোওয়া। মাথা মাসেহ করতে হবে না।)
এক্ষেত্রে শুধু পা দুটো বাকি রাখলেও চলবে, যা গোসলের শেষে ধুয়ে ফেলতে হবে।
★ (বুখারী ২৫৭, ২৫৯, ২৬৫)★
৭। মাথায় পানি ঢেলে চুলের গোড়া ভালভাবে আঙ্গুল দিয়ে ভিজানো। (বুখারী ২৫৮)
মহিলাদের বেনী না খুলেও গোড়া ভালভাবে ভিজলেই হবে। (মুসলিম ৩৩০)
৮। পুরো শরীরে পানি ঢালা; প্রথমে ডানে, পরে বামে। (বুখারী ১৬৮)
৯। গোসলের জায়গা থেকে একটু সরে গিয়ে দুই পা ধোওয়া।(বুখারী ২৫৭)
======================
#মনে রাখতে হবেঃ
১. পুরুষের দাড়ি ও মাথার চুল এবং মহিলাদের চুল ভালোভাবে ভিজতে হবে।
২. এই নিয়মে গোসলের পর নতুন করে আর ওজুর দরকার নাই, যদি ওজু না ভাঙ্গে।

islamic bangla gojol,bangla waz,gojol,bangla islamic song,islamic gojol,all bangla gojol,islamic,bangla 
gojol 2018, bangla gojol mp3,bangla waz, wazkalarab,kalarab song,kalarab new song,kalarab tv,kalarab shilpi,kalarab new gojol,kalarab live,kalarab all song,kalarab ar gojol,kalarab best song,kalarab bangla gojol,kalarab bangla,kalarab bodruzzaman,kalarab by abu rayhan,kalarab eid song,kalarab gojol new,kalarab gojol ma,kalarab gojol 2018,kalarab gojol new 2018,kalarab holy tune,kalarab jazakallah,kalarab song,kalarab songit,kalarab song allah allah,kalarab song 2018,kalarab song new,kalarab song salat,kalarab song new 2018,kalarab song salam,kalarab best song,song by kalarab,kalarab video song,new kalarab song,kalarab gojol new,kalarab gojol ma,kalarab gojol sal


শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios:

আপনার একটি গুরুত্বপূন্য কমেন্ট লেখককে অনুপ্রানিত করে । অনুগ্রহ করে আপনার অনুভুতি আমাদেরকে জানান । আশা করি আমরা সহযোগিতা করতে পারবো ।