Thursday, 13 September 2018

সুন্নত জিন্দার মিশন পর্ব ২৯

সুন্নত জিন্দার মিশন পর্ব ২৯

খালিদ মশারি টাঙিয়ে দেওয়ার পর তারা ঘুমিয়ে পড়ে।রাতের শেষ অংশে খালিদ ঘুম থেকে জেগে যায়।খালিদ উঠে মেসওয়াক নিয়ে অযু করতে চলে যায়।অযু করে রুমে এসেই দেখে রিমা ঘুম থেকে উঠে খাটে বসে রয়েছে।
খালিদঃ আসসালামু আইলাইকুম। উঠে পড়ছেন.??
রিমাঃ ওয়ালাইকুমুসসালাম। জী...কিন্তু আপনি এটা ঠিক করলেন না.??
খালিদঃ কী.???
রিমাঃ আপনি উঠেছেন অথচ আমায় ডেকে দিন নিই কেন.??
খালিদঃ আসলে আপনার তো এখন ঘুমানোর প্রয়োজন। ঘুম কম হলে স্বাস্হ্যহানী ঘটতে পারে তাই আপনাকে ডাকি নিই।
রিমাঃ এক দেড় ঘন্টা রাতে একটু কম ঘুমালে কিচ্ছু হবে না।প্রয়োজনে দিনের বেলা ঘুমিয়ে কভারেজ করে নিবো। তারপরেও আমি না উঠতে পারলে প্লিজ আমায় ডেকে দিয়েন।
খালিদঃ ইনশাআল্লাহ (মুচকি হাসতে)
রিমা তারপর রিমা উঠে গিয়ে অযু করে আসে। দুইজনে একসাথে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করে নেয়।নামাজের পর তারা মুনাজাতে তাদের জরুরত গুলো মাওলার দরবারে পেশ করে।
তারপর তারা বিভিন্ন কথা/আলোচনা করে।ফজরের আযান দিলে খালিদ সুন্নত নামাজ আদায় করে।তারপর রিমার সাথে আরো কিছু সময় কথাবার্তা বলে তারপর মসজিদে চলে যায়।রিমা নামাজের রুমে গিয়ে বাড়ির অন্যান্য মহিলাদের সাথে নামাজ আদায় করে নেয়।নামাজের পর অন্যান্য মহিলারা সুরা ইয়াছিন তেলোয়াত করলেও রিমা কোরআন মাজিদের প্রথম থেকে পড়া শুরু করে।
খালিদ রুমে এসে সুরা ইয়াছিন তেলোয়াত করে।অন্যন্যা দিন রিমা পাশে এসে বসলেও আজ আসেনি।খালিদ তেলোয়াত শেষ করে খাটে একটু বিশ্রাম নিতে যায়।খাটে উঠতে উঠতেই রিমা রুমে প্রবেশ করে।
খালিদঃ আমি তো ভাবছিলাম আপনি মনে হয় রান্না ঘরে চলে গেছেন।
রিমাঃ এখনো যাই নাই।এখন যাবো ইনশাআল্লাহ। যাওয়ার আগে তো প্রত্যেকদিন আগে একবার আপনার সাথে দেখা করে যাই।তাই আসলাম দেখা করতে।
খালিদঃ ও... আসলে অন্য দিন তো আমি যখন তেলোয়াত করতাম।আপনি আপনার তেলোয়াত শেষ করে আমার পাশে এসে বসে আমার তেলোয়াত শ্রবণ করতেন। কিন্ত আজ তো আসলেন না. তাই ভাবছি হয়তো আপনি আজ সরাসরি রান্না ঘরে চলে গেলেন।
রিমাঃ ও... আসলে তা না। অন্যদিন তো আমি শুধু সুরা ইয়াছিন তেলোয়াত করতাম আজ ১ম পারা থেকে পড়া শুরু করছি।নিয়ত আছে এই কয়েক মাসে কয়েকবার খতম করবো ইনশাআল্লাহ। আজ এখন প্রায় আধা পারা পড়ছি তাই আসতে দেরি হয়েছে।
খালিদঃ আলহামদুলিল্লাহ্‌ ভালো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
রিমাঃ ঠিক আছে আপনি বিশ্রাম নিন।আমি রান্না ঘরে যাচ্ছি।
রিমা রান্না ঘরে গিয়ে দেখে বড়ভাবি আর আয়েশা মিলে সকালের নাস্তা প্রস্তুত করছে।
রিমাঃ আসসালামু আলাইকুম।
বড়ভাবি :ওয়ালাইকুমুসসালাম।
রিমাঃ কেমন আছেন আপনারা
বড়ভাবীঃ আলহামদুলিল্লাহ্‌ আমরা ভালো আছি।কিন্তু আপনি এখানে কেন.??
