সুন্নত জিন্দার মিশন পর্ব ৩৬Md Abdul Kaiyum
দুইটা রিক্সা নিয়ে তারা বাড়িতে এসে পৌছে।রাশেদের স্ত্রী আর রিমা ভিতরের রুমে চলে যায় আর খালিদ আর রাসেদ সামনের রুমে বসে।কিছুক্ষণ পর মাগিবের আযান দিলে রাসেদ আর খালিদ মসজিদে চলে যায়।মহিলারা ঘরে নামাজ আদায় করে।
খালিদ ফরজ ও সুন্নত নামাজ আদায় করার পর দুই রাকাত শোকরের নামাজ আদায় করে।
নামাজ পরার পর তারা বাসায় আসলে তাদের জন্য নাস্তার ব্যবস্থা করে রাসেদের স্ত্রী।রাসেদ এসে রান্নাঘর থেকে নাস্তা নিয়ে যায়।রাসেদ আর খালিদ নাস্তা করে। নাস্তা করার পর রাসেদ কাপপ্লেট নিয়ে যাওয়ার সময়...
খালিদঃ রাসেদ...
রাসেদঃ হুম.কিছু বলবি..??
খালিদ :আমি পাশের রুমে আছি।তুমি ভাবিকে একটু বলে উনাকে(রিমা) এই রুমে আসতে বলিও।
রাসেদ :ও...আচ্ছা।ঠিক আছে আমি বলে দিচ্ছি।
রাসেদ রান্নাঘরের সামনে এসে সালাম দিলে রিমা একটু আড়াল হয়ে যায়।
রাসেদের স্ত্রী :ওয়ালাইকুমুসসালাম, জী আসুন।
রাসেদ ভিতরে প্রবেশ করে এক পাশে কাপপ্লেট গুলো রেখে..
রাসেদঃ খালিদ পাশের রুমে অবস্থান করছে।তুমি কিছুক্ষণ পর ভাবিকে একটু ঐ রুমে পাঠিয়ে দিও।আমি একটু বাহিরে যাচ্ছি।
রাশেদের স্ত্রী :আচ্ছা ঠিক আছে আমি এক্ষণি পাঠিয়ে দিচ্ছি।
রাসেদঃ জাযাকাল্লাহ। আমাদের কিছু লাগবে.??
রাসেদের স্ত্রী :আলহামদুলিল্লাহ্। আপাতত কিচ্ছু লাগবে না।
রাসেদঃ ঠিক আছে। আমি যাচ্ছি। আসসালামু আলাইকুম।
রাসেদের স্ত্রী :ওয়ালাইকুমুসসালাম।
রাসেদ বাহিরে চলে গেলে রাসেদের স্ত্রী রিমাকে পাশের রুম দেখিয়ে দেয়।রিমা আস্তে আস্তে ঐ রুমের সামনে যায়।
রিমাঃ আসসালামু আলাইকুম।
খালিদঃ ওয়ালাইকুমুসসালাম। বিতরে আসুন।
রিমা ভিতরে প্রবেশ করে।রিমা খালিদের সামনে এসে লজ্জায় মাথা নিচু করে দাড়িয়ে থাকে।খালিদ রিমার মাথাকে উপরে তুলে কপালে একটি চুমো দেয়।
খালিদঃ আমি জানি না আমার জীবনে আজকের চেয়েও কোন খুশির সংবাদ আগে শুনেছি কিনা। আমার জীবনে আজকে অন্যতম একটি খুশির দিন।আলহামদুলিল্লাহ্।
রিমাঃ আলহামদুলিল্লাহ্।
খালিদঃ বসুন।এবার একটু বিস্তারিত তারাতারি বলুন। মনের ভিতর কেমন জানার আগ্রহ টা তীব্র থেকে তীব্রতা হচ্ছে।প্লিজ একটু তারাতারি বলুন।
রিমা খাটের উপর বসে খালিদকে বিস্তারিত সব বলে।খালিদ সব শুনে মাওলার শোকর আদায় করে।
খালিদঃ বাড়িতে তো এখনো কিচ্ছু জানানো হয় নি।আমি ফোন দিচ্ছি কথা বলুন
রিমা তার শাশুড়ির সাথে কথা বলে।তারপর খাদিজার সাথে কথা।রিমার কথা শুনে তারা খুব খুশি হয়।রিমারা কখন ফিরছে এই ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে রিমা উত্তর দেয় এখনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় নি।সিদ্ধান্ত নিলে অবশ্যই জানানো হবে।তারপর আরো বিভিন্ন কথাবার্তা বলে কথা শেষ করে।
রিমাঃ মা..জানতে চাইছে আমরা কখন ফিরছি.??
