Thursday, 13 September 2018

সুন্নত জিন্দার মিশন পর্ব ৩৫ Md Abdul Kaiyum


সুন্নত জিন্দার মিশন পর্ব ৩৫
Md Abdul Kaiyum

রাত তিনটার দিকে বাড়ির সকলেই ঘুম থেকে উঠে যায়। সকলেই তাহাজ্জুদ নামাজ যার যার রুমে আদায় করে নেয়।খাদিজা নামাজ শেষ করে সালাম দিয়ে রিমাদের রুমে প্রবেশ করে।রিমার ব্যাগ গুছিয়ে দিতে সাহায্য করে এবং বিভিন্ন পরামর্শ দেয়। খালিদ আগের প্রেসক্রিপশন, রিপোর্ট সব ব্যাগে গুছিয়ে নেয়।
ফজরের আযান দিলে খালিদ রিমা আর খাদিজা সুন্নত আদায় করে নেয়।তারপর খালিদের ইমামতিতে তারা ফজরের নামাজ ঘরেই জামাতে আদায় করে।
নামাজ পড়তে পড়তেই এম্বুলেন্স চলে আসে। নামাজ পড়ার পর খালিদ আর রিমা সবার থেকে দোয়া নিয়ে গাড়িতে(এম্বুলেন্স) উঠে।এম্বুলেন্স ঢাকার উদ্দেশ্যে দেয়।
মাঝে গাড়ি থামিয়ে ড্রাইবার আর তার সহযোগী জামাতে ফজরের নামাজ আদায় করে নেয়।তারপর আবার ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।
প্রায় ১১ টার দিকে তারা রাশেদের বাসা এসে পৌছে।রাসেদ তাদের জন্য অপেক্ষায় ছিল।খাদিল এম্বুলেন্স এর ন্যায্য ভাড়া দিয়ে তাদের বিদায় করে।অবশ্য রাসেদ তাদের বিতরে আসতে বলে কিন্তু তারা বসে নি।
রিমা আর খালিদ রাশেদের ঘরে প্রবেশ করে।রাশেদের স্ত্রী এগিয়ে এসে রিমাকে ভিতরের রুমে নিয়ে যায়।খালিদ আর রাশেদ সামনের রুমে বসে।
দুই বন্ধুর অনেক দিন পরে দেখা।প্রথমে একে অপরের খোজ খবর নেয়।তারপর রিমাকে কখন কিভাবে ডাক্তার দেখাবে তা নিয়ে আলোচনা করে।
খালিদ ওয়াশরুমে যায়। রাশেদের স্ত্রী রাশেদ কে ইশারা দেয়, যেন নাস্তা নিয়ে যায়।রাশেদ এসে নাস্তা নিয়ে যায়।খালিদ ওয়াশরুম থেকে আসলে রাশেদ গামছা এগিয়ে দেয়।তারপরে তারা নাস্তা করে।
রাশেদ খালিদ কে বিশ্রাম করার জন্য রুম দেখিয়ে দেয়।খালিদ রুমে গিয়ে বিশ্রাম নেয়।
রাশেদের স্ত্রী, মা, আর দুই বছরের কন্য সুমাইয়া তো রিমা কে পেয়ে খুব খুশি যেন তাদের মাঝে অনেকদিনের পরিচয়।অল্প কয়েকটি কথাবার্তায় একে অপরকে আপন করে নেয়।খালিদ আসার সময় রাশেদদের জন্য হাদিয়া আনছিল।তাতে আইসক্রিম ও ছিল।আইসক্রিম পেয়ে তো সুমাইয়া খুব খুশি।
যোহরের আযান দিলে খালিদ আর রাশেদ মসজিদে নামাজ পড়তে চলে যায়।তারা মসজিদে গিয়ে জামাতে নামাজ আদায় করে।
রাশেদের স্ত্রী, মা, আর রিমা অযু করে এসে ঘরে নামাজ আদায় করে।রিমা যেহেতু মুসাফির তাই সে কসছের নামাজ আদায় করে।
রিমা খেয়াল করে সুমাইয়াও হাত মুখ ধৌত করে তাদের সাথে জায়নামাজে বসে।মায়ের মত করে নামাজ পড়ার চেষ্টা করে।এই দৃশ্য দেখে রিমার খুব ভালো লাগে।