রিমাঃ মানে..বুঝিনাই ভাবি.??
বড়ভাবীঃ আজ থেকে সকাল বেলার নাস্তার সকল দায়িত্ব আমার।আপনি নামাজের পর আবার বিশ্রাম নিবেন।
রিমাঃ আরে ভাবি সমস্যা নাই।রাতে আমার আলহামদুলিল্লাহ্‌ যথেষ্ঠ ঘুম হয়।সকালে বিশ্রামের প্রয়োজন নেই।আমি ঠিক আছি।
বড়ভাবীঃ তারপরেও.। যান আপনি গিয়ে বিশ্রাম নিন।আজ থেকে সকালে রান্নাঘরে আসবেন না।আর কখনো ভারি কাজ কিন্তু করবেননা।আজ থেকে সম্পুর্ণ রেষ্ট এর উপর থাকবেন।
তাদের কথার মাঝে তাদের শাশুড়ি উপস্থিত হয়।
খালিদের মা:বড় বউমা কিন্তু ঠিকই বলছে।আজ থেকে তুমি সম্পুর্ণ রুপে রেষ্টে থাকবা।বড় বউমার কিছু প্রয়োজন হলে আমি আছি ইনশাআল্লাহ। যাও তুমি বিশ্রাম নাও।
রিমাঃ আপনারাও কিন্তু এই অবস্থায় ভারি ভারি কাজ করেছেন মা..। ইনশাআল্লাহ আমিও পারবো।প্লিজ মা আপনি রেষ্ট নিন।আপনি রান্নাঘরে আসা লাগবে না।
খালিদের মাঃ শুনছো মেয়ের কথা।আরে আমরা যা খেতে পারতাম তার সিকিভাগও কি এখন তোমরা খেতে পারো.?? আরে আমরা তো পুকুরের তাজা মাছ খেতাম,জমির তাজা শাকসবজি খেতাম। আমরা যা খেতাম তা ছিল পরিপুর্ণ পুষ্টিগুণ সম্পন্ন। তখন তো এসব কীটনাশক, রাসায়নিক সার,ফরমালডিহাইড (ফরমালিন) এর ব্যবহার হতো না।আমরা যা খেতাম তাতে আমাদের প্রচুর ক্যালরি উৎপন্ন হতো তাই আমরা কাজ ও করতে পারতাম আলহামদুলিল্লাহ্‌। এখন তো তোমরা যা খাও তার বেশির ভাগ ই ফরমালিন আর রাসায়নিক সার মিশ্রিত ফলে তোমরা পুষ্টিগুণ থেকে বঞ্চিত বরং মাঝে মাঝে এসব খাবার স্বাস্হ্যহানীর কারন হয়ে দাড়ায় ।এই দিক থেকে তোমরা আমাদের থেকে অনেক দুর্বল।তাই আমরা যে ভারি কাজ গুলো করে যেতে পারছি তোমরা এসব ভারি কাজ করলে আগত ব্যক্তির নানা ক্ষতি হতে পারে।যাও মা.... তুমি বিশ্রাম নাও।
শাশুড়ির এসব উপদেশ শোনার পর রিমা আর ঐখানে থাকাকে ভালো মনে করেনি তাই সে সেখান থেকে চলে আসে।আসতে আসতে শাশুড়ি মায়ের কথা গুলো ভেবে পুরোই অবাক হয়ে যায়।কি সুন্দর চিন্তা উনার।যদি প্রত্যেক শাশুড়িমা এমন হতো পুরো সমাজটাই পরিবর্তনন হয়ে যেতো। রিমা মনে মনে শাশুড়ি মায়ের জন্য দোয়া করে ।রিমা তাদের রুমে প্রবেশ করে..