খালিদঃআজকেই আসছেন।এতটা লম্বা জর্নি করছেন। অন্তত একদিন থেকে যাই।তাহলে অন্তত কিছুটা বিশ্রামের সময় পাবেন। ঠিক আছে।
তারা তারপর বিভিন্ন কথাবার্তা বলে। মুয়াজ্জিনের কন্ঠে ভেসে আসে আল্লাহু আকবর --আল্লাহু আকবর।
খালিদঃ আযান দিচ্ছে আমি তাহলে মসজিদের দিকে যাই।
রিমাঃ ঠিক আছে।
খালিদঃ আসসালামু আলাইকুম।
রিমাঃ ওয়ালাইকুমুসসালাম। সালাম দিয়ে চলে যাচ্ছেন..? নবীজি (সঃ) এর সুন্নত টা আদায় করবেন না.???
খালিদ পিছনে তাকিয়ে দেখে রিমা লজ্জায় মাথা নিচু করে রাখে।খালিদ রিমার সামনে এসে কপালে একটি চুমু দেয়।
খালিদঃ জাযাকাল্লাহ।সুন্নতের কথাটি স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্য।
রিমাঃ ইয়াওয়াকি।
তারপর খালিদ মসজিদে চলে যায়।রিমা আর রাসেদের স্ত্রী, শাশুড়ি সহ সুমাইয়া কে নিয়ে নামাজ আদায় করে।ইশার পর রাসেদের স্ত্রী, তার শাশুড়ি ও সুমাইয়াকে নিয়ে তালিম করে।আজ তাদের সাথে রিমাও যোগ হয়।রিমা জানতে পারে যে,প্রতিদিন ইশার নামাজের পর তাদের ঘরে প্রতিদিন তালিম হয়। রিমার কাছে ব্যাপার টি খুব ভালো লাগে।
মসজিদে খালিদের সাথে রাসেদের দেখা হয়।নামাজ শেষে তারা ঘরে ফিরে।তারা এসে অনেক্ষন আলাপ আলোচনা করে।অনেক দিনের জমানো কথাগুলো একে অপরের সাথে সেয়ার করে। কে কিভাবে সংসার চালাচ্ছে তা বলে। এক্ষেত্রে একে অপরকে পরামর্শ ও প্রদান করে।
রাসেদের স্ত্রী রাসেদ কে ইশারা দিলে রাসেদ এসে রান্নাঘর থেকে খাবার নিয়ে যায়।তারপর রাসেদ আর খালিদ খাবার খেয়ে নেই। খাওয়ার পর রাসেদ নিজে প্লেটগুলো ধুয়ে গুছিয়ে রাখে। এঈ সময় রাসেদের স্ত্রী অন্য রুমে রিমা সহ অন্যান্যদের নিয়ে খাবার খায়।
খাওয়া শেষে রাসেদ আর খালিদ আরো কিছুক্ষণ আলাপ আলোচনা করে।বাড়ি যাওয়ার জিন্য এম্বুলেন্স কিভাবে ভাড়া করবে তা নিয়ে আলোচনা হয়।তারপর রাসেদ খালিদ কে ঘুমানোর জন্য রুমে যেতে বলে।খালিদ রুমে যায়।
কিছুক্ষণ পর রিমা সালাম দিয়ে ঘর প্রবেশ করে। খালিদ খাট ঝেড়ে নেয় এবং মশারি টাঙিয়ে নেয়।তারপর অযু করে এসে ব্যাগ থেকে জায়নামাজ টি বের করে..