খালিদ আর রাশেদ নামাজ পড়ে এসে সামনের রুমে বসে বিভিন্ন কথাবার্তা বলে। রিমাদের নামাজ পড়া শেষ হলে রাশেদের স্ত্রী রান্নাঘরে গিয়ে ভাত বেড়ে নেয়। পরে রাশেদকে ইশারা করলে রাসেদ এসে খাবার নিয়ে যায়।খালিদ আর রাসেদ সামনের রুমে খাবার খায়।আর রিমা সহ মহিলারা রান্নাঘরে বসে খাবার খায়।
খাবার খাওয়ার পর রাসেদ আর খালিদ সামনে রউমরুমে রেষ্ট নেয়।আর রিমা আর রাসেদের স্ত্রী তাদের রুমে রেষ্ট নেয়। সুমাইয়া আর তার দাদি দাদির রুমে রেষ্ট নেয়।
রিমাঃ সুমাইয়াকে এভাবে আপনাদের সাথে নামাজ পড়তে দেখে ভালো লাগছে আলহামদুলিল্লাহ্‌।
রাসেদের স্ত্রী :আলহামদুলিল্লাহ্‌। আমি তাকে আরো আগ থেকে এভাবেই শিক্ষা দিয়েছি।
রিমাঃ কিভাবে ভাবি.?
রাসেদের স্ত্রী : কয়েক মাস আগে থেকেই আমি যখন নামাজ পড়তে যাই ওকে সাথে নিয়ে যায়।
রিমাঃ আলহামদুলিল্লাহ।নামাজে ডিস্টার্ব করে না.?
রাসেদের স্ত্রী :হুম।প্রথম প্রথম আমি যখন সিজদায় যেতাম আমার পিঠের উপর বসতে চাইতো।আমি যখন আত্তাহিয়াতু সুরোতে বসতাম আমার সামনে এসে বসে যেত। পরে আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে গেছে।আমি তখন থেকে ওর পিছনে নামাজের জন্যকিছু বাড়তি সময় ব্যয় করছি।তাকে বুঝানোর চেষ্টা করিয়েছি যে মা যখন নামাজ পড়ি তখন মাকে অনুসরণ করতে হয়। মায়ের পিঠের উপর বা সামনে এসে বসতে নেই ।আলহামদুলিল্লাহ্‌ আস্তে আস্তে হয়ে গেছে।এখন আমি যেভাবে করি সুমাইয়া ও সেভাবে করে।
রিমাঃ আলহামদুলিল্লাহ্‌।
রাশেদের স্ত্রী :জানেন ভাবী.... #মাওলানা_হাফিজুর_রহমান_কুয়াকাটা হুজুর আছে না.....?উনার এক বয়ান থেকে আমি শুনেছি।একটি অবুঝ শিশু যখন তার মাকে অনুসরণ করে রুকু সিজদায় মুখ নাড়াচাড়া করে।সেতো তো আর তাজবিহ পাঠ করতে পারে না।কিন্তু মাকে দেখে দেখে যদি মুখ নাড়াচাড়া করে।তখন নাকি আল্লাহর কুদরতি কলিজায় জোস (মোহাব্বত) এসে যায়।তখন নাকি আল্লাহ একজন ফেরেস্তাকে ডেকে জিজ্ঞেস করে এই বাচ্চাটি মুখ নেড়ে কি বলে।ফেরেস্তা উত্তর দেয় বাচ্চা তো কিচ্ছু বলেনা।তার মা মুখ নাড়াচাড়া করে তাই সেও মুখ নাড়াচাড়া করে।তখন নাকি আল্লাহ আবার জিজ্ঞেস করেন বাচ্চার মা মুখ নাড়িয়ে কি বলে।তখন ফেরেস্তা উত্তর তার মা সুবহানা রব্বিয়াল আজিম/আয়ালা বলে।তখন নাকি আল্লাহ ঘোষনা দেয় এই ফেরেস্তা তুমি লিখে রাখো বাচ্চাও মুখ নাড়িয়ে বলে সুবহান রব্বিয়াল আজিম/আয়ালা।এবং বাচ্চার সওয়াব গুলো তার মায়ের আমল নামায় লিখে দাও।
রিমাঃ সুবহানআল্লাহ।
রাসেদের স্ত্রী :আলহামদুলিল্লাহ্‌। আল্লাহ যদি আমার নামাজ কবুল করে তাহলে আমি দ্বিগুণ সওয়াব পাবো ইনশাআল্লাহ।
রিমাঃ তা কিভাবে.??