খালিদঃ কি ব্যাপার চলে আসলেন যে.??
রিমাঃ কি করবো বলুন..বড়ভাবির কড়া নির্দেশ আজ থেকে সকালে নামাজের পর রান্না ঘরে না যেতে উনি একাই সকালের নাস্তা বানাবেন।আমাকে বলছে সকাল বেলা নামাজের পর আবার বিশ্রাম নিতে।
রিমার কথা শুনে খালিদ মুচকি মুচকি হাসে
রিমাঃ এখানে হাসার কি হলো.??
খালিদঃ বড়ভাবির প্রতি আমার এই আস্থা ছিল যে, বড়ভাবি আপনার এই অবস্থায় আপনাকে কাজ করতে দিবেনা। তাই আমিও আপনাকে রান্নাঘরে যেতে নিষেধ করিনি।আসলেই বড়ভাবি ঠিক কাজ করেছে এই মুহুর্তে আপনাকে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে।
রিমাঃ হুম... সবাই মিলে আমাকে মাথায় নিয়ে নাচেন।এভাবে কাজ না করে থাকা যায়.??? রান্নাঘরই মেয়েদের আপন কর্মস্থল। আর সেখানে কিনা আমার যাওয়া নিষেধ। (রাগ রাগ ভাব নিয়ে)
খালিদঃ বড়ভাবি কি আপনাকে একেবারেই রান্নাঘরে যেতে নিষেধ করছে..? আমার তো মনে হয় আপনাকে শুধু সকাল বেলা যেতে নিষেধ করছে।অন্যান্য সময় যেয়ে উনার পাশে বসে থাকবেন। হাকলা কোন কাজ করে দেওয়ার লাগলে করে দিবেন।তবে আমার যতটুকু ধারনা আপনাকে উনি ভারি কাজ করতে দিবেন না।
রিমাঃ হুম।আমারও তাই মনে হয়।(মন খারাপ করে)
খালিদঃ অনেক কথা হয়েছে এখন ঘুমান।বাকি কথা পরে বলিয়েন।
তারপর তারা ঘুমিয়ে যায়।
প্রায় ৮ টার দিকে খালিদ ঘুম থেকে যায়।তারপর আস্তে আস্তে ডেকে রিমাকে উঠিয়ে দেয়। খালিদ ফ্রেশ(গোসল) হয়ে আসার পর রিমাও ফ্রেশ(অযু) হয়ে আসে।তারপর রিমা খাবারের রুমে গিয়ে দেখে তাদের জন্য খাবার বেড়ে রাখা হয়েছিল।রিমা খাবার গুলো নিয়ে তাদের রুমে নিয়ে যায়।তারা একসাথে নাস্তা করে নেয়।তারপর রিমা খালিদকে তৈরী(রেডি) করে দেয়।খালিদ রিমা কে পারিশ্রমিক দিয়ে মায়ের সাথে দেখা করে বাজারে চলে যায়।
বিকাল বেলা আয়েশার বর (হযরত) এসে আয়েশাকে নিয়ে চলে যায়।
এভাবে তাদের দিন কাটছে।বড়ভাবি রিমাকে তেমন কোন ভারি কাজ করতে দেয় না।মাঝে মাঝে রিমা অভিমান করলে ছোট ছোট কাজ গুলো করে দিতে বলে।
হঠাৎ একদিন রান্নাঘরব..