রিমাঃ আপনি কি এখন নামাজ পড়বেন.??
খালিদঃ জী.?? একটু ক্লান্ত লাগছে রাতে উঠতে পারবো কিনা সন্দেহ হচ্ছে তাই এখন নামাজ পড়ে নিচ্ছি।
রিমাঃ এখন পড়ে নিলে হবে.??
খালিদঃগভীর রাতে পড়ার মত এত মর্যাদা না হলেও সওয়াব ইনশাআল্লাহ পাওয়া যাবে।
রিমাঃ আমার ও শরীর ক্লান্ত লাগছে। মনে করছি তাহাজ্জুদ পড়তে পারবো না।তাই বিতর সহ পড়ে ফেলছি।এখন কি নামাজ আদায় করা যাবে.?
খালিদঃ ইনশাআল্লাহ যাবে। কোন সমস্যা নাই।
রিমাঃ তাহলে আমি ও এখন নামাজ পড়বো ইনশাআল্লাহ। কিন্তু আপনি তো মনে করে জায়নামাজ নিয়ে আসছেন আমি তো আনি নাই।
খালিদঃ সমস্যা নাই। আপনি জায়নামাজে পড়ুন।আমি ফ্লোরে পড়ছি।
রিমাঃ আরে কি যে বলেন... আপনি জায়নামাজে পড়ুন আমি বরং ফ্লোরে পড়ছি।
খালিদঃ ফ্লোরে নামাজ পড়লে আপনার ঠান্ডা লেগে যেতে পারে। আপনি জায়নামাজে নামাজ পড়ুন।
রিমাঃ ফ্লোরে আপনি নামাজ পড়লে বুঝি আপনার ঠান্ডা লাগবে না...? আপনারও তো ঠান্ডা লেগে যেতে পারে।আপনিই জায়নামাজে নামাজ পড়ুন।
খালিদঃ আরে #পাগলি... আপনাকে বুঝতে হবে....
(খালিদকে অন্য কথা বলার আগেই রিমা কথা শুরু করে দেয়)
রিমাঃ কি বলছেন.??প্লিজ আবার বলুন না।(মায়া মায়া কন্ঠে)
রিমার কথা শুনে খালিদ ভ্যাবাচেকা খেয়ে যায়।লজ্জায় মাথা নিচু করে ফেলে।
রিমাঃ প্লিজ বলুন না।একটু আগে কি যেন বলছেন। আবার বলুন না প্লিজ।(মায়া মায়া কন্ঠে)
খালিদঃ কই কি বলছিলাম... জায়নামাজের কথাই তো বলতে ছিলাম।(মাথা নিচের দিকে রেখে)
রিমাঃ এটা না।একটু আগে আমায় যেন কি নামে ডাকছিলেন.??
খালিদঃ পাগলি.... (বলতে অনেক কষ্ট হয়)
রিমাঃআমি কার পাগলি...?(নিম্ন স্বরে)
খালিদঃ আমার.......
খালিদ আমার বলেই রিমাকে জড়িয়ে ধরে।
রিমাঃ শুনছিলাম পাগলিদের ঠিকানা নাকি পাবনাতে হয়।তাহলে কি আমার ঠিকানাও কি পাবনাতে হবে..?(একটু প্রেমময় ভাব নিয়ে)
খালিদঃ ভুল শুনেছেন। সব পাগলির ঠিকানা পাবনাতে হয় না।কিছু কিছু পাগলির ঠিকানা পাগলদের বুকের মাঝেও হয়।
রিমাঃ সত্যি..?