রাসেদের স্ত্রী :ঐ যে...একটা আমি নামাজ পড়ার জন্য আরেকটা সুমাইয়ার পক্ষ থেকে।
রিমাঃ তা তো ঠিক বলেছেন ভাবি আলহামদুলিল্লাহ্‌। আপনার মতো যদি সকল মা এসব কথা ভাবতো.??
রাসেদের স্ত্রী :কুয়াকাটা হুজুরের আলোচনা এত দিন শুনে হয়তো অনেক মায়েই আমার মত এভাবে ভাবতেছে আমল করতেছে।তাছাড়া আপনি এখন শুনলেন আপনি যখন মা হবেন ইনশাআল্লাহ আপনিও এভাবে ভাববেন আর আমল করবেন।
রিমাঃ ইনশাআল্লাহ্‌।
কিছুক্ষণ পর রাসেদের দরজায় নক...
রাসেদ :আসসালামু আলালাইক।জী আস্তে আস্তে রেডি হয়ে নিন।সময় মাত্র ১০ মিনিট।
রাসেদের স্ত্রী :ওয়ালাইকুমুসসালাম। ঠিক আছে।রেডি হয়ে নিচ্ছি ইনশাআল্লাহ।
তারপর সবাই তৈরী হয়ে নেয়।সুমাইয়াকে দাদির কাছে রেখে তারা তারা হস্পিতাল এর উদ্দেশ্যে বের হয়।রাশেদ আগে থেকেই সিরিয়াল দিয়ে রাখে।
২টা রিক্সা নিয়ে তারা হস্পিতাল এসে পৌছে। রাসেদের স্ত্রী আর রিমা পুর্বের প্রেসক্রিপশন আর রিপোর্ট নিয়ে ডাক্তারের চেম্বারে প্রবেশ করে।
রিমাঃ আসসালামু আলাইকুম।
ডাক্তার :ওয়ালাইকুমুসসালাম। বসুন।
রিমাঃ জাযাকাল্লাহ।
ডাক্তার : রিমা আক্তার.?
রিমাঃ জী.. আমি।
ডাক্তার :জী বলুন। কি সমস্যা আপনার।
রিমাঃ আমি প্রায় সাড়ে পাঁচ মাসের প্রেগন্যান্ট।প্রথম থেকেই আমি সাবধানতার সাথে চলা ফেরা করি সব রুলস মেনে চালি।আলহামদুলিল্লাহ্‌ আমি সুস্থ ও আছি।কিন্তু গত কয়েক দিন আগে আমি চেকআপ করানোর জন্য ডাক্তার দেখাই।উনি বাচ্চার অবস্থান নির্ণয় এর জন্য আমাকে আল্ট্রা করতে বলেন।আমিও আল্ট্রা করাই।কিন্তু রিপোর্ট দেখে উনি আমায় বলেন.....(কান্নার জন্য আর বলতে পারে নাই)
ডাক্তার :প্লিজ কান্না করবেন না।আমাকে বিস্তারিত না বললে আমি কিভাবে বুঝবো কি হয়েছে।প্লিজ কান্না বন্ধ করুন।
রিমার কান্না বন্ধ হচ্ছে না।
ডাক্তার : আপনি রোগীরর কি হোন.?