রিমাঃ আচ্ছা ভাবি.. আমাদের ঘরে নতুন মেহমান আসছে আপনি খুশি না.??
বড়ভাবি :কি যে বলেন। আমি খুশি না মানে...আলহামদুলিল্লাহ্‌ অনেক খুশি হয়েছি।
রিমাঃ জানেন ভাবি...আপনাদের ভাই খুশি হয়ে আমাকে বড় একটা গিফট দিবে বলছে।আলহামদুলিল্লাহ্‌।
বড়ভাবি :আলহামদুলিল্লাহ্‌ কি সেটা.??? আমাকে শুনানো যাই নাকি.??
রিমাঃ হুম।শুনানো যায়। তবে এখন নয় পরে শুনানো ইনশাআল্লাহ। আচ্ছা ভাবি আপনি তো আমায় কিচ্ছু দিলেন না.??? এটা কি ঠিক হলো.???
বড়ভাবির মন খারাপ হয়ে যায়।অনেক্ষন নিরাবতার পর।
বড়ভাবীঃ আসলে কি জানেন ভাবি। আমার কাছে তেমন কিছু নাই। আপনার ভাইয়ের রেখে যাওয়া কিছু টাকা আর কিছু অলংকার আছে।এছাড়া তো আমার কাছে আর কিছুই নাই যে আপনাকে দেওয়ার। আচ্ছা আপনি যখন আবধার করেছেন আমি আপনাকে একটা বালা উপহার দিবো যেটা আপনাদের ভাই আমাকে দিয়েছিলো।
রিমাঃ ওমা....কি যে বলেন ভাবি।ভাইয়ার স্থৃতি আপনি আমায় দিয়ে দিবেন আর আমি নিবো.?? এটা কিভাবে ভাবলেন.?? না ভাবি ঐটা আমি নিবোনা।
বড়ভাবীঃ এছাড়া আমার কাছে তো আর কিছুই নাই আপনাকে দেওয়ার।
রিমাঃ ভাবি.. আপনার কাছে আরেকটা জিনিষ আছে। সেটা যদি আমি চাই আমাকে দিবেন।?
বড়ভাবি :আমার কাছে তো আর কিছুই নাই।
রিমাঃ আছে ভাবি।বলেন না সেটা আমায় দিবেন কিনা.??
বড়ভাবীঃ আচ্ছা সেটা কি.??
রিমাঃ যখন সে জিনিষ টা আমার প্রয়োজন হবে তখন আপনারর কাছে আবধার করবো দিবেন তো আমায়???
বড়ভাবীঃ ইনশাআল্লাহ। আমার সামর্থ্য থাকলে অবশ্যই দিবো।
রিমা:জাযাকাল্লাহ ভাবি।
তারপর রিমা উঠে চলে যাবে এমন সময়
বড়ভাবীঃ বললেন না তো আপনার আবধার টা কি...?
রিমাঃ সময় হলে চেয়ে নিবো ইনশাআল্লাহ।(চলে যেতে যেতে)
রিমা রান্নাঘর থেকে এসে সালাম দিয়ে অনুমতি নিয়ে তার শশুর শাশুড়ির রুমে প্রবেশ করে।
খালিদের মা: কিছু বলবি মা.???
রিমাঃ জী মা..একটা কথা বলার ছিল।
খালিদের মাঃহ্যা বলো।
..........
খালিদের মাঃ কি মা.? চুপ করে আছো কেন.?? বলো?
রিমাঃ আসলে মা কিভাবে যে কথা টা বলি আমার ভয় করছে.?
খালিদের মাঃ আমরা বাঘ বা ভাল্লুক নয় যে তোমাকে ভয় পেতে হবে।তুমি বলে ফেলো কি বলতে চাও।
রিমাঃ আসলে মা...বড়ভাবিকে নিয়ে কি কিছু ভেবেছেন.?কয়েকদিন পর তো উনার ইদ্দত পালন শেষ হবে।তখন উনি কি করবেন.? উনি কি এই বাড়ি ছেড়ে চলে যাবেন.?