খালিদঃ জী সত্যি।
তারপর রিমাও খালিদকে জড়িয়ে ধরে।
রিমাঃ আল্লাহ দুইজনকে যতদিন বাঁচিয়ে রাখবেন ততদিন এভাবে বুকের মাঝে পাগলিটাকে ঠাই(জায়গা) দিয়েন।
খালিদঃ সব সময় আমি দিবো কেন.?? নিজ থেকে চেয়ে নিবেন।
রিমাঃ ইনশাআল্লাহ।নিজ থেকে চেয়ে নিবো।
কিছুক্ষণ কিছুক্ষণ দাড়িয়ে থাকার পর..
রিমাঃ সারারাত কি এভাবেই দাড়িয়ে থাকবেন..? নামাজ পড়বেন না.?
খালিদঃ জী। আপনি জায়নামাজে দাড়িয়ে যান।আমি ফ্লোরে পড়ছি।
রিমাঃ না.. এটা হয় নাকি। স্বামী ফ্লোরে নামাজ পড়বেন আর আমি স্ত্রী হয়ে জায়নামাজে..? না এটা হয় না.??
খালিদঃ আরে আপনাকে তো বুঝতে হবে আল্লাহ না করুক যদি আমার ঠান্ডা লাগে তাহলে শুধু আমি কষ্ট পাবো।কিন্তু আপনার ঠান্ডা লাগলে.???
-আপনার ঠান্ডা লাগলে আপনি সহ আগত ৩ জনের কষ্ট হবে।আগত ব্যক্তিদের কি এভাবে কষ্ট দেওয়া উচিত হবে.???
-আপনার ঠান্ডা লাগলে আপনি সহ আগত ৩ জনের কষ্ট হবে।আগত ব্যক্তিদের কি এভাবে কষ্ট দেওয়া উচিত হবে.???
খালিদের কথা শুনে রিমা আর না করতে পারছে না।
রিমাঃ আচ্ছা আমি জায়নামাজেয় দাড়াবো। যদি আপনি আমায় পাগলি বলে ডাকেন।
রিমার কথা শুনে খালিদ মুচকি হেসে দেয়।
খালিদঃ এই যে আমার পাগলি। আপনি জায়নামাজে দাড়াবেন কেমন....। (আলতো করে রিমার নাক টেনে দিয়ে)
রিমাঃ জী... আমার পাগল..
তারপর তারা নামাজ আদায় করে।আট রাকাত নামাজ আদায় করার পর রিমা কিছুক্ষণ জিকির করে।তারপর নবীর শানে দুরুদ পড়ে মোনাজাত করে।মোনাজাত আগত ব্যক্তিদের জন্য,নিজের জন্য,পরিবার পরিজনদের জন্য, সমাজ,রাষ্ট্র্বের জন্য, কবরবাসির কবরের আযাবের থেকে মুক্তির জন্য দোয়া করে।খাস (স্পেশাল)ভাবে খালিদের জন্য দোয়া করে।এই সময় রিমার অযান্তেই চোখের পানি চলে আসে।
খালিদ আট রাকাত নামাজ পড়ার পর তিন রাকাত বিতর নামাজ আদায় করে।তারপর কিছুক্ষণ জিকির করে নবীর শানে দুরুদ পড়ে দেশ ও মানবতার কল্যানের জন্য দোয়া করে।খাস করে রিমা ও আগত ব্যক্তিদের জন্য দোয়া করে।
নামাজ ও দোয়ার পর্ব শেষ হওয়ার পর তারা বিছানায় ঘুমানোর জন্য যায়।
রিমাঃ জানেন উনাদের বাড়িতে ভাবি নাকি প্রতিদিন তালিম করে।ইশার নামাজের পর সুরা মুলক তেলোয়াতের পর কিতাব পড়ে।ব্যপারটি আমার কাছে খুব ভালো লাগছে।
খালিদঃ আসলে এটা তো ভালো জিনিষ।আমাদের বাড়িতে করবেন নাকি..??