রাসেদের স্ত্রী :জী...ভাবি....
ডাক্তার :আপনি বলুন কি হয়েছে..?
রাসেদের স্ত্রী :স্থানীয় ডাক্তার রিপোর্ট দেখে উনাকে বলছে বাচ্চা নাকি বিকৃত অবস্থায় আছে।এবং কয়েকদিনের মাঝে অপারেশন করে এটাকে নষ্ট করতে বলছে। তা না হলে নাকি মায়ের প্রবলেম হবে.??
ডাক্তার :ঐ রিপোর্ট কি সাথে আনছেন.??
রিমাঃ জী.???
ডাক্তার :আমায় দেন তো.??
তারপর রাসেদের স্ত্রী রিপোর্ট টি ডাক্তার কে দেয়।
ডাক্তার :এটা তো এনালগ মেশিনে করা রিপোর্ট।
রিমাঃ জী... আমাদের ঐ দিকে 4D এখনো আসে নাই।
ডাক্তার :I see...
ডাক্তার অনেক্ষন সময় নিয়ে রিপোর্ট টা দেখে..
ডাক্তার :আচ্ছা শুনুন।আমি আপাতত কিচ্ছু বলছি না।আপনি আবার 4D মেশিনে আলট্রা করান।আমি রিপোর্ট দেখে তারপর বলছি।
রিমাঃ ঠিক আছে।ডাক্তার....
তারা চেম্বার থেকে বের হয়ে কাউন্টারে যায়।খালিদ টাকা পেইড করে।তারপর যে রুমে 4D আল্ট্রা করানো হয় সেই রুমে যায়।
আল্ট্রা করানোর পর তারা রিপোর্ট এর জন্য অপেক্ষা করে।আছরের আযান দিলে রাসেদ আর খালিদ পাশে মসজিদে গিয়ে জামাতে নামাজ আদায়। রিমা আর রাসেদের স্ত্রী কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে মহিলাদের নামাজের কামরায় যায়। সেখানে গিয়ে তারা নামাজ আদায় করে। রিমা কছর আদায় করে।
নামাজের পর আবার ওয়েটিং রুমে তারা অপেক্ষা করে।রিপোর্ট আসার পর তারা আবার চেম্বারে প্রবেশ করে।
ডাক্তার :রিপোর্ট আনছেন..??
রাসেদের স্ত্রী : জী...এই নিন।
ডাক্তার রিপোর্ট নিয়ে কিছু সময় নিয়ে দেখে।
ডাক্তার :আগের রিপোর্ট টা সাথে আছে না...?
রাসেদের স্ত্রী :জী... এই নিন।
ডাক্তার দুইটা রিপোর্ট হাতে নিয়ে কিছু সময় নিয়ে দেখলেন।কিছুক্ষণ পর..
ডাক্তার :আলহামদুলিল্লাহ্‌.... বাচ্চার কোন প্রবলেম নেই।আবার আগের রিপোর্ট ও ভুল ছিল না.??