খালিদের মাঃ না রে মা....(দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছেড়ে)।এতক্ষন তো তোমার শশুরের সাথে এই ব্যপারেই কথা বলছিলাম। কিন্তু কোন সিদ্ধান্ত তো নিতে পারলাম না।এখন বড়বউমা যদি চলে যায় ওকে তো আটকানোর মতো কোন ক্ষমতা আমাদের নাই।
রিমাঃ মা... আমরা যদি একটা বুদ্ধি করি তাহলে বড়ভাবিকে এই বাড়িতে রেখে দেওয়া সম্ভব।যদি আপনারা ঐ বুদ্ধিতে রাজি থাকেন।
খালিদের মাঃ কি সেটা মা...?
রিমাঃ মা...আপনারা যদি আপনাদের ছোট ছেলের সাথে বড়ভাবির বিয়ের ব্যবস্থা করেন তাহলে মনে হয় বড় ভাবিকে এই বাড়িতে রাখা সম্ভব।
খালিদের মাঃ মানে..?
রিমাঃ মা... আমি আপনাদের ছোট ছেলের আরেকটা বিয়ের ব্যবস্থা করবো ভাবছি ।আর উনার কনে হিসেবে বড়ভাবিকে নির্ধারণ করছি।যদি আপনাদের অনুমতি পাই।
রিমার কথা শুনার পর খালিদের মা পুরো অবাক হয়ে যায়।কিছুক্ষন পর রিমা কে জড়িয়ে ধরে উনি কান্না শুরু করে।রিমাও উনাকে ধরে কান্না শুরু করে।
রিমাঃ আসলে মা আমি চাইনা বড়ভাবি এই বাড়ি থেকে চলে যাক।এখন বড়ভাবিকে এই বাড়িতে রাখতে হলে এই পদ্ধতি ছাড়া আর কিছুই দেখছি না।তাই আমি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।যদি আপনারা অনুমতি দেন।
খালিদের মা: আল্লাহ তোমাকে অনেক বড় করুক।আসলে কি জানো মা...? আমরাও এট নিয়ে ভাবছি। কিন্তু তুমি খালিদ আর বড়বউমা রাজি হবে কিনা তাই কাউকে কিছু বলি নাই।
রিমাঃআলহামদুলিল্লাহ্‌ তার মানে আপনারা রাজি।
খালিদের মাঃহুম।কিন্তু খালিদ আর বড়বউমা রাজি হবে তো.??
রিমাঃমা...সেটার দায়িত্ব আমাকে দিয়ে দিন।
খালিদের মা:ঠিক আছে।
রিমাঃ মা... আরেকটা কথা। এই ব্যপারে আপনারা আপাতত এখন কারো সাথে কোন কথা বলবেন না। সময় হলো আমি সব কিছু করবো ইনশাআল্লাহ।
খালিদের মাঃ ঠিক আছে মা. তুমি যেভাবে বলবে সেভাবে হবে।আমরা আপাতত কাউকে কিচ্ছু বলব না।
রিমাঃ ঠিক আছে মা.. আমি তাহলে এখন যাই আসসালামু আইলাইকুম।
রিমা ঐরুম থেকে বের হয়ে খুশিতে মনে মনে মাওলার দরবারে শুকরিয়া আদায় করে।সব কিছু সুন্দর ভাবে এগুচ্ছে। আর সময় মত বিয়েটা হয়ে গেলেই হয়।তারপর রিমা রুমে চলে যায়।
চলবে ইনশাআল্লাহ
শিক্ষা
★ অনেকেই মনে করে আগের দাদিরা,মায়েরা তো গর্ভবতি অবস্থায়ও সংসারের ভারি ভারি কাজ করে গেছেন।তাহলে এখন গর্ভবতি মায়েরা কেন পারবেনা। আপনার মনে রাখা জরুরী আগের মায়েরা যে পরিমাণ পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাবার খেয়েছিল তার সিকিভাগও বর্তমান গর্ভবতি মায়েরা খেতে পারে না।তখনকার সময় এত কীটনাশক, বালাইনাশক, রাসায়নিক সার,ফরমালিন ইত্যাদি ব্যবহৃত হতো না।কিন্তু বর্তমানে অহরহ ব্যবহার হচ্ছে।ফলে বর্তমান গর্ববতী মায়েরা পুষ্টি হীনতায় ভোগে।ফলে তারা দুর্বল হয়।তাদের দ্বারা এখন ভারি ভারি কাজ গুলো করা সম্ভব হয়ে উঠে না। শাশুড়ি ননদ দের খুশি করতে গিয়ে এসব কাজ করলেও গর্ভে থাকা সন্তানের ব্যপক ক্ষতি হয়। মনে রাখবেন গর্ভে থাকা সন্তানটি শুধু আপনার স্ত্রীর একার সম্পদ নয়।সে আপনারও সন্তান।আপনার ভাই বোনের ভাতিজা/ভাতিজি। আপনার পিতামাতার নাতি/নাতিন।