রিমাঃ ইনশাআল্লাহ। এবার বাড়ি গেলে তালিম শুরু করবো।
খালিদঃ ইনশাআল্লাহ।
তারপর তারা ঘুমিয়ে যায়।
পরের দিন খালিদ রাসেদের সাথে কাটিয়ে দেয় এবং রিমা রাসেদের স্ত্রী, মা,ও সুমাইয়ার সাথে কথাবার্তা বলে কাটিয়ে দেয়।এর পরের দিন ফজরের পর তারা এম্বুলেন্সে করে বাড়ির উদ্দেশ্য রওনা দেয়। প্রায় বার (১২) টার দিকে তারা বাড়ি এসে পৌছে।তাদের জন্য বাড়ির অন্যান্য সদস্যরা অপেক্ষায় ছিল।
তারা বাড়ি এসে পৌছালে সবার সাথে সালাম বিনিময় করে।
খালিদের মা: পরে বিস্তারিত সব কথা শুনা যাবে এতটা পথ জার্নি করে এসেছো এখন একটু বিশ্রাম নাও।
রিমা হ্যা সম্মতি দিয়ে নিজের রুমে বিশ্রাম নিতে যায়।খালিদও পিতা মাতার সাথে দেখা করার পর খাদিজার সাথে দেখা করে।খাদিজার জন্য আসার সময় সুন্নত হিসেবে হাদিয়া আনে এবং তা খাদিজাকে দেয়।হাদিয়া পেয়ে খাদিজা খুব খুশি হয়। তারপর খালিদ রিমার রুমে গিয়ে বিশ্রাম নেয়।
চলবে ইনশাআল্লাহ
শিক্ষা
★কোন বিশেষ নেয়ামত পাওয়ার পর দুই রাকাত শোকর নামাজ আদায় করা সুন্নত। একে সাজদায়ে শোকর ও বলে।
★বাড়িতে তালিমের ব্যবস্থা করা উচিত। এতে ধর্মীয় ব্যপারে অনেক কিছু জানা যায়,আমলের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি হয়,একে অপরের প্রতি মোহাব্বত সৃষ্টি হয়। বাড়িতে তালিমের জন্য ফাজায়েলে আমল,ফাজায়েলে তালিম,মুনতাখাব হাদিস, ফাজায়েলে সদাকাত,হেকায়েতে সাহাবা,আহকামে জিন্দেগি, আহকামে নিসা, ইত্যাদি ধর্মীয় বই পড়া যেতে পারে।
★ স্বামী -স্ত্রী কে মুহাব্বত করে অন্য নামে ডাকা সুন্নত। নবীজী (সঃ) আয়েশা সিদ্দিকা (রাঃ) কে মুহাব্বত করে হুমাইরা বলে ডাকাতেন। তবে খেয়াল রাখা চাই নাম যেন শরীয়ত পরিপন্থী না হয়।
★যাদের তাহাজ্জুদ অভ্যাস এখনো হয়ে উঠেনি।তারা ঘুমানোর আগে ২/৪/৮/+++ ইত্যাদি রাকাত নামাজ পড়ে ঘুমালে ইনশাআল্লাহ তাহাজ্জুদের সওয়াব পাওয়া যাবে।তবে গভীররাত্রে তাহাজ্জুদ পড়ার মত মর্যাদা পাওয়া যাবে না।এই জন্য রাত্রে তাহাজ্জুদ পড়ার অভ্যাস করতে হবে।
tag
0 coment rios:
আপনার একটি গুরুত্বপূন্য কমেন্ট লেখককে অনুপ্রানিত করে । অনুগ্রহ করে আপনার অনুভুতি আমাদেরকে জানান । আশা করি আমরা সহযোগিতা করতে পারবো ।