রিমা ডাক্তারে মুখে যখন শুনল বাচ্চার কোন প্রবলেম নাই তখন যেন খুশিতে আত্মহারা।মাওলার শুকরিয়া আদায় করতে রিমা ভুলেনি।
রিমাঃ আলহামদুলিল্লাহ্‌।
রাসেদের স্ত্রী :বাচ্চার কোন প্রবলেন নেই।আবার আগের রিপোর্ট ও ভুল ছিল না.?? যদি একটু বুঝিয়ে বলতেন।
ডাক্তার :ও...সরি.. শব্দ টা বাচ্চা হবে না..? বাচ্চারা হবে।উনি তিন সন্তানের মা হবেন ইনশাআল্লাহ।
রিমাঃ আলহামদুলিল্লাহ্‌। সত্যি ডাক্তার ?? (কান্না কান্না কন্ঠে)
ডাক্তার :জী।ইনশাআল্লাহ।
রাসেদের স্ত্রী :আলহামদুলিল্লাহ্‌। আল্লাহ আমাদের কত বড় বিপদ থেকে বাচালেন।আমরা যদি স্থানীয় ডাক্তারের কথা মত অপারেশন করে ফেলতাম।তাহলে আজ কি যে হয়ে যেত।
ডাক্তার :আসলে উনাদেরও কোন দোষ নাই। উনাদের অবস্থানে থাকলে হয়তো আমি ও এমন বলতাম। একসাথে তিনটা বাচ্চার অবস্থান। তার সাথে আল্ট্রার রিপোর্ট ছিল এনালগ মিশিনের।তাই উনাদের বুঝতে বেগ পেতে হলো।আমিও যদি 4D রিপোর্ট না দেখতাম তাহলে আমিও একই পরামর্শ দিতাম।
ডাক্তারের কথা শুনে রিমা কান্নার জন্য কিছু বলতে পারছে না।
ডাক্তারঃ এভাবে কান্না করলে হয়।নিন চোখ মুছে নিন।(টিস্যু বক্স সামনে দিয়ে) এতদিন আপনাকে একজন সন্তানের জন্য কেয়ার থাকতে হতো।এখন তিন জনের জন্য কতটা কেয়ার থাকতে বুঝতে পারছেন.??
রিমাঃ হুম।(মাথা নেড়ে)
ডাক্তার : এই এই ওষুধ গুলো নিয়মিত খাবেন।আর এই নির্দেশনাবলী মেনে চলবেন ইনশাআল্লাহ।
রিমাঃ জী.ইনশাআল্লাহ।আসসালামু আলাইকুম।
রিমা ডাক্তারকে সালাম দিয়ে নিকাব টি বেধে নিয় তারপর চেম্বার থেকে বের হয়।সেখানে রাসেদ আর খালিদ অধীর আগ্রহে বসে আছে।তারা চেম্বার থেকে বের হলে...
খালিদঃ আসসালামু আলাইকুম। ডাক্তার কি বলল।
রিমা লজ্জায় কিছু বলতে পারছে না।মাথা নিচু করে রাখছে।
খালিদঃ কি ব্যপার কিছু বলছেন না যে..?
রাসেদ :এই তুমি বলতো ডাক্তার কি বলছে.??
রাসেদের স্ত্রী :আপনার ভাই একটা না দুই টা তিন তিন টা সন্তানের বাবা হতে চলছে....
রাসেদঃ কী...?