হতে পারে আপনার স্ত্রীর গর্ভে থাকা সন্তান টি দেশের ভবিষ্যৎ কান্ডারি।সেও হতে পারে খালিদ বিন ওয়ালিদ কিংবা সালাউদ্দিন আইয়ুবী। তাই আপনার সন্তানের সুস্বাস্থ্য বিবেচনা করে গর্ভবতি অবস্থায় আপনার স্ত্রীকে তুলনামূলক ভারি কাজ করা থেকে বিরত রাখুন। আপনার বোন পিতা মাতাকে আদবের সাথে বিষয়টি বুঝিয়ে বলুন।
★কথায় আছে""ভোগে নয় ত্যাগেই প্রকৃত সুখ"" তাই পরিবারের ভালোর জন্য যে কোন বিষয়ে সেক্রিফাইজ (ত্যাগের) করার মন মানুষিকতা তৈরী করুন।
★কোন কাজ করার আগে অবশ্যই পরিবারের অন্যান্যদের সাথে পরামর্শ করে কাজ করুন।পরামর্শ করা সুন্নত।

tag 


mizanur rahman azhari bangla waz all bangla waz 2018 mp3 bangla waz amir hamza hafizur rahman siddiki new waz 2018 bangla 2018 tarek monowar waz mahfil bangla 2018 bangla waz 2018 amir hamza bangla waz 2018 taheri tofazzal hossain full bangla waz 2018 new bd waz bangla abdullah al amin waz mahfil bangla 2017 khaled saifullah ayubi mizanur rahman azhari english waz bangla mp3 bangla waz 2017kolorober gojol badruzzaman kalarab kalarab tv holy tune gojol kalarab newainuddin al azad islamic bangla islamic salam kalarab kalarab shilpi gosthi new song 2017 kalarab allah allahmuhib khan 2018 allah boloabu rayhan 2018 holy tune record sabu rayhan islamic song kala movie ami dekhini tomay iqbal hj bangla islamic song 2017iqbal hossain jibon
kalarab new song 2018, kalarab new song, kalarab song, bangla islamic song, holy tune, kalarab shilpigosthi, kalarab tv, kalarab shilpi, kalarab new gojol, kalarab islamic song, kalarab live, kalarab shilpi gosthi new song, kalarab new islamic song, kalarab best song, kalarab bangla gojol, kalarab best gojol, kalarab bangla, kalarab bodruzzaman, kalarab by abu rayhan, kalarab new 2018, ???? ????????????, kalarab new song 2018 download, 2018 islamic song, waz


শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios:

আপনার একটি গুরুত্বপূন্য কমেন্ট লেখককে অনুপ্রানিত করে । অনুগ্রহ করে আপনার অনুভুতি আমাদেরকে জানান । আশা করি আমরা সহযোগিতা করতে পারবো ।