রাসেদের স্ত্রী :জী।আলহামদুলিল্লাহ্‌। ভাবী তিন সন্তানের মা হতে যাচ্ছেন।এবং বাচ্চারাও ভালো আছেন আলহামদুলিল্লাহ্‌।
রাসেদ :আলহামদুলিল্লাহ্‌।
রাসেদের স্ত্রীর কথা শুনে খালিদ উপরের দিকে তাকিয়ে কি যেন বলে. তারপর শুকরিয়া আদায় করে।
খালিদঃ চলুন আগে বাসায় চলুন তারপর বিস্তারিত শুনা যাবে ইনশাআল্লাহ।
রাসেদঃ হ্যা তাই ভালো হবে চলুন।
চলবে ইনশাআল্লাহ
শিক্ষা
★বলা হয় যে শিশুরা কাঁদা মাটির ন্যায়।কাঁদা মাটিকে যেমন যা ইচ্ছে বানানো যায়।ছোট বাচ্চাকেও ছোট থাকতে আস্তে আস্তে প্রশিক্ষণ দিয়ে ধার্মিক বানানো যায়। তাই বাচ্চাদের অল্প বয়স থেকে নামাজ সহ অন্যান্য ইবাদতের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। বাচ্চাদের লালন পালন সংক্রান্ত আলোচনা অন্য কোন পর্বে দেওয়া হবে ইনশাআল্লাহ।
কছরের নামাজ সম্পর্কে কয়েকটি তথ্য
★যদি কোন ব্যক্তি মোটামুটি ৪৮ মাইল(প্রায় ৭৭-৭৮ কি,মি) রাস্তা অতিক্রম করে কোন স্থানে যাওয়ার উদ্দেশ্যে নিজ লোকালয় থেকে বের হয়,তাকে শরীয়তের ভাষায় মুসাফির বলে।
★ মুসাফির ব্যক্তিকে চার রাখাত বিশিষ্ট ফরজ নামাজ (জোহার,আসর,ইশা) দুই রাকাত করে পড়তে হয়।
★দুই ও তিন রাকাত বিশিষ্ট ফরজ (ফজর,মাগরিব) ও ওয়াজিব (বিতর) নামাজ পরিপূর্ণ আদায় করতে হয়।
★ফজরের সুন্নত ব্যতিত অন্যান্য সুন্নত নামাজ ব্যস্ততার ধরুন ছেড়ে দেওয়া যাবে।
★মুকীম ইমামের পিছনে নামাজ পড়লে কছর হবে না, পূর্ণ নামাজ আদায় করতে হবে।
★১৫ দিনের কম থাকার নিয়ত করলে মুসাফির বলে গন্য হবে। এর বেশি নিয়ত করলে গন্য হবে না।
কোন কোন ক্ষেত্রে কছর পড়া যাবে না।
★১৫ দিনের বেশি থাকার নিয়ত করলে।
★গন্তব্যস্থান নিজ বাড়ি হলে কছর হবে না। তবে পথে নামাজ পড়লে কছর পড়তে হবে।আর বাড়িতে চলে আসলে পূর্ণ নামাজ আদায় করতে হবে।

tag 

mizanur rahman azhari bangla waz all bangla waz 2018 mp3 bangla waz amir hamza hafizur rahman siddiki new waz 2018 bangla 2018 tarek monowar waz mahfil bangla 2018 bangla waz 2018 amir hamza bangla waz 2018 taheri tofazzal hossain full bangla waz 2018 new bd waz bangla abdullah al amin waz mahfil bangla 2017 khaled saifullah ayubi mizanur rahman azhari english waz bangla mp3 bangla waz 2017kolorober gojol badruzzaman kalarab kalarab tv holy tune gojol kalarab newainuddin al azad islamic bangla islamic salam kalarab kalarab shilpi gosthi new song 2017 kalarab allah allahmuhib khan 2018 allah boloabu rayhan 2018 holy tune record sabu rayhan islamic song kala movie ami dekhini tomay iqbal hj bangla islamic song 2017iqbal hossain jibon
kalarab new song 2018, kalarab new song, kalarab song, bangla islamic song, holy tune, kalarab shilpigosthi, kalarab tv, kalarab shilpi, kalarab new gojol, kalarab islamic song, kalarab live, kalarab shilpi gosthi new song, kalarab new islamic song, kalarab best song, kalarab bangla gojol, kalarab best gojol, kalarab bangla, kalarab bodruzzaman, kalarab by abu rayhan, kalarab new 2018, ???? ????????????, kalarab new song 2018 download, 2018 islamic song, waz


শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios:

আপনার একটি গুরুত্বপূন্য কমেন্ট লেখককে অনুপ্রানিত করে । অনুগ্রহ করে আপনার অনুভুতি আমাদেরকে জানান । আশা করি আমরা সহযোগিতা করতে পারবো